বিভ্রান্তিকর দাবি—পাবজি আসক্তিতে হাসপাতালে কিশোরের গেম খেলার ভঙ্গিমা
বুম দেখে ৪ এপ্রিল ২০২২ কিশোরটি তিরুনিভেলি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়। পাবজি নয়, ডাক্তাররা বলছেন ভিন্ন কারণ।
তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) হাসপাতালের বেডে এক কিশোরের স্ট্রেচারে শুয়ে বন্দুক (Gun) চালানোর ভঙ্গিমার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর দাবি সহ ছড়াচ্ছে। ফেসবুক পোস্টে ভিডিওটি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে পাবজি গেম (PUBG) খেলার আসক্তির জন্য ওই ভঙ্গিমা করছে কিশোরটি।
বুম যাচাই করে দেখে তিরুনিভেলি মেডিকেল কলেজের ডাক্তারদের দাবি আসক্তি নয় সম্ভবত অন্য কারণে সে এই ধরণের ব্যবহার করছিল। ঘন্টাখানেক পর সে এসব ভঙ্গিমা বন্ধ করে দেয়।
২৯ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায় নীল জামা পরিহিত একটি কিশোর হাসপাতালের স্ট্রেচারে শুয়ে বন্দুক চালানোর মতো অঙ্গভঙ্গি করছে।
ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "পাবজি-ফ্রী ফায়ার গেম এ আসক্ত ছেলেটির অবস্থা দেখুন৷"
ভিডিওটি দেখুন এখানে।
আরও পড়ুন: না, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন গ্রীষ্মের দাবদহে তেলের ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ সতর্ক করেনি
তথ্য যাচাই
বুম রিভার্স সার্চ করে সংশ্লিষ্ট ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি দেখতে পায় ৭ এপ্রিল ২০২২ প্রকাশিত এবিপি তামিল-এর ওয়েবসাইটে।
ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়, নেল্লুরি জেলার নানগুনেরির বাসিন্দা ১৭ বছর বয়সী ওই ছাত্রকে মাঝরাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় চিকিৎসার জন্য। ভোর হতে না হতেই অবশ্য ছেলেটি উধাও হয়ে যায়।
৮ এপ্রিল ২০২২ প্রকাশিত টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে লেখা হয়, কিশোরটি পাবজি-গেম খেলার জন্য এই আসক্তির শিকার হয়নি। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সে এই ধরণের ব্যবহার করছিল। স্ট্রেচারে শুয়ে পাবজি গেম খেলার ভঙ্গিমা করে সে। বাবা-মা ছেলেটিকে বকার কারণে আগ্রহ পেতে তাদের এই ধরণের ব্যবহার দেখাচ্ছিল।
হাসপাতালে ভর্তি করার এক ঘন্টা পরে সে এই ধরণের ভঙ্গিমা করা ছেড়ে দেয়। পরের দিন সকালে তার বাবা-মা ছেলেটিকে ছুটি করে নিয়ে যায়।
তিরুনিভেলি মেডিকেল কলেজের ডিন এম রভিচন্দ্রণ টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, এটা কোনও রোগ নয়। হয়ত সে একটু বেশি মোবাইল ব্যবহার করে কিন্তু আসক্তির ঘটনা নয়।
কেউ ভিডিওটি অজান্তে তুলে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ছাড়ালে এই ধরণের বিভ্রান্তি ছড়ায় একাংশের গণমাধ্যমে। ৪ এপ্রিল ২০২২ ওই কিশোরকে ভর্তি করা হয় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে। ডাক্তাররা নিশ্চিত হতে আরও একবার ওই ছেলেটিকে হাসপাতালে দেখিয়ে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ছেলেটির বাবা-মা কে।
আরও পড়ুন: না, ভাইরাল ছবিটি স্বাধীন ভারতের প্রথম ইফতার পার্টির দৃশ্য নয়