ভাইরাল পোস্টারটি সিএএ-এর বিরুদ্ধে হওয়া প্রতিবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়
বুম খুঁজে পেয়েছে ছবিটি ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে কলকাতায় ''ইনোসেন্স অফ মুসলিমস'' নামে আমেরিকার একটি সিনেমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে তোলা হয়েছিল।
![ভাইরাল পোস্টারটি সিএএ-এর বিরুদ্ধে হওয়া প্রতিবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় ভাইরাল পোস্টারটি সিএএ-এর বিরুদ্ধে হওয়া প্রতিবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়](https://bangla.boomlive.in/h-upload/2020/01/24/823053-kolkata-movie-protest-poster.webp)
সোশাল মিডিয়ায় সিনেমার বিরুদ্ধে পোস্টার সহ প্রতিবাদের ছবি শেয়ার করে ভুয়ো দাবি করা হয়েছে, সেটি কলকাতায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ছবি। পোস্টারটিতে লেখা রয়েছে, ''নিপাত যাক তারা, যারা ইসলামের অবমাননা করে।'' (মূল ইংরেজিতে: Massacre those who insult Islam)
পোস্টারের নীচে আয়োজকদের নাম দেওয়া রয়েছে, ''আশিকায়ে-ই-রাসুল কমিটি, ৪১, আলিমুদ্দিন স্ট্রীট, কলকাতা-১৬ (বড় মসজিদ)।''
ফেসবুক পোস্টটিতে লেখা হয়েছে, ''পাকিস্তান বা বাংলাদেশের নয়, #CAA এর বিরুদ্ধে #কলকাতার দৃশ্য...আমরা বিগত দিনে ঘটে যাওয়া হিন্দুদের উপর অত্যাচারের কথা ভুলে গেছি। এর পরেও আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলব। পুনশ্চ- ইসলাম শান্তির ধর্ম''
এই পোস্টটি ফেসবুকে বেশ কয়েকজন শেয়ার করেছেন।
তথ্য যাচাই
বুম রিভার্স সার্চ করে মূল ছবিটি খুঁজে পেয়েছে। ছবিটির সঙ্গে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সারা দেশ জুড়ে লাগাতার চলতে থাকা আন্দোলনের কোনও যোগ নেই।
২০১২ সালের ৫ অক্টোবর ছবিটি তোলা হয়েছিল কলকাতায়। ''ইনোসেন্স অফ মুসলিমস্'' নামে একটি সিনেমা প্রযোজনার জন্য আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয় সারা পৃথিবী জুড়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষরা। ভাইরাল হওয়া ছবিটি এএপপির চিত্র সাংবাদিক দিব্যাংশু সরকার তোলেন। ছবিটি গেটটি ইমেজে দেখা যাবে এখানে।
এই সিনেমাটিকে কেন্দ্র করে লিবিয়া, মিশর, সুদান, টিউনেশিয়া, ইয়েমেন সহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়ানো প্রতিবাদ পরে হিংসাত্মক রূপ নেয়। পায়গম্বর হজরত মহাম্মদকে অবমাননা করা হয়েছে, এই যুক্তিতে আদালত পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। ইউটিউব থেকে সিনেমাটি সরিয়ে নেওয়ার রায় দেয় আমেরিকার আদালত। তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামাও সিনেমাটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন। গুগুলের মালিকানাধীন ইউটিউব বাক স্বাধীনতার যুক্তিতে মুভিটি সরিয়ে নিতে অস্বীকার করে। আরও পড়ুন এখানে।
আরও পড়ুন: অশ্লীল আচরণের দায়ে এক ব্যক্তিকে প্রহারের ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রঙ লাগানো হচ্ছে