ছ’বছর আগের এক ভিডিওয় আফগানিস্তানের একটি ট্রান্সপোর্ট প্লেন ভেঙ্গে পড়ার দৃশ্য ধরা আছে, কিন্তু সেটিকে গত রবিবার ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনের বিমান ভেঙ্গে পড়ার দৃশ্য বলে চালিয়ে দেওয়ায় সেটি ভাইরাল হয়েছে। বুম দেখেছে যে, ভিডিওটি ২০১৩ সালের।
তাতে দুবাইগামী একটি ট্রান্সপোর্ট বিমানকে আফগানিস্তানে ভেঙ্গে পড়তে দেখা যাচ্ছে। সেটি আদৌ ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনের বিমান নয়, যেটি ভেঙ্গে পড়ায় প্লেনের ক্রুসহ ১৫৭ জন যাত্রীই মারা যান।
এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ওই ফেসবুক পোস্ট ৫২,০০০ বার দেখা হয়েছিল।
বুমের হেল্পলাইন নং ৭৭০০৯০৬১১ তে একই ভিডিও আসে। সঙ্গে লেখা: ‘ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন’।
পোস্টটি বাংলা একটি ফেসবুক পেজেও প্রকাশ করা হয়। এখানে পোস্টের আর্কাইভ দেখুন ।
Full View
ভিডিওটির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রেম নিয়ে বুম রিভার্স সার্চ করে। যাচাই করার ডিজিটাল যাচাই টুল ইনভিড ব্যবহার করা হয় তার জন্য। ‘ডিজিটাল জার্নাল’এ মে ৩১, ২০১৩ তারিখে প্রকাশিত এক ছবির সঙ্গে মিলে যায় ওই ভিডিওর একটি ফ্রেম। রিপোর্টে বলা হয়, সেটি আফগানিস্তানের বাগ্রাম মিলিটারি বেসের এয়ারস্ট্রিপে একটি বোয়িং ৭৪৭ প্লেনের দুর্ঘটনার ছবি।
ওই প্লেন দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে বুম দেখে তার ওপর বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্ট আছে। মে ১১, ২০১৩ তারিখে, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এক রিপোর্টে বলে ‘একটি অতিরিক্ত মাল বোঝাই প্লেনের মধ্যে একটি মিলিটারি গাড়ির বাঁধন খুলে যায় এবং সেটি প্লেনের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রে ধাক্কা মারে। সম্ভবত সেই কারণেই ২০১৩’র ওই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে, যাতে প্লেনের সাত জন ক্রুই মারা যান।
সিএনএনও ওই দুর্ঘটনার একটি ভিডিও আপলোড করে। বলা হয়, সম্ভবত একটি গাড়ির ড্যাশবোর্ডে লাগানো ক্যামেরায় ওই দৃশ্য ধরা পড়ে।
মার্চ ১০, ২০১৯, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনের নাইরোবিগামী এক যাত্রীবাহী বিমান আদিস আবাবা থেকে ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ভেঙ্গে পড়ে। প্লেনের ক্রু সমতে ১৫৭ জনের মৃত্যু হয় ওই দুর্ঘটনায়।
স্নোপ্স এবং এএফপি ফ্যাক্টচেক আগেই মিথ্যে প্রচারটি খন্ডন করে।