জাপানে ধস নামার দৃশ্য ধর্মশালায় হড়পা বান বলে শেয়ার করা হল
বুম দেখে যে ভাইরাল ভিডিটি ২০২১ সালের ৩ জুলাই জাপানের আটামি সৈকত শহরে প্রবল বর্ষণের ফলে যে ব্যাপক ধস নামার দৃশ্য।
জাপানের (Japan) আটামি শহরে ব্যাপক ধস (landslide) নামার ভিডিও মিথ্যে দাবি সহ সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই বলে যে, এই ভয়ঙ্কর দৃশ্যগুলি হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) ধর্মশালায় (Dharamshala) সম্প্রতি যে বন্যা হয়েছে তার দৃশ্য।
২০২১ সালের ১২ জুলাই ধর্মশালায় লাগাতার বৃষ্টির ফলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে ১২ জুলাই কাংড়া জেলায় মেঘভাঙা (cloudburst) বৃষ্টি হয়। তার ফলে ভাগসু গ্রামে ব্যাপক সম্পত্তিহানি হয়। আই এম ডি সোমবার ও মঙ্গলবারে হিমাচল প্রদেশে ভারী থেকে আতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করে এবং ১৪ ও ১৫ জুলাই হলুদ সতর্কতা জারি করে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে, "হিমাচলপ্রদেশের ধর্মশালায় মেখভাঙা বৃষ্টিতে হড়পা বান আসে"।
পোস্টটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
একই ক্যাপশন সমেত ভিডিওটি টুইটারেও ছড়িয়েছে।
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
আরও পড়ুন: এক কল্পবিজ্ঞান সিনেমার দৃশ্যকে কানাডায় হারিকেনের তাণ্ডব বলা হল
তথ্য যাচাই
বুম ভিডিওটিকে কয়েকটি মূল ফ্রমে ভেঙ্গে নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে। তার ফলে আমরা জাপানের আটামি শহরে ধস নামার ভিডিওটি দেখতে পাই।
২০২১ সালের ৪ জুলাই দ্য ন্যাশনাল ভিডিওটি পোস্ট করে এবং সঙ্গে ক্যাপশন দেয়, "জাপানের আটামিতে ধস নামার ফলে ২০ জন মানুষকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না"।
ওই টুইটটিতে একটি সংবাদ প্রতিবেদনও দেওয়া হয় যাতে লেখা ছিল, " টোকিও থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত শিজকাউ প্রদেশের একটি ছোটো শহরের রাস্তার উপর কাদা আর পাথরের বিপুল স্রোত নেমে আসে। এর ফলে কাছাকাছি বাড়িগুলি ভেসে যায়। দক্ষিণ জাপানের আটামিতে প্রবল বর্ষণের এক সপ্তাহ পর এই ধস নামার ফলে দুজনের মৃত্যু হয়"।
আল জাজিরার একটি সংবাদ বুলেটিনে এই দুর্ঘটনার দৃশ্য ব্যবহার করা হয়।
একই ভিডিওর সঙ্গে সিবিএস ইভনিংনিউজ এবং দ্য ওয়েদার নেটওয়ার্কে এই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
২০২১ সালের ৪ জুলাই বিবিসির একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যাতে বলা হয়, "আটামিতে সাধারণত সারা জুলাই মাস জুড়ে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয় এ বছর জুলাই মাসের প্রথম তিন দিনে তার চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান শনিবার স্থানীয় সময় ১০.৩০ টায় (০১.৩০ জিএমটি) এই ধস নামে।
আরও পড়ুন: মোদীকে ফোন করে মেসির কোপা জয় উদযাপন? প্রতিবেদনের ছবিটি সম্পাদিত