ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি দিলীপ ঘোষ, শনিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা এবং অভিনন্দন জানান। ৫ জানুয়ারী দিলীপ ঘোষ তাঁর স্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ও সাফল্য কামনা করে, একটি প্রেস কনফারেন্সে বলেন যে তিনি চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুস্থ থাকুন সর্বদা।
ভিডিওটি ফেসবুক এবং বাকি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওটি এখানে এক ঝলক দেখুন।
দিলীপ বাবু উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, "নিশ্চিতভাবে, আমি আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য এবং সাফল্য কামনা করতে চাই। কারণ রাজ্যের ভাগ্য তাঁর সাফল্যের মধ্যে রয়েছে। তাঁকে সুস্থ এবং ফিট থাকতে হবে। তার কারণ যদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও সুযোগ আসে তাহলে তাঁরই হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি বাংলা থেকে। তিনি দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তিনি বাংলাকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। তাঁর কাছে একটি মহান সুযোগ আছে। জ্যোতি বসু একটুর জন্যে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি। তাঁর দল তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হতে দেয়নি। কিন্তু এবার দিদির নাম তালিকায় প্রথম স্থানে। সম্মানিত প্রণব মুখার্জি ভারতের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। সুতরাং একজন বাঙালি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারে। আমি মমতা ব্যানার্জীকে আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি সংবাদ মাধ্যম দিয়ে। আমি তাঁকে চিঠি লিখে তো জানাতে পারি না। আমার অভিবাদন পাঠানোর জন্য আমি মিডিয়া ব্যবহার করছি।"
দিলীপের মমতা ব্যানার্জীকে জন্মদিনের অভিনন্দন জানানোর পর, রাজনৈতিক মহলে চরম জল্পনা শুরু হয়। যখন রাজ্যে বিজেপি মমতার নেতৃত্বাধীন টিএমসি সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করছে ব্যেপক ভাবে, তখন দিলীপের এই অভিনন্দন ভালো ভাবে নেননি দলের অন্যান্য ব্যেক্তিরা।
দিলীপের অভিনন্দনের জন্য দল ঝাঁপিয়ে পরে ড্যামেজ কন্ট্রোল শুরু করে দেয় রবিবার থেকে। এঁদের মধ্যে জাতীয় বিজেপির মুখপাত্র শাহনাওয়াজ হোসেন প্রথম দিলীপের 'ভুল সংশোধন' করে বলেন, সংবাদ সংস্থা এএনআই কে একটি সাক্ষাৎকারে, "দিলীপ ঘোষ মমতাকে কটাক্ষ করেছেন।"
বুম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, "এটা স্পষ্ট যে, প্রত্যক্ষভাবে দিলীপ ঘোষ তাঁকে কটাক্ষ করেছেন। মিডিয়া কে এই ব্যাপারটা নিয়ে কোনও ভাবেই হাইপ করার প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনগণের সমর্থন পেয়েছেন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কেবল বিজয়ী হবে না, তবে ভোট ভাগের পরিমাণও বাঙালির কাছ থেকে বাড়বে। "
এদিকে, ঘোষ, কোলকাতায় একটি সমাবেশে রবিবার বলেন যে তাঁর অভিনন্দনকে মিডিয়া পুরোপুরি টুইস্ট করেছে। এখানে বিভিন্ন লিঙ্কগুলিতে দেখে নিন তাঁর বক্তব্য।
ঘোষ বুমকে স্পষ্ট করে বলেন, "শনিবার আমি বিদ্রূপ করে বলেছি, মমতা ব্যানার্জীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মিডিয়াতে এটিকে ভুল ভাবে প্রচার করে। শনিবার আমার মন্তব্য যে প্রধানমন্ত্রীর মমতা ব্যানার্জীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল, তা সম্পূর্ণরূপে ব্যঙ্গাত্মক ছিল। আমি তাঁর জন্মদিনে মিডিয়ার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাই। আর মমতা ব্যানার্জী প্রধানমন্ত্রী হতে পারে এমন কোনো সুযোগ নেই। টিএমসি বাংলার বাইরে লোকসভায় কোনও আসন জয় করতে পারেনি! তাহলে তা কি করে সম্ভব?"