মুম্বইয়ের বিরার সুপারবাজারে স্থানীয় পুলিশ, পুলিশের দ্রুত-প্রতিক্রিয়া টিম (কুইক রেস্পন্স টিম) এবং দাঙ্গা-দমন পুলিশের (রায়ট কন্ট্রোল পুলিশ) একটি যৌথ মহড়ার ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে জঙ্গি দমনের সত্যিকারের ঘটনা হিসাবে ।
বেশ কয়েকটি হোয়াট্সঅ্যাপ বার্তা ছড়িয়েছে যে লোকেদের আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক সহ হাতে-নাতে ধরা হয়েছে । ফেসবুক পোস্টগুলির ভুয়ো দাবি—মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি জেহাদি সন্ত্রাসবাদীরা যখন বন্দুক নিয়ে ডিমার্ট শপিং মলে বিস্ফোরক বসানোর চেষ্টা করছিল, তখনই সাহসী ভারতীয় সেনারা তাদের বমাল সমেত পাকড়াও করে ।
পোস্টের আর্কাইভ বয়ানটি এখানে দেখুন।
৪৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ অফিসাররা মুখ-ঢাকা একটি লোককে সঙ্গে নিয়ে চলেছেন । পিছনে মারাঠি ভাষায় ধারাবিবরণীতে শোনা যাচ্ছেঃ “সন্ত্রাসবাদী পাকড়াও . তার সঙ্গে দুটো বন্দুকও আটক হয়েছে ।” একই ব্যাখ্যা সহ ভিডিওটি আরও বেশ কয়েকজন পোস্ট করেছে ।
তথ্য যাচাই
ভিডিওটি আসলে একটি নকল মহড়ার, যা মুম্বইয়ের বিরার থানার পুলিশ দাঙ্গা-দমন ও দ্রুত-প্রতিক্রিয়া টিমের নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে মঞ্চস্থ করে । বিরার-এর মহকুমা-শাসক জয়ন্ত বাজবালের সঙ্গে কথা বলে বুম জেনেছে, এটা হল সম্ভাব্য জঙ্গি হামলা মোকাবিলার নিয়মিত প্রস্তুতির অঙ্গ--“৩০ মিনিটের এই মহড়ায় দ্রুত-প্রতিক্রিয়া দলের ২৫ জন, দাঙ্গা-দমন বাহিনীর ১৫ জন স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান মঞ্চস্থ করে ।”
বাজবালে আরও জানান, স্থানীয় পুলিশেরই একজন কনস্টেবলকে ছদ্ম সন্ত্রাসবাদী সাজিয়ে গোটা অভিযানটা চালানো হয় ।
সচরাচর এ ধরনের মহড়া জনবহুল এলাকাগুলিতেই চালানো হয় । “এতে আমরাও দেখে নিতে পারি, আমাদের আগুন নেভানোর ব্যবস্থা সহ অন্যান্য সতর্কতা ও প্রতিরোধমূলক বন্দোবস্তগুলো ঠিকঠাক আছে কি না ।” বুম এই মহড়া সংক্রান্ত সংবাদ-রিপোর্টও খুঁজে দেখেছে ।