তথ্য যাচাই: বিজেপি সাংসদ স্মৃতি ইরানি ধর্ষনে অভিযুক্ত চিন্ময়ানন্দকে নমস্কার জানিয়েছেন?
বুম অনুসন্ধান করে দেখেছে ছবিতে যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে তিনি বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ হুকমদেব যাদব।
বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানিকে একটি ছবিতে হাত জোড় করে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ হুকমদেব যাদবকে নমস্কার করতে দেখা গেছে। এই ছবিটি মিথ্যে দাবির সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে যে স্মৃতি ইরানিকে ধর্ষনের কেসে অভিযুক্ত বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ চিন্ময়ানন্দের সঙ্গে দেখা গেছে।
ছবিটিতে ক্যাপশন ছিল, "ইমরতি (স্মৃ্তি) সংসদে ধর্ষন নিয়ে গলা ফাটায় অথচ ধর্ষক চিন্ময়ানন্দের কাছ থেকে আর্শীবাদ নিচ্ছে।'' (হিন্দি লেখা ক্যাপশন: "संसद में बलात्कार के नाम पर भड़कने वाली इमरती बलात्कारी चिन्मयानन्द से आशीर्वाद लेती हुई.")
পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
ফেসবুকে ভাইরাল
তথ্য যাচাই
'স্মৃতি ইরানির সঙ্গে চিন্ময়ানন্দ' এই শব্দগুলি দিয়ে আমরা গুগলে সার্চ করি এবং দেখতে পাই ছবিতে যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে তিনি ধর্ষনে অভিযুক্ত চিন্ময়ানন্দ নন।
এই ছবিটি এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বিভ্রান্তিকর ক্যাপশনের সঙ্গে ভাইরাল হয়েছিল। সেইসময় মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক ইন্দ্রাণী মিশ্র এই ছবিটি টুইট করার পর ইরানি যখন উত্তরে জানান যে ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে তিনি বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ হুকমদেব নারায়ন যাদব তখন ছবিটি ভাইরাল হয়।
जिस सज्जन को आप इस चित्र में बदनाम कर रही हैं उनका नाम हुकुमदेव नारायण यादव है । पद्म भूषण से सम्मानित हुकुमदेव जी 1960 से लगातार देश सेवा में समर्पित हैं। दलित समाज एवं ग़रीब कल्याण के प्रति हुकुम देव जी ने अभूतपूर्व काम किया है।मेरा प्रणाम इन्होंने स्वीकार किया ये सौभाग्य है। https://t.co/NFIxWEoL1L
— Smriti Z Irani (@smritiirani) December 17, 2019
এছাড়া আমরা দেখতে পাই ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে একজন সাংবাদিক এই ছবিটি ফেসবুকে দেন, সঙ্গে তিনি ক্যাপশন দেন, "মঙ্গলবার নয়া দিল্লিতে পার্লামেন্ট লাইব্রেরি বিল্ডিং-এ বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের মিটিং-এর পর মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বিজেপির সাংসদ হুকমদেব নারায়নের সঙ্গে।"
২৩ বছর বয়সের আইনের এক ছাত্রী চিন্ময়ানন্দের নামে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন এবং তারপর তাঁকে এর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এই ঘটনার পর অপহরণ ও অপরামূলক ভয় দেখানোর জন্য বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ চিন্ময়ানন্দকে গ্রেফতার করা হয়। আরও পড়ুন এখানে।
আমরা যাদব এবং চিন্ময়ানন্দের ফোটো মিলিয়ে দেখি এবং দেখতে পাই এই দুজনের মুখের বৈশিষ্ট্য মেলে না।