কেরলে বন্ধ হবে জিও ইন্টারনেট বিভ্রান্তিকর দাবিতে ছড়াল গ্রাফিক পোস্ট
বুম যাচাই করে দেখে কেরল রাজ্যে জিও টেলি-নেটওয়ার্ক বন্ধ হতে চলেছে এই ব্যাপারে গণমাধ্যমে কোনও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি।
সোশাল মিডিয়ায় কেরল সরকার (Kerala) প্রতিষ্ঠিত রাজ্যজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা কেরল ফাইবার নেটওয়ার্ক বা কে-ফন (K-Fon) চালু করা নিয়ে বিভ্রান্তিকর দাবি করা হচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পোস্টে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে নতুন সালের শুরু থেকে জিও (Jio) নেটওয়ার্ক বন্ধ (Ban) করে দেওয়া হবে জানিয়েছে কেরল সরকার।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া গ্রাফিক পোস্টটিতে লেখা হয়েছে, "মোদি আর আম্বানিকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা উচিত শিক্ষা, নতুন সালের শুরু থেকেই সমস্ত কেরালা জুড়ে জিও নেটওয়ার্করে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং চালু করা হবে সরকারের নিজশ্ব নেটওয়ার্ক, কেরালা ফাইবার নেট। সেটাও আবার জিওর থেকে অর্ধেক দামে। মুখ্যমন্ত্রী হলে এমনি হতে হবে, যে প্রধানমন্ত্রীর নাকের ডগায় দাঁড়িয়ে প্রধান মন্ত্রীকেই চ্যালেঞ্জ জানাবে।" (বানান অপরিবর্তিত)
বুম দেখে ফেসবুকে একই দাবি সহ গ্রাফিক পোস্টটি ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে।
আরও পড়ুন: মালায়লি অভিনেত্রীর ছবি ছড়াল দেশের ধর্ম ও জাতিবিহীন মহিলা স্নেহা বলে
তথ্য যাচাই
বুম যাচাই করে দেখে কেরল সরকার রাজ্যে রিলায়েন্স গোষ্ঠীর জিও নেটওয়ার্ক ব্যান করেননি। টেলিকম পরিষেবা সংক্রান্ত লাইসেন্স প্রদান কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। বিশেষ কোনও টেলিকম নেটওয়ার্ক ব্যান করা রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারের বাইরে। নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িক ভাবে কোনও অঞ্চলের ইন্টারনেট রাজ্যের স্বরাষ্ট্রদপ্তর বন্ধ করে রাখতে পারে মাত্র।
দ্য মিন্ট-এ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan) নেতৃত্বাধীন কেরল সরকার ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কেরল ফাইবার নেটওয়ার্ক বা কে-ফন চালু করে।
রাজ্যের দুর্গম এলাকায় বসবাসকারী পরিবার, দারিদ্র সীমার নীচে থাকা পরিবার সহ সবার ঘরে ঘরে সাধ্যের মধ্যে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ইন্টানেট পরিষেবা প্রদান এবং রাজ্য সরকারের নানান কার্যালয়ে সংযোগ প্রদান এই প্রকল্পের মূললক্ষ্য।
বিষয়টি নিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদন পড়া যাবে এখানে।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন সংস্থার তরফে আড়াই লাখ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন কেরল রাজ্যকে দান করার জন্য ১১ অগস্ট ২০২১ পিনারাই বিজয়ন টুইটারে ধন্যবাদ জানান।