মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জখমি পা বলে ছড়ানো হল পুরনো ছবি
বুম দেখে ২০১৮ থেকে ছবিটি ইন্টারনেটে রয়েছে যা অনেকবার সম্পকর্হীন ব্লগ ও পোলিশ ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা হয়েছে।
দু'টি ফটোর একটি সেটে দু'টি আঘাতলাগা পা দেখা যাচ্ছে। ছবি দু'টি এই দাবি সমেত ভাইরাল হয়েছ যে, সেগুলি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পায়ের ছবি। ১০ মার্চ, উনি নন্দীগ্রামে (Nandigram) আহত হন।
একটি হল ফুলে যাওয়া গোড়ালির ছবি। দ্বিতীয়টিতে একটি প্লাস্টার করা পা দেখা যাচ্ছে। ছবি দু'টির সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশনে বলা হয়েছে, "মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের ছবি, এই আঘাত বাংলার মানুষ মেনে নেবে না, ৬ বিভাগীয় প্রধান কে নিয়ে মেডিকেল বোর্ড…
মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন এবং অভিযোগ করেন যে, সেখানে তিনি আক্রান্ত হন। উনি বলেন, চার পাঁচ জন লোক তাঁকে ধাক্কা দিয়ে তাঁর গাড়ির দরজা জোরে বন্ধ করে দেয়।তার ফলে উনি পায়ে ও গলায় আঘাত পান। ওই ঘটনার পর তাঁকে দ্রুত কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) ভর্তি করা হয়। এসএসকেএম-এর এক উচ্চপদস্থ চিকিৎসক 'ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'কে বলেন যে, প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেছে তাঁর বাঁ পায়ের গোড়ালিতে, পায়ের পাতায়, ঘাড়ের ডান দিকে, হাতে ও গলার হাড়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আঘাত পেয়েছেন বলে দাবি করার পরের দিন, প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন তাঁর ওপর কোনও আক্রমণ হয়নি।
পোস্টটি এখানে দেখা যাবে; আর্কাইভ এখানে।
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা ছবিটি নন্দীগ্রাম ঘটনার আগের
তথ্য যাচাই
বুম দেখে প্লাস্টার বাঁধা পায়ের ছবিটির সঙ্গে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঘাতের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখি যে সেটি ২০১৮ থেকে ইন্টারনেটে রয়েছে।
সার্চ করার ফলে, ছবিটির এমন অনেক সূত্র আমরা দেখতে পাই যেগুলি ২০১৮ থেকে রয়েছে। ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তে, অ্যামিনোঅ্যাপে আপলোড করা একটি ব্লগের পোস্টে আমরা ওই একই ছবিটি দেখতে পাই।
জুলাই ২০১৮তে, 'নোয়ী জেইমিক' নামের একটি পোলিশ সাপ্তাহিকেও ছবিটি ব্যববহার করা হয়। বুম ছবিটি নিজে যাচাই করে দেখতে পারেনি। কিন্তু সেটি যে ২০১৮ থেকে ইন্টারনেটে রয়েছে, সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি। তাই থেকে এটা স্পষ্ট যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঘাতের সঙ্গে সেটির কোনও যোগ নেই।
ফুলে থাকা গোড়ালির ছবিটিও বুম নিজস্ব উপায়ে যাচাই করে দেখতে পারেনি।
আরও পড়ুন: না, বদরুদ্দিন আজমল বলেননি ভারত একটি ইসলামিক রাষ্ট্র হবে