পাকিস্তানে অস্ত্র উদ্ধারের ছবিকে জামিয়া মিলিয়া ক্যাম্পাসের ঘটনা বলা হল
বুম দেখছে যে ছবিটি দু’বছর পুরনো, পাকিস্তানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে অস্ত্র উদ্ধারের ছবি এটি।
সোশাল মিডিয়ায় মালায়ালি ভাষায় লেখা কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে দিল্লি পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এই দাবি আসলে মিথ্যে। এই মিথ্যে দাবির সঙ্গে যে ছবিটি অনলাইনে শেয়ার করা হয়েছে, সেটি আসলে পাকিস্তানের ছবি।
ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে কিছু বন্দুক, পিস্তল এবং ছুরি মেঝের উপর সাজানো রয়েছে।
নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যখন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা প্রতিবাদ করছে, সেই সময় এই ছবিটি শেয়ার করা হল। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলা প্রতিবাদের উপর পুলিশি আক্রমণের ভিডিও এবং ছবি দেখে জনসমাজে যেমন বিপুল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে, তেমনই আবার এই প্রশ্নটিকে ঘিরে মানুষের মতামত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছে।
ছবিটির সঙ্গে থাকা ক্যাপশনে দাবি করা হয়েছে, "পুলিশ জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে।"
তথ্য যাচাই
ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে আমরা পাকিস্তানের এক দৈনিক পত্রিকা 'ডন'-এর একটি সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাই। প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল 'মশাল খুনের পর ফের খুলল মর্দান বিশ্ববিদ্যালয়; হস্টেল তল্লাশিতে উদ্ধার হল অস্ত্র।' প্রতিবেদনটি ২২ মে, ২০১৭ তারিখে প্রকাশিত হয়েছিল।
ডন নিউজের প্রতিবদেনে লেখা হয়, "মর্দানের আব্দুল ওয়ালি খান বিশ্ববিদ্যালয় সোমবার খুললে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার হয়। মশাল খান খুন হওয়ার পর এ দিনই ফের খুলল বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মশাল খানকে ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগে পিটিয়ে মারা হয়।"পুরো প্রতিবেদনটি এখানে পড়তে পারেন।
পাকিস্তানের খবরের চ্যানেল ৯২ নিউজ-এ ছবিটি প্রকাশিত হয়েছিল।
ফ্যাক্ট ক্রেসেন্ডো আগে এই দাবির সত্যতা যাচাই করেছে।