ইডির নয়া সমনে সোনিয়া গাঁধীর প্রতিক্রিয়া দাবিতে ছড়াল ২০১৫ সালের ভিডিও
বুম দেখে ভাইরাল ভিডিওটি ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের, সোনিয়া গাঁধী তখন বলেন আদালতে মামালায় হাজিরার সমন পেয়ে তিনি আদৌ ভীত নন।
২০১৫ সালের একটি ভিডিও ভাইরাল হল, যেখানে সোনিয়া গাঁধীকে (Sonia Gandhi) সাংবাদিকদের বলতে শোনা যাচ্ছে যে, তিনি সহজে ভয় পাওয়ার পাত্রী নন, কারণ তিনি ইন্দিরা গাঁধীর (Indira Gandhi) পুত্রবধূ। এই ভিডিওটিকে মিথ্যা দাবির সঙ্গে জিইয়ে তোলা হল। ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হল যে, টাকা নয়ছয় করার অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ED) তাঁকে সম্প্রতি সমন পাঠানোর পরই সোনিয়া গাঁধী এই প্রতিক্রিয়া জানান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গাঁধী, এবং তাঁর পুত্র লোকসভার সাংসদ রাহুল গাঁধীকে ছয় মাস আগে দায়ের হওয়া ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের সম্পত্তি অন্যায় ভাবে দখল করা ও টাকা নয়ছয় করা সংক্রান্ত একটি মামলায় ইডি সমন পাঠিয়েছে। সোনিয়া ও রাহুলের ৮ জুন ইডির সামনে হাজিরা দেওয়ার কথা।
ছয় সেকেন্ডের ভিডিওটিতে সনিয়া গাঁধীকে হিন্দিতে বলতে শোনা যাচ্ছে, "আমি ইন্দিরাজির পুত্রবধূ, আমি কাউকে ভয় পাই না।" এই ভিডিওটি যে হিন্দি ক্যাপশনের সঙ্গে শেয়ার করা হচ্ছে, তাতে লেখা হয়েছে, "রাস্তার কোনও লোফার চুরি করলে তাকে যদি পুলিশ ধরে তো সে বলে, আমার মামা বিধায়ক, জেঠামশাই মন্ত্রী। সেই রকমই, ইডি যখন সোনিয়া গাঁধীকে সরকারি সম্পত্তি নয়ছয় করার অভিযোগে ডেকে পাঠিয়েছে, তখন সনিয়া বলছেন যে আমি ইন্দিরার পুত্রবধূ।"
(হিন্দিতে মূল ক্যাপশন: "गली का कोई लफ़ंडर चोरी करता हैं, पुलिस पकड़ने आए तो बोलता हैं मेरे मामा विधायक हैं-ताऊ मंत्री हैं, ऐसे ही जब ED ने सोनिया को सरकारी खजाने से चोरी करने पर पूछताछ को बुलाया तो सोनिया बोली मैं इंद्रा की बहू हूँ")
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মধু সংগ্রাহকের ভিডিও ভারতে মিথ্যে দাবি সহ ভাইরাল হল
তথ্য যাচাই
বুম 'সোনিয়া গাঁধী আমি ইন্দিরা গাঁধীর পুত্রবধূ', এই কথাগুলি দিয়ে কিওয়ার্ড সার্চ করে, এবং ইউটিউবে ২৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিওর সন্ধান পায়, যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইন ২০১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর আপলোড করেছিল।
ইন্ডিয়া টুডেও এই একই ভিডিও নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
টাইমস অব ইন্ডিয়াতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৫ সালে দিল্লির এক আদালত সোনিয়া গাঁধী, তাঁর পুত্র সাংসদ রাহুল গাঁধী ও আরও পাঁচ অভিযুক্তকে সমন পাঠিয়ে ১৯ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে বলে। এই বিষয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদন পড়তে পারেন এখানে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৩ সালে বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী একটি আবেদন দাখিল করেন, এবং অভিযোগ করেন যে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রটির অধিগ্রহণের সময় গাঁধী পরিবার টাকাপয়সা নয়ছয় করেছিল, এবং মিথ্যাচার করেছিল।
বর্তমানে ইডি যে মামলাটি চালাচ্ছে, তার ভিত্তি হল একটি আদালতের নির্দেশ, যাতে আয়কর দফতরকে এই সংবাদপত্রের আর্থিক দিক খতিয়ে দেখার, এবং সনিয়া ও রাহুলের আয়করের পর্যালোচনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নোটে গাঁধীর বদলে রবীন্দ্রনাথ, কালামের ছবি অস্বীকার করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক