রামানুজন পুরস্কার প্রাপক নীনা গুপ্ত সম্পর্কে ছড়াল বিভ্রান্তি
বুম যাচাই করে দেখে নীনা গুপ্তের আগে প্রথম ভারতীয় হিসাবে সুজাতা নামদোরাই ২০০৬ সালে রামানুজন পুরস্কারে সন্মানিত হয়েছেন।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পোস্টে বিভ্রান্তিকর (misleading claims) দাবি করা হয়েছে নীনা গুপ্ত (Neena Gupta) প্রথম ভারতীয় (Indian) গণিতবিদ (mathematician) যিনি রামানুজন পুরস্কারে (Ramanujan Prize) সন্মানিত হয়েছেন।
বুম যাচাই করে দেখে নীনা গুপ্তের আগে প্রথম ভারতীয় হিসাবে সুজাতা নামদোরাই ২০০৬ সালে রামানুজন পুরস্কারে সন্মানিত হয়েছেন। ২০১৫ ও ২০১৮ সালে যথাক্রমে অমলেন্দু কৃষ্ণ ও ঋতব্রত মুন্সিও একই পুরস্কার পান।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া পোস্টে বিভ্রান্তিকর দাবি করা হয়েছে, "ভারতীয় মহিলা যিনি এই পুরস্কার জিতেছেন।"
ফেসবুক পোস্টটিতে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "ইনি হলেন! নীনা গুপ্ত গণিতবিদ যদি আপনি শাহরুখ খান এবং দীপিকা পাড়ুকোনের কাছ থেকে অবসর সময় পান, তবে ভারতীয়দেরও তাদের চিনতে হবে! তিনি রামানুজন পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন, ভারতীয় মহিলা যিনি এই পুরস্কার জিতেছেন। এবং জন্ম কলকাতায় । ভারতের এই কন্যা গণিতে ভারতের পারদর্শিতা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। গণমাধ্যমকর্মীরা, অর্ধনগ্ন মহাজাগতিক সৌন্দর্য থেকে যখন কিছুটা সময় পান, তখন কৃতিত্বের প্রতি খেয়াল রাখেন #রামানুজন_পুরষ্কারপ্রাপ্ত ভারতীয় গণিতবিদ নীনা গুপ্তা।" (ক্যাপশনের বানান অপরিবার্তিত)
ফেসবুক পোস্টটি দেখুন এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম গুগলে কিওয়ার্ড সার্চ করে দেখে ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ কমবয়সী গণিতজ্ঞ হিসাবে কলকাতার ভারতীয় রাশিবিজ্ঞান সংস্থার অধ্যাপিকা নীনা গুপ্তকে সন্মানিত করা হয়। এ ব্যাপারে প্রকাশিত দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন পড়ুন এখানে।
ইতালির আবদুস সালাম আন্তর্জাতিক তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যা কেন্দ্র ও আন্তর্জাতিক গণিতিক ইউনিয়ন এবং ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অর্থানুকূল্যে ৪৫ বছরের কমবয়সী উন্নয়নশীল দেশের বিজ্ঞানীকে নির্বাচিত করা হয় প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বর।
বুম আবদুস সালাম আন্তর্জাতিক তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যা কেন্দ্রে ওয়েবাসাইটে দেওয়া তালিকায় দেখে ২০২১ সালে নীনা গুপ্ত রামানুজন পুরস্কারে সন্মানিত হলেও তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলা গণিতজ্ঞ নন যিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন।
২০০৬ সালে টাটা ইন্সটিটিউট অফ ফান্ডামেন্টার রিসার্চের অধ্যাপিকা সুজাতা নামদোরাই রামানুজন পুরস্কারে সন্মানিত হয়েছেন। ২০১৫ ও ২০১৮ সালে ভারতীয় আরও দু'জন যথাক্রমে অমলেন্দু কৃষ্ণ ও ঋতব্রত মুন্সিও একই পুরস্কার পান।