Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
বাণিজ্য

ঋণ মকুব প্রকল্প তর্জা- রাজ্য বনাম কেন্দ্র

শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই পরিকল্পনাটি বাতিল করে দিয়েছেন এবং দাবি করছেন যে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণা করা রাজ্যের নিজস্ব প্রকল্প কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার থেকে বেশি ‘ভালো’ ছিল।

By - Sulagna Sengupta Sengupta | 3 Feb 2019 11:46 PM IST

Picture Credit: LS TV

ছোট কৃষকদের জন্য কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বাকযুদ্ধের কোনও অন্ত নেই। সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট প্রস্তাব পেশ করে কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়ালের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় যে কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে ২ হেক্টর জমির কম মালিকানাধীন কৃষকদের জন্য প্রতি পরিবারে ৬০০০ টাকা প্রদান করা হবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই পরিকল্পনাটি বাতিল করে দিয়েছেন এবং দাবি করছেন যে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণা করা রাজ্যের নিজস্ব প্রকল্প কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার থেকে বেশি ‘ভালো’ ছিল।

দুর্গাপুরের একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষকদের জন্য তাঁর সরকারের সাম্প্রতিক পরিকল্পনা প্রচার করেন এবং ঋণ মকুব প্রকল্পের জন্যে কংগ্রেস পার্টিকে কটাক্ষ করেন। "প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি একটি প্রকল্প যা ৭৫০০০ কোটি টাকা খরচ করবে। এরকম একটি প্রকল্প ১০ বছরে বাস্তবায়িত করার কথা বলে কংগ্রেস, যেখানে তারা বলেন যে ঋণ মকুব হবে, কিন্তু আসলে সেরকম কিছুই হয়নি। কিন্তু বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার একটি স্থায়ী প্রকল্প আনছে। এই প্রকল্পটি কোন বার্ষিক প্রকল্প নয়। এটি কৃষকদের সাথে চীরকাল থাকবে,” প্রধানমন্ত্রী বলেন।

ভিডিওতে (২২:২৯) প্রধানমন্ত্রী বলেন, "১০ বছরের পর কংগ্রেসের ঋণ ছাড় প্রকল্প আসে। তারা দুই মেয়াদে ৫২০০০ কোটি টাকা খরচা করেছে। আমরা এমন ব্যবস্থা করেছি যে কৃষকরা প্রতি বছর ৭৫০০০ কোটি টাকার সুবিধা পাবেন। তাদের পরিকল্পনার লক্ষ্য ছিল ২-৩ কোটি কৃষককে উপকৃত করার কিন্তু আমরা দুই হেক্টর জমির ১২ কোটি কৃষককে উপকৃত করব। এটি একটি বড় প্রকল্প না?"

Full View

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এদিকে বিজেপিকে স্মরণ করিয়ে দেন যে তাঁর সরকার ইতিমধ্যেই "কৃষক বন্ধু" নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে।

গোয়েলের মতে, প্রকল্পটির অংশ হিসাবে ২ হেক্টর পর্যন্ত জমির মালিকানাধীন কৃষকদের প্রতি বছরে ৬০০০ টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এ দেওয়া হবে। টাকাটি তিনটি সমান কিস্তিতে সরাসরি সুবিধা স্থানান্তরের মাধ্যমে কৃষক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রেরণ করা হবে।

বুম রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে, যারা দাবি করেন যে মমতার কিষাণ বন্ধু প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর কিষাণ সম্মান নিধির অনুরূপ।
রাজ্য পরিকল্পনায় ১৮-৬০ বছর বয়সের আয়ের পরিবারের সদস্য (কৃষক)মৃত্যুর ক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকা জীবন বীমা প্রদান করা হবে। কিন্তু এই প্রকল্পে শুধুমাত্র যোগ্যতা পূরণকারী জমি মালিকদেরই সহায়তা প্রদান করা হবে।

রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জানান, পশ্চিমবঙ্গে গরে কৃষকদের কাছে ১.২ একর জমি আছে। যদি একজন কৃষক প্রতি একরের জন্য ৫০০০ টাকা সহায়তা পায়, তার মানে বছরে ১০০০০ কোটি টাকা বার্ষিক ঋণ হবে। তিনি বলেন যে যদি প্রত্যেক কৃষক কে ৫০০০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়, তাহলে রাজ্য সরকারের বছরে ক্ষতি হবে। এই টাকা রাজ্য করের মাধ্যমে আদায় করবে এবং রাজ্য কোষাগার থেকে খরচা করা হবে।

