কাশ্মীরে সেনা এনকাউন্টারের ২০১৮ সালে তোলা একটি পুরনো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বলা হচ্ছে এটা কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হালের সন্ত্রাসবাদী হানার বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার বদলা নেওয়ার ছবি। ওই সন্ত্রাসি হানায় ৪০ জন আধাসামরিক বাহিনির সদস্য প্রাণ হারান।
ওই ১.৩০ মিনিটের ভিডিওটি ফেসবুক, হোয়টাসঅ্যাপ, টুইটার ও ইউটিউবে, “মিশন শুরু, ইতিমধ্যেই ৩ শুয়োর খতম” ক্যাপশন সহ ভাইরাল হয়েছে।
পোস্টটির আরকাইভ বয়ান দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
টুইটারেও একই ক্যাপশন ব্যবহার করা হয়েছে—“মিশন শুরু, ইতিমধ্যেই ৩ শুয়োর খতম”।
পোস্টটির আরকাইভ বয়ান দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
অনেকগুলি ইউটিউব অ্যাকাউন্ট থেকেও সেটি শনিবার আপলোড করা হয়। পোস্টটির আরকাইভ বয়ান দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
তথ্য যাচাই
বুম ভিডিওটিকে ফ্রেমে-ফ্রেমে ভেঙ্গে বিশ্লেষণ করে এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রেমের ক্ষেত্রে রিভার্স ইমেজ সার্চের সাহায্য নেয়। দেখা যায়, ভিডিওটি ২০১৮ সালে তোলা হয়েছিল। রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায়, ভিডিওটির একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রেম ডিসেম্বরে টুইট করা একটি ছবির সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে। ছবিটি টুইট করেছিল স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ‘কাশ্মীর নিউজ’।
নোট: নীচের ছবিগুলি মর্মান্তিক
ডিসেম্বর ৯, ২০১৮ তারিখে পোস্ট করা টুইটে বলা হয়, বাহিনি ১৮ ঘন্টা ধরে একটি গুলির লড়াই চালায় ওই রাজ্যের বান্দিপুর জেলায়। টুইটে আরও বলা হয়, দুজন নিহত জঙ্গিকে মুদাস্সির পার্রে এবং সাকিব মুশতাক হিসেবে সনাক্ত করা হয়।
ওই দুই নিহত জঙ্গির নাম ভিত্তি করে বুম আরও অনুসন্ধান চালায়। দেখা যায়, এখনকার ভাইরাল-হওয়া ভিডিওটি ফেসবুকে ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮ তারিখে আপলোড করেছিল স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জেকে নিউজ লাইভ।
নিহত জঙ্গিদের নাম খুঁটিয়ে সার্চ করে বুম। দেখা যায়, বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনে ওই এনকাউন্টারের খবর ছাপা হয়েছিল।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়, কাশ্মীরের এক প্রত্যন্ত জেলা মুজগুন্ডে ঘটনাটি ঘটে। প্রায় ১৮ ঘন্টা গুলির লড়াই চালিয়ে সশস্ত্র বাহিনি তিন সন্দেহভাজন এলইটি জঙ্গিকে মারে। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের কয়েকজন জওয়ান আহত হন ওই এনকাউন্টারে।