Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

পশ্চিমবঙ্গে শিব মন্দির ধ্বংসের পিছনে আসল কারণ

পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সংহতির সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি পোস্ট করেন।

By - Swasti Chatterjee | 15 Dec 2018 5:49 PM IST

    গত সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গে একটি হওাটসাপ ম্যাসেজ ভাইরাল হয়। ম্যাসেজটি দাবি করে যে বাঁকুড়ার সদর থানার অন্তর্গত পুনিশোল পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং ফাঁড়ির মধ্যে অবস্থিত শিব মন্দিরটিকেও নাকি রেহাই দেওয়া হয়নি। অনেকের কাছে এই ম্যাসেজটি পৌঁছায় - “বাঁকুড়ার সদর থানার অন্তর্গত পুনিশোল পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর হয়েছে। ফাঁড়ির ভিতরের শিব মন্দির ভাঙ্গা হয়েছে। কিছু পুলিশকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সনাতন ধর্মের লোকেরা আক্রমণ করেনি। আক্রমণকারীরা শান্তির ধর্মের লোক। পাশের জেলা পুরুলিয়াতেও সনাতন ধর্মের লোকেরা আক্রান্ত শান্তির ধর্মের লোকদের দ্বারা। ধর্মনিরপেক্ষতা জিন্দাবাদ।”   ম্যাসেজটি ফেসবুকেও শেয়ার করা হয়। একটি ইউজারের লিঙ্ক
এখানে
দেখুন।   পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সংহতির সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি পোস্ট করেন। তিনি বাংলার বর্তমান 'ধর্মনিরপেক্ষতার' সম্বন্ধে প্রশ্ন তোলেন। তিনি এইটাও লেখেন যে মিডিয়া এখন বুদ্ধি সহকারে এইসব খবরকে ধামাচাপা দিয়ে দিচ্ছে কারণ ঘটনাটি আঙ্গুল তুলেছে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সাম্প্রদায়িকতার বিষের উপর।   দেবতনু ভট্টাচার্য এর পোস্টটি এখানে পড়ুন।   “বাঁকুড়ার সদর থানার অন্তর্গত পুনিশোল পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুরের খবর পাচ্ছি। ফাঁড়ির ভিতরের শিব মন্দিরটাও নাকি রেহাই পায় নি। তিনজন পুলিশকর্মীআহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে পরিকল্পিত ভাবে এই আক্রমণ সংগঠিত করা হয়েছে। এই খবর কোনও মিডিয়াসম্প্রচার করবে না। তাদের কলমে এবং ক্যামেরায় ধর্মনিরপেক্ষতার ঠুলি পরানো আছে। সাম্প্রদায়িকতার বিষ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার দায়বদ্ধতার অজুহাতে সত্যকে চেপেরাখাই ধর্মনিরপেক্ষতা। আবার ঘটনা বিপরীতধর্মী হলেই 'গেরুয়া সন্ত্রাস' রুখে দেওয়ার পবিত্র দায়িত্ব পালনে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যেত আজকে। এটাও আমাদের দেশেরধর্মনিরপেক্ষতার আরেকটা মুখ। যাইহোক, অসহায় রাজ্য পুলিশের প্রতি সহানুভূতি রইলো। মহান ধর্মনিরপেক্ষতা আপনাদের রক্ষা করুন।”  
ফ্যাক্টঃ
BOOM এর দ্বারা একটি ফ্যাক্ট চেকে জানা গেছে যে এরকম কিছু-ই হয়নি। খবরটি অন্ডা থানার অফিসার অন ডিউটির দ্বারা যাচাই করা হয়েছে। তিনি বলেন। “মানুষ ফেসবুকে এই ধরনের জিনিস শেয়ার করে থাকে। কিন্তু সমস্তটাই সাজানো ঘটনা।”   BOOM কোতেশ্বর রাও, এসপি বাঁকুড়ার সাথে যোগাযোগ করে। তিনি বলেন যে ঘটনার সাথে কনো সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার সম্পর্ক নেই। “মুসলমানদের দ্বারা মন্দির ভাঙ্গার কোনও ঘটনা ঘটেনি।   দুটি মুসলিম গোষ্ঠীর মধ্যে একটি ঝগড়া হয় এবং এটি ইতিমধ্যে মিটিয়ে ফেলা হয়েছে। তিনজন পুলিসকর্মী আহত হন। ওনাদের চিকিৎসা একটি স্থানীয় হাস্পাতালে হচ্ছে। কোন পুলিশ সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আমি আবেদন করছি কেউ যেন এইসব ফেক ও ভুয়া খবরে কান না দেন।“   একজন স্থানীয় ঘটনাটি অস্বীকার করেছে। “কয়েকদিন আগে পুনিসোলের দুটি মুসলিম গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ হয়। ঘটনাটি যেখানে ঘটে সেখানে একটি পুলিশ ক্যাম্প ছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পর এ এলাকায় শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য দুটি দলকে জানান হয়, তারা তাঁর কথা শুনতে চায় না এবং বচসা চলতেই থাকে। এক গোষ্ঠী পুলিশকে বলে যে অন্য দলটি যেন পবিত্র কোরানের সামনে শপথ গ্রহণ করে এবং এলাকাতে উত্তেজনা না বাড়িয়ে শান্তি বজায় রাখে।   পুলিশ অফিসার তাদের দাবি মেনে নেন নি এবং তিনি বলেন যে নিজেদের সমস্যা যেন নিজেরাই সমাধানের চেষ্টা করেন, পবিত্র কোরানের দ্বারস্থ না হয়ে। এই বক্তব্যতে গোষ্ঠী দুটি ক্ষুব্ধ হয়ে যায় এবং পুলিশকে আক্রমণ করে। ওন্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ও তিন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা অল্পবিস্তর আহত হন এবং তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”

Related Stories