২০১৫ সালে মোঙ্গোলিয়ার ভিডিওকে বলা হল টোকিও অলিম্পিকে সূর্য নমস্কার
বুম যাচাই করে দেখে সূর্য নমস্কারের ভিডিওটি ২০১৫ সালে মোঙ্গোলিয়ায় আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক যোগ অনুষ্ঠানের দৃশ্য।
২০১৫ সালে মোঙ্গোলিয়ায় (Mongolia) তোলা একটি ভিডিওতে, ১২ আসনের সূর্য নমস্কার (Surya Namaskar) করতে দেখা যাচ্ছে একটি যোগ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের। ভিডিওটি (Video) এই মিথ্যে দাবি সমেত ভাইরাল হয়েছে যে, তাতে টোকিও অলিম্পিকের (Tokyo Olympics) একটি দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
টোকিও অলিম্পিক ২০২০, ২৩ জুলাই শুরু হয়েছিল। তাতে ১২০ জন ভারতীয় খেলোয়াড় (৬৭ পুরুষ, ৫৩ মহিলা) অংশ নেয়। ২৪ জুলাই, ভারোত্তলক মীরাবাই চানু, (৪৯ কেজি বিভাগে) রৌপ্য পদক জিতে ইতিহাস গড়েন। ২১ বছর পর, ভারত এই বিভাগে অলিম্পিক মেডেল জিতল।
ভিডিওটিতে যোগে অংশগ্রহণকারীদের ভারতীয় তেরঙা পরে সূর্যপ্রণাম করতে দেখা যাচ্ছে।
ক্লিপটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, "জাপানে অনুষ্ঠিত টোকিও অলিম্পিকে আমাদের জতীয় পতাকার রঙের পোশাক পরে সূর্যপ্রণাম করা হচ্ছে...৩.১৪ মিনিটের ভিডিও। সারা বিশ্বে আমারদের সংস্কৃতি ছড়ানোর জন্য গর্বিত।"
ফেসবুকে এই রকম একটি পোস্ট দেখার জন্য ক্লিক করুন এখানে।
ওই একই ক্যাপশন সমেত ভিডিওটি যাচাইয়ের জন্য বুমের হোয়াটসঅ্যাপ টিপলাইনে আসে।
একই ক্যাপশন সমেত ভিডিওটি টুইটারেও পোস্ট করা হয়।
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
আরও পড়ুন: কুস্তিতে প্রিয়া মালিকের সোনা জয় ভুল করে ছড়াল টোকিও অলিম্পিক বলে
তথ্য যাচাই
আমরা ভিডিওটির প্রধান ফ্রেমগুলি বার করে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। তার ফলে, সেটির একটি বড় সংস্করণ দেখতে পাই। ১৭ মে ২০১৫ প্রধানমন্ত্রী মোদীর সরকারি ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছিল সেটি।
ভিডিওটির বিবরণে বলা হয়, "১৭ মে ২০১৫ উলানবাটোরে, 'আর্ট অফ লিভিং' আয়োজিত নাগরিক সম্বর্ধনা ও যোগ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।"
ভাইরাল ভিডিও এবং ১৭ মে ২০১৫ প্রধানমন্ত্রী মোদীর ইউটিউব চ্যানেল থেকে সম্প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যে তুলনা করা হল।
এটিকে সূত্র ধরে আমরা কি-ওয়ার্ড সার্চ করি। তার ফলে ওই অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে বিদেশ মন্ত্রক ও আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের টুইট দেখতে পাই। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বুয়ান্ত উখা স্টেডিয়ামে, আধ্যাত্বিক গুরু রবি শঙ্কর-এর আর্ট অফ লিভিং আয়োজিত ওই নাগরিক সম্বর্ধনা ও যোগ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী ভাষণ দেন।
আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশন হল একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। শ্রী শ্রী রবি শঙ্কর সংস্থাটি ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। ১৫৬ দেশে কাজ করে ওই ফাউন্ডেশন।