পরিশদিয় মন্ত্রী পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রায় ৭৮ লক্ষ চাষি এর মাধ্যমে উপকৃত হবে। এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার একদ প্রতি ৫০০০ টাকা সহায়তা দেবে – কৃষকরা বছরে দুই কিস্তি তেও নিতে পারে - একবার রবি মর্শুমে এবং আরেকবার খারিফ মর্শুমে। এই প্রকল্পে চাষিরা চাইলে পুরো টাকাটা এক কিস্তি তেও নিতে পারে। এই প্রকল্পে চাষি পরিবারের কর্মরত কেউ ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়েসের মধ্যে, মারা গেলে দু লক্ষ টাকা বিমার আওতায় ক্ষতিপূরণ ও পাবে। চাষিদের এর জন্যে কোন বিমায় প্রিমিয়াম দিতে হবে না। এই প্রকল্পে রেজিস্ট্রেশান পয়লা ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হবে।"

রাজ্য সিপিএম দুটি প্রকল্পেরি সমালোচনা করে। রাজ্য সিপিএম এর মতে দুটিই ভাগ চাষি বা ভূমিহীন চাষিদের জন্যে কোন ব্যাবস্থা রাখে নি। "যদিও পশ্চিমবঙ্গের কৃষক বন্ধু প্রকল্প কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির থেকে আগে শুরু হয়েছে, দুই প্রকল্পেই ভাগ চাষি এবং ভুমিহীন কৃষক দের উপেক্ষা করা হয়েছে। সিপিএম কৃষক সভার নেতা মদন ঘোষ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধিতে ভাগ চাষিদের কোন ব্যাবস্থা রাখেনি।“

ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউটের বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদ অভিরুপ সরকারের মতে, “পিএম কৃষক সম্মান নিধি এবং রাজ্যের কৃষক বন্ধু প্রকল্প প্রায় সমান। যে সমস্ত কৃষকদের কাছে দু হেক্টার বেশি জমি আছে, তারা প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির সুবিধা পাবে না। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩০ শতাংশ কৃষক দুই হেক্টার বেশি জমির অধিকারি। এবং তারা এই প্রকল্পে থেকে বঞ্চিত থাকবেন। অন্য দিকে যাদের দু হেক্টারের বেশি জমি আছে, তারাও রাজ্যে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে সুবিধা পাবে। যারা রাজ্যে প্রকল্পে নথিভুক্ত হবে, তাদের জন্যে এটা অতিরিক্ত সুবিধা। শার এবং কৃষি পণ্যের দাম বাড়িয়ে এমনিতেই কেন্দ্রীয় সরকার চাষের খরচ অনেকটা বাড়িয়েছে। কেন্দ্রে এই প্রকল্পে চাষিদের বিরাট কিছু সুবিধা হবে না।

প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অনুরূপ। যেই কৃষকদের দুই হেক্টরএর বেশি জমি আছে, তারা এই নিধির অধীনে উপলব্ধ সুবিধা পাবেন না। পশ্চিমবঙ্গে, প্রায় ৩০ শতাংশ কৃষক ২ হেক্টরের বেশি জমি অধিগ্রহণ করেছেন এবং তাই তারা প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পের অধীনে প্রদত্ত সুবিধাগুলির অধিকারি হবেন না।

"অন্য দিকে, পশ্চিমবঙ্গের কৃষক বন্ধু পরিকল্পনায়, দুই হেক্টর জমি বেশি কৃষক এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য। এটি বাংলার কৃষকদের জন্য একটি অতিরিক্ত সুবিধা, যারা এই ধরনের স্কিমগুলিতে তাদের নাম নিবন্ধন করবে। সার এবং অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম বাড়িয়ে, কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে কৃষক কর্তৃক বহন করা ব্যয় বৃদ্ধি করেছে। সরকারের এই পদক্ষেপটি কৃষকদের সম্পূর্ণরূপে উপকৃত করবে না, "বলেছেন সরকার।

Related Stories