ভুয়ো পীর বাবার কেরামতি ফাঁসের ভিডিও পাকিস্তানের, ভারতের নয়
বুম দেখে ভিডিওটি পাকিস্তানের একটি ঘটনা। সেখানে ভুয়ো ফন্দিফিকিরের জন্য গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে।
একটি ভিডিওতে পাকিস্তানের (Pakistan) শিয়ালকোটে পুলিশকে একটি কবর খুঁড়ে ফেলতে দেখা যাচ্ছে। এবং তার ফলে, প্রকাশ পাচ্ছে যে, তার নীচে থাকতেন এক 'পীর', যিনি নাকি অলৌকিক শক্তিবলে লোকের রোগ সারাতেন। সেটি এখন ভারতের (India) সোশাল মিডিয়ায় এই বলে শেয়ার করা হচ্ছে যে, ভিডিওটি ভারতের পঞ্জাবে তোলা।
বুম দেখে ঘটনাটি ২০২০ সালে পাকিস্তানে ঘটেছিল এবং তার সঙ্গে ভারতের কোনও যোগ নেই।
হিন্দিতে লেখা ক্যাপশনটি অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, "পীর সাহেব কবরের ভেতর থেকে তাঁর অনুগামীদের প্রশ্নের উত্তর দিতেন। পঞ্জাব পুলিশ খবর পেলে, পীর সাহেবকে তাঁর কন্ঠস্বর সমেত কবর থেকে তুলে আনা হয়।"
(হিন্দিতে লেখা আসল ক্যাপশন: मुरीदो के पुकारने पर पीर साहब कबर से जवाब देते थे। जब पंजाब पुलिस को पता चला तो पीर साहब को आवाज समेत कब्र से बाहर निकाल लिया।)
পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন: কেরলে এক মুসলিম ব্যক্তি কি হাতিকে মাংস খাওয়াচ্ছেন? একটি তথ্য-যাচাই
তথ্য যাচাই
ভাইরাল ভিডিওটির একটি মূল ফ্রেম নিয়ে বুম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে। এবং ওই ভিডিওটি 'উর্দু ক্লিক অফিসিয়াল' নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেখতে পায় যেখানে ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ প্রকাশ করা হয় সেটি।
ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, "শেষমেশ, শিয়ালকোট পুলিশ ভুয়ো পীরকে গ্রেফতার করল ২০২০।"
এই সূত্র ধরে আমরা উর্দু শব্দ দিয়ে টুইটারে কি-ওয়ার্ড সার্চ করি। তার ফলে দেখা যায় যে, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ওই একই ভিডিও টুইটারেও আপলোড করা হয়। পাকিস্তানের অনুসন্ধানী সাংবাদিক আদিল রাজা ভিডিওটি টুইট করেন ও সেই সঙ্গে বলেন, ঘটনাটি পাকিস্তানের শিয়ালকোটে ঘটে।
টুইটটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আমরা আরও দেখি যে, পাকিস্তানের খবরের চ্যানেল 'এআরওয়াই নিউজএস রিপোর্ট' ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ওই ঘটনাটি সম্পর্কে একটি খবর প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, "ওই অলৌকিক নিরাময়কারী একটি গোরস্থানে কবরের নীচে নিজের থাকার ব্যবস্থা করে ছিলেন। সেখানে তাঁর স্লিপিংব্যাগ ও খাবার পাওয়া যায়।"
ওই লেখায় আরও বলা হয় যে, "ওই কবরটির চারপাশে বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ কাটা হয়। সেগুলির সঙ্গে 'পীরের' বাস করার জায়গার যোগ ছিল। সেখান থেকে, 'ব্ল্যাক ম্যজিক' করার নাম করে মানুষকে বোকা বানিয়ে, তিনি মোটা টাকা আদায় করতেন।"
রিপোর্টটি থেকে আরও জানা যায় যে, ওই ভুয়ো পীরকে স্থানীয় পুলিশ গ্রেফতার করে, কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই জামিন পেয়ে তিনি তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে মোটরবাইকে চেপে চলে যান।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তিকর দাবি—পাবজি আসক্তিতে হাসপাতালে কিশোরের গেম খেলার ভঙ্গিমা