সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া পোস্টে দাবি করা হয়েছে অযোধ্যাতে রাম মন্দির নির্মাণ ট্রাস্টের সভাপতি হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
সুপ্রিম কোর্ট মন্দির নির্মাণের ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারকে। কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত ট্রাস্টের সদস্য কারা হবেন সে ব্যাপারে কোনও ঘোষণা করেনি।
ফেসবুক পোস্টগুলি আর্কাইভ করা আছে এখানে ও এখানে।
এমাসের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বিচারকদের এজলাস বিতর্কিত ২.৭৭ একর জায়গার ব্যাপারে অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় দেন। ওই রায়ে অযোধ্যাতেই মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ৫ একর জায়গা দেওয়ার নির্দেশ দেয় মহামান্য আদালত। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের হাতে ওই জায়গা হস্তান্তরের ভার দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার বা উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকারকে।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর একদল হিন্দু জনতা বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে। ১৬ শতাব্দীতে অযোধ্যায় নির্মিত হয়েছিল ওই মসজিদ। মসজিদের বিবাদী পক্ষ সর্বদা বলে এসেছে হানাদাররা আক্রমন করে মন্দির ভেঙে তৈরি করেছিল ওই মসজিদ। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার পরে দেশজুড়ে দাঙ্গায় মারা যায় প্রায় ২০০০ জনের বেশি মানুষ।
অপরদিকে, রাম মন্দির নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রয়োজনীয় ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। খবরে প্রকাশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আমলারা ওই ট্রাস্ট গঠনের জন্য ১,০৪৫ পাতার ওই রায় ক্ষতিয়ে দেখছে। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইন মন্ত্রকের পরামর্শ নেওয়া হতে পারে।
রামজন্মভূমি নায়াসের প্রধান মহান্ত নিত্যগোপাল দাস যোগী আদিত্যনাথের নাম ওই মন্দির গঠনের ট্রাস্টের প্রধান হিসেবে সুপারিশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, গোরক্ষপুরের গোরক্ষনাথ মন্দিরের মহান্ত হিসেবেই ওই নাম সুপারিশ করেছেন তিনি।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র শরদ শর্মা সুপারিশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও যোগী আদিত্যনাথকে যেন মন্দির নির্মাণ ট্রাস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বিজেপি মতাদর্শী ওই সংগঠনের মতে মন্দির নির্মাণ যেন রামজন্মভূমি নায়াসের নক্সা অনুযায়ী করা হয়।
রবিবার অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল' বোর্ড ও জমাতে উলেমায়ে হিন্দ জানায়, রায় পুর্নবিবেচনার জন্য তারা সুপ্রিম কোর্টে পিটিশান দাখিল করবে।