না, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সোনার এই মূর্তি সৌদি আরবে তৈরী নয়
বুম যাচাই করে দেখে গুজরাতের এক জহুরি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সোনার এই মূর্তি তৈরি করেছিলেন।
সম্প্রতি সৌদি আরবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সোনার তৈরি এক মূর্তি তৈরি ও স্থাপনা করা হয়েছে দাবি করে এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল এই ভিডিওতে দেখতে পাওয়া প্রধানমন্ত্রী মোদীর সোনার ওই মূর্তি আদতে তৈরি করেছিলেন গুজরাতের এক জহুরি।
কিছুদিন আগেই গ্রিসের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সম্মানিত হন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গত মাসে হওয়া ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয় গ্রিসের এথেন্সের রাষ্ট্রপতি ভবনে। তবে এমনটা নতুন নয়, এর আগে ২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে সর্বোচ্চ নাগরিকের সম্মানে ভূষিত হন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
'১৫৬ গ্রাম' লেখা মূর্তিটির ওই ভিডিও পোস্ট করে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, "লোকে মোমের মুরতি তৈরি করে কিন্তু সৌদি আরব মুসলিম দেশে মোদীর সোনার মুরতি বানিয়ে দিয়েছে , আর এখানকার দেশদ্রোহী লোকের শুকনো লঙ্কার গুরো লাগার মতো জ্বলছে । ভারত মাতা কি জয় ----- জয় শ্রী রাম ।"
পোস্টটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
অন্য এক ব্যবহারকারীও ভিডিওটি পোস্ট করে লেখেন,"মোদী জীর মূর্তি সৌদি আরবে।"
পোস্টটির আর্কাইভ এখানে দেখা যাবে।
তথ্য যাচাই
বুম প্রথমে এবিষয়ে জানতে সম্পর্কিত কিওয়ার্ড সার্চ করে ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখে প্রকাশিত অমর উজালা সংবাদমাধ্যমের এক ভিডিও রিপোর্টে সোনার ওই মূর্তির বিষয়ে জানতে পারি।
ওই রিপোর্টে বলা হয়, গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ১৫৬টি আসন পাওয়ার উপলক্ষে সুরাটের একজন জহুরি সোনার ওই মূর্তিটি তৈরী করেন। যেহেতু ওই নির্বাচনে বিজেপির ১৫৬টি আসন পেয়েছিল, তাই ওই জহুরি মূর্তিটির ওজন ১৫৬ গ্রাম রাখেন বলেও জানা যায়।
ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সোনার এই মূর্তি তৈরী করতে ৩ মাস সময় এবং ১৫ জন কারিগর দরকার পড়েছিল।
এনডিটিভির প্রকাশিত এবিষয়ে ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখের এক প্রতিবেদনে রাধিকা চেন্স নামক এক গহনা-প্রস্তুতকারক মূর্তিটি তৈরি করে বলে রিপোর্ট করা হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গহনা-প্রস্তুতকারী সংস্থাটির মালিক বসন্ত বোহরা রাজস্থানের নাগরিক হলেও দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গুজরাতের সুরাটে বসবাস করছেন।
মূর্তিটি তৈরি করার পর বোহরা তার বিক্রির জন্য কোনও দাম রাখেননি বলেই জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত এনডিটিভির প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়।