গুজরাতের স্টেশনে মহড়া ভিডিও ছড়াল উগ্রপন্থী হামলা বানচাল বলে
বুম রতলাম বিভাগের নিরাপত্তা কমিশনারের সঙ্গে কথা বললে তিনি নিশ্চিত করেন এটি সন্ত্রাস হামলা দমনে প্রশিক্ষণের মহড়া ভিডিও।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া গুজরাতের (Gujarat) দাহোদ (Dahod) স্টেশনে হওয়া একটি মক ড্রিল বা মহড়া (mockdrill video) ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে রেল স্টেশন থেকে উগ্রপন্থীদের গ্রেফতার করল পুলিশ।
বুম রতলাম-এর ডিভিশনাল সিকিয়োরিটি কমিশনারের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান যে, ভাইরাল হওয়া ক্লিপটি একটি মহড়ার। রেলওয়ে প্রটেকশন ফোর্স, গভর্নমেন্ট রেল পুলিশ ও রেলকর্মীরা ৩০ মার্চ একত্রে এই মহড়া দিয়েছিলেন।
তিন মিনিট কুড়ি সেকেন্ডের এই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক দল পুলিশকর্মী দু'জন লোককে কম্বল মুড়ি দিয়ে তাদের হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নিচ্ছেন, এবং তাদের হেফাজতে নিচ্ছেন। পুলিশকর্মীদের প্রত্যেকের হাতেই অস্ত্র রয়েছে, এবং প্রত্যেকের গায়েই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তিকে তাঁরা স্টেশনেই আরপিএফ পোস্টে নিয়ে যান।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সঙ্গে হিন্দিতে লেখা ক্যাপশন রয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, "দেখুন, সাহসী ভারতীয় সৈন্যরা কী ভাবে দাহোদ স্টেশন থেকে উগ্রপন্থীদের গ্রেফতার করলেন।"
(হিন্দিতে: देखिए कैसे दाहोद स्टेशन में देश के वीर सैनिकों ने आतंकवादियो को पकड़ा)
এই ভাইরাল ভিডিওটি ইয়ে ইউপি হ্যায় চাচা নামের ফেসবুক পেজ থেকে ৪৯ লক্ষ বারেরও বেশি শেয়ার করা হয়েছে।
ভিডিওটি একই ক্যাপশনের সঙ্গে টুইটারেও শেয়ার করা হয়েছে।
বিভ্রান্তিকর ক্যাপশন সমেত ভিডিওটি অন্য ফেসবুক পেজ থেকেও শেয়ার করা হয়েছে।
বহু ফেসবুক পেজে একই রকম বিভ্রান্তিকর দাবি সমেত এই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সম্পাদিত ছবির ভুয়ো দাবি অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূল যোগদান
বুম কিওয়ার্ড সার্চ করে এক গুজরাতি ওয়েবসাইট দিব্যা ভাস্কর-এ একটি রিপোর্টের সন্ধান পায়, যেখানে এই ভিডিওর স্ত্রিনশট ব্যবহার করা হয়েছে।
এই রিপোর্টের সূত্র ধরে বুম রতলাম-এর ডিভিশনাল সিকিয়োরিটি কমিশনার (ডিএসসি) রমণ কুমারের সঙ্গে কথা বললে তিনি নিশ্চিত করে জানান যে, ভিডিওটি মহড়ার সময়েই তোলা।
"৩০ মার্চ তিনটি বিভাগ একত্রে এই মক ড্রিল করেছিল— আরপিএফ, জিআরপি এবং রেলওয়ে কর্মিবর্গ। কী ভাবে উগ্রপন্থী হানা ঠেকাতে হবে, এটি তারই মহড়া চলছিল। প্রত্যেকেই দাহোদ রেলওয়ে স্টেশনে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছিলেন।"— ডিএসসি রতলাম বুমকে জানান।
আরও পড়ুন: না, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ির কাঁচ ভেতর থেকে ভাঙা হয়নি