মিথ্যে দাবিতে ছড়াল সোনিয়া গাঁধী ও মনমোহন সিংহের ২০১৭ সালের ভিডিও
বুম দেখে ভিডিওটি ২০১৭ সালের যখন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে মনমোহন সিংহ ও সোনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করেন।
২০১৭'র একটি ভিডিওতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংহ (Manmohan Singh) ও কংগ্রেস (Congress) সভানেত্রী সোনিয়া গাঁধীকে (Sonia Gandhi) শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের (Ranil Wickremesinghe) সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেখা যাচ্ছে। সেই ভিডিওটি এখন আবার এই বলে শেয়ার করা হচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও সোনিয়া গাঁধী মনমোহন সিংহকে গুরুত্ব দেননি।
ভাইরাল ভিডিওটি নেটিজেনরা এই বলে শেয়ার করছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর আসনে বহাল থাকা সত্ত্বেও, সোনিয়া গাঁধী মনমোহন সিংহকে অসম্মান করেন। বুম দেখে, ভিডিওটি এপ্রিল ২০১৭'য় তোলা হয়। মনমোহন সিংহ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত।
৩২ সেকেন্ডের ভিডিওটি একটি ক্যাপশন সমেত টুইট করা হচ্ছে। তাতে বলা হয়েছে, "খুবই হতাশাজনক ভিডিও ক্লিপ। দেখুন তিনি কী ভাবে সেই সময়কার প্রধানমন্ত্রী এমএমএসআই-কে গুরুত্বহীন করে দেন।"
ভিডিওটি এখানে আর্কাইভ করা হয়েছে।
ফেসবুকে ভাইরাল
ভিডিওটি ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন; আর্কাইভ দেখতে এখানে।
আরও একটি ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ দেখুন এখানে।
আরও পড়ুন: আইএসআইএস-এর ভাঙা ধর্মীয়স্থানের ছবি ছড়াল ইজরায়েল মসজিদ ভাঙল বলে
তথ্য যাচাই
কি-ওয়ার্ড দিয়ে বুম ইউটিউবে সার্চ করে। দেখা যায়, এনএনআইএস নামের এক সংবাদ মাধ্যম ২৬ এপ্রিল ২০১৭'য় ভিডিওটি আপলোড করে। ভিডিওটির শিরোনাম হল, "শ্রীলঙ্কার পিএম সোনিয়া গাঁধী ও মনমোহন সিংহের সঙ্গে আলোচনা করছেন"।
ওই ভিডিওটিতে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে চার দিনের ভারত সফরে এলে, ২৬ এপ্রিল ২০১৭'য় তিনি বিরোধী পার্টির নেত্রী সোনিয়া গাঁধী ও প্রাক্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহর সঙ্গে দেখা করেন।
ইউটিউবের ভিডিওটি থেকে নেওয়া নীচের কয়েকটি ফ্রেমে ড.সিংহকে সাক্ষাৎকারের জায়গায় প্রবেশ করতে দেখা যাচ্ছে।
২৬ এপ্রিল ২০১৭'য় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের করা একটি টুইটও আমরা দেখতে পাই।
বিক্রমসিঙ্ঘের ওই সফরকালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়। 'এশিয়ান এজ' ও 'নিউজফার্স্ট-এর' রিপোর্ট পড়ুন। ২০১৯-এও বুম ভিডিওটি নস্যাৎ করেছিল।
আরও পড়ুন: ভিডিও গেমের দৃশ্যকে বলা হল ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কেরামতি