সাম্প্রতিক একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, আসামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি ট্রেনের উদ্দেশে হাত নাড়ছেন। অনেকেরই দাবি—ট্রেনটিতে কোনও যাত্রীই ছিল না এবং প্রধানমন্ত্রী কেবল ছবি তোলার জন্যই এই তামাশা করেছেন। ২৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ভারতের দীর্ঘতম রেল-সড়ক সেতু বগিবিল ব্রিজের উদ্বোধন করতে আসামে গিয়েছিলেন, যার পর তিনি তিনসুকিয়া-নহরলগুন এক্সপ্রেস ট্রেনটিও চালু করেন।
Full View সোশাল মিডিয়ায় অনেকে ঘটনাটি নিয়ে একটি মিম-ও তৈরি করে, যাতে লেখা হয়, সামনে দিয়ে চলে যাওয়া এক ফোটোগ্রাফারের ছায়ার দিকে নির্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী মরিয়া হয়ে নজর কাড়ার চেষ্টা করছিলেন। পোস্টটির আর্কাইভ বয়ান দেখতে
এখানে ক্লিক করুন। ফেসবুকে ওই ভিডিও নিয়ে অনেক পোস্ট বের হয়, যাতে প্রধানমন্ত্রীকে ঠাট্টা করে লেখা হয়, পাঁচটি রাজ্যে হেরে যাওয়ার পর অনেক আশ্চর্য ঘটনাই ঘটছে।
প্রাক্তন অভিনেত্রী এবং কংগ্রেস দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র খুশবু সুন্দর ওই ভিডিওটি টুইট করে লেখেন—প্রধানমন্ত্রী এক কাল্পনিক জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ছেন।
টুইটটির আর্কাইভ বয়ান এখানে দেখতে পারেন। বুম ঘটনাটির ভিডিও অনুসন্ধান করে ফেসবুকে একটি ভিডিও পায়, যাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে, মোদী উপস্থিত লোকেদের দিকেই হাত নাড়ছেন এবং লোকেরাও তাঁর দিকে পাল্টা হাত নেড়ে অভিবাদন জানাচ্ছে। নীচের ভিডিওটি ১৫ মিনিট পর থেকে দেখতে শুরু করুন এবং ১৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ড পর স্পষ্ট দেখা যাবে, ক্যামেরা আস্তে-আস্তে ট্রেনের দিকে ঘুরছে এবং ট্রেনের নম্বরও পড়া যাচ্ছে। Full View আমরা প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরোর (পিআইবি) একটি টুইটও খুঁজে পেয়েছি, যাতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বগিবিল ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার প্রথম প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিরও উদ্বোধন করেন। সেই সঙ্গে এ বিষয়েও নিশ্চিত হয়েছি যে ট্রেনটিতে যাত্রীও ছিল। ঘটনার ভিডিওতে ট্রেনের যে নম্বরটি দেখা গেছে, পিআইবি-র নোটেও সেটির উল্লেখ রয়েছে।
?ref_src=twsrc^tfw">December 25, 2018 পিএমও ইন্ডিয়ার ইউ-টিউবে একটি ভিডিওতেও দেখা গেছে, ট্রেনের মধ্যে যাত্রীরা ছিল, যাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী হাত নাড়ছিলেন। Full View বগিবিল ব্রিজটি উদ্বোধন করার পর প্রধানমন্ত্রী তিনসুকিয়া-নহরলগুন এক্সপ্রেস ট্রেনটিও উদ্বোধন করেন। ট্রেনটি অরুণাচল প্রদেশের নহরলগুন-এর সঙ্গে আসামের তিনসুকিয়াকে সংযুক্ত করছে। বগিবিল ব্রিজটির উদ্বোধন হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে। এই ব্রিজটি আসাম চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল এবং ১৯৯৭-৯৮ সালে ব্রিজটির নির্মাণ অনুমোদিত হয়। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯৭ সালে ব্রিজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া।