আহত শিশুটির ছবির সঙ্গে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভের কোনও সম্পর্ক নেই
বুম অনুসন্ধান করে দেখেছে, ছবিটি অন্তত ২০১৬ সাল থেকে ইন্টারনেটে রয়েছে। তখন টুইটারে এক জন জানিয়েছিলেন, এই ঘটনাটি সিরিয়ার আলেপ্পোতে ঘটেছে।
সম্প্রতি একটি মর্মান্তিক ছবি ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবিটিতে একটি শিশুকে দেখা যাচ্ছে, যার চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে। ভাইরাল ছবিটির সঙ্গে রয়েছে ভুয়ো দাবি যে, এই শিশুটি আহত হয়েছে নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধীদের আন্দোলনের ফলে — পশ্চিমবঙ্গে ট্রেন লক্ষ্য করে ছোঁড়া পাথরের আঘাতেই শিশুটির এই মারাত্মক আঘাত লেগেছে।
ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, শিশুটির একটি চোখ ফুলে রয়েছে, এবং তা থেকে প্রবল রক্তপাত হচ্ছে। বুম অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ছবিটি বেশ কয়েক বছরের পুরনো এবং এর সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের কোনও সম্পর্ক নেই।
ছবিটির ক্যাপশনে হিন্দিতে লেখা হয়েছে: "পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানরা ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ছিল, তাতেই শিশুটির এই আঘাত লেগেছে। এর জন্য দায়ী কে? ধর্মের নামে ওরা আপনার বউ-বোনকেও ছাড়েনি, এমনকি শিশুদেরও রেহাই দেয়নি। এটাই হল খাঁটি ইসলামি জেহাদ... #CABPolitics
(হিন্দিতে মূল বয়ান: पश्चिम बंगाल में मुसलमान द्वारा किया गया ट्रेन पथराव से बच्चे आंख फूट गई इसका जिम्मेदार कौन है? धर्म के लिए न ये आपके बहन बीवियां तो छोड़ो बल्कि दूध मुहे को नही छोड़ेंगे,ये इस सिविलाइजेशन का इतिहास रहा है।ये शुद्ध इस्लामिक जिहाद है जिसको ये दुआरे रूप में लड़ रहे हैं! #CABPolitics)
ফেসবুক ও টুইটারে একই গোত্রের বয়ান সমেত ছবিটি ভাইরাল হয়েছে।
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
ফেসবুকে ভাইরাল
তথ্য যাচাই
বুম ছবিটিকে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখতে পায় যে ছবিটি পুরনো, এবং এখনকার বিক্ষোভের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। ছবিটি ২০১৬ সাল থেকে ইন্টারনেটে আছে।
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে এক সিরিয়ান টুইটার ব্যবহারকারীর করা একটি টুইটের সন্ধান পাওয়া যায়, যাতে দাবি করা হয়েছে যে ছবিটি দক্ষিণ সিরিয়ার শহর আলেপ্পোর। আগের কয়েক বছর ধরে লাগাতার আক্রমণের ফলে শহরটি বিধ্বস্ত। টুইটে লেখা হয়েছে, "আলেপ্পো... বিপদ আসছে মস্কো থেকে... #সেভ আলেপ্পো... সিরিয়ায় এই লজ্জা বন্ধ হোক..."
বুম অবশ্য পৃথক ভাবে ছবিটির উৎস চিহ্নিত করতে পারেনি।