BOOM
  • ফ্যাক্ট চেক
  • বিশ্লেষণ
  • ফাস্ট চেক
  • আইন
  • Home-icon
    Home
  • Authors-icon
    Authors
  • Contact Us-icon
    Contact Us
  • Methodology-icon
    Methodology
  • Correction Policy-icon
    Correction Policy
  • ফ্যাক্ট চেক-icon
    ফ্যাক্ট চেক
  • বিশ্লেষণ-icon
    বিশ্লেষণ
  • ফাস্ট চেক-icon
    ফাস্ট চেক
  • আইন-icon
    আইন
  • Home
  • ফ্যাক্ট চেক
  • মালয়েশিয়ায় কি নতুন ধরণের কোভিড? না,...
ফ্যাক্ট চেক

মালয়েশিয়ায় কি নতুন ধরণের কোভিড? না, তেমনটা নয়

সার্স-কভ-২'এর রূপান্তরিত ডি৬১৪জি স্ট্রেইনটির জানুয়ারিতেই হদিস মেলে এবং বিশ্বব্যাপী এটিই হল ভাইরাসটির প্রধান রূপ।

By - Shachi Sutaria |
Published -  19 Aug 2020 1:19 PM IST
  • মালয়েশিয়ায় কি নতুন ধরণের কোভিড? না, তেমনটা নয়

    সোমবার বৈদ্যুতিন সংবাদ সরবরাহকারী সংস্থা ব্লুমবার্গ একটি ভুল শিরোনাম প্রকাশ করে, যেটি একাধিক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম পুনঃপ্রকাশ করে। ব্লুমবার্গের দেওয়া শিরোনামে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় কোভিড-১৯'র একটি নতুন ধারা পাওয়া গেছে, যেটি সার্স-কভ-১৯'র তুলনায় দশ গুণ বেশি সংক্রমক।

    সার্স-কভ-১৯'র যে ডি৬১৪জি ধারাটি এখন মালয়েশিয়ায় দেখা গেছে, সেটি জানুয়ারি ২০২০ তে চিন ও ইউরোপে শনাক্ত করা হয়েছিল। এই ভাইরাসের যে তিনটি প্রজাতি ভারতে রয়েছে, এটি হল সেগুলির মধ্যে একটি।
    প্রতিবেদনটির নতুন শিরোনামটিতে বলা হয়েছে, "যে রূপান্তরিত ভাইরাসের প্রজাতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে, সেটি শনাক্ত হল দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায়।" কিন্তু লেখাটির
    ইউআরএল
    ও টুইটারে বলা হচ্ছে, "মালয়েশিয়া করোনাভাইরাসের একটি নতুন ধারা শনাক্ত করেছে, যেটি ১০ গুণ বেশি ক্ষতিকর"। লেখাটিতে পরে বলা হয়, এটি হল সেই একই ভাইরাস যেটি ইউরোপ আর আমেরিকায় আছে।

    JUST IN: Malaysia detects new coronavirus strain that's 10 times more infectious https://t.co/HQs0FnfmkR

    — Bloomberg (@business) August 17, 2020
    ৪৫ জন সংক্রমিত ব্যক্তির মধ্যে তিনজনের শরীরে ভাইরাসের ওই প্রজাতিটি পাওয়া যায়। ভারত থেকে ফেরা এক রেস্তঁরা মালিক ওই সংক্রমণের উৎস। তাঁর ১৪ দিনের নিভৃতবাসের মেয়াদ লঙ্ঘন করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফ্তার করে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ।
    ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ও ওয়েলকাম ট্রাস্ট ডিবিটি অ্যালায়েন্স-এর প্রধান আধিকারিক শহিদ জামিল-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে বুম। উনি জানান যে, ভাইরাসের ওই প্রজাতিটি বেশ সংক্রামক এবং মালয়েশিয়ায় সেটি এখন পাওয়া গেছে। বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে, জিনের গঠনের দিক থেকে দেখলে, এটিই প্রাধান্য বিস্তার করেছে। তবে এটি বেশি সংক্রামক কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার মতো তথ্য এখনও হাতে আসেনি।
    ভাতীয় সংবাদ মাধ্যম পুনরাবৃত্তি করে
    টাইমস অফ ইন্ডিয়া, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, টাইমস নাও, দ্য ইকনমিক টাইমস, নিউজ-১৮, এবিপি নিউজ এবং লাইভ হিন্দুস্থান
    -এর মত ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলি ওই খবরটি প্রকাশ করে আর সেই সঙ্গে শিরোনামে বলে ভাইরাসটি নতুন।

    ভাইরাসের এই স্ট্রেইনটি যে নতুন ও অনেক বেশি ছোঁয়াচে, এই খবর ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে। বেশ কিছু ফেসবুক ব্যবহারকারী এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন যে, মালয়শিয়া এই ভাইরাসের পরবর্তীতে মহাসংক্রমক বা 'সুপার স্প্রেডার' হয়ে উঠতে চলেছে।


    আরও পড়ুন: ২০১৯ এর ভারত-মার্কিন সেনা মহড়া ভিডিও স্বাধীনতা দিবস পালন বলে ভাইরাল

    তথ্য যাচাই

    করোনাভাইরাসের ডি৬১৪জি প্রজাতিটি ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে চিন ও ইতালিতে আবিষ্কৃত হয়। এটি কোনও নতুন প্রজাতি নয়; মালয়েশিয়ায় এটি পরে দেখা দিল, এই পর্যন্ত।
    এই ভাইরাসটির শারীরিক বৈশিষ্ট্য সার্স-কভ-১৯'র মতই। কেবল এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, সার্স-কভ-১৯'র জিনগত গঠনতন্ত্রে বা 'জেনোমিক সিকোয়েন্স'-এ ৬১৪ নম্বর জিনে একটি পরিবর্তন ঘটে গেছে। 'স্পাইক' প্রোটিনের ওই জিনটিতে অ্যামিনো অ্যাসিডের ডি-অ্যাস্পার্টিক অ্যাসিডের বদলে সেখানে বসে গেছে জি-গ্লাইসিন।
    "সার্স-কভ-১৯'এ ৮০,০০০ সিকোয়েন্স রয়েছে। ভাইরাস বংশবৃদ্ধি করতে করতে তাদের মধ্যে মিউটেশন বা পরিবর্তন ঘটতে থাকে। ওই পরিবর্তিত প্রজাতিগুলির কিছু কিছু বেশি বাঁচে ও বেশি সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম হয়," বলেন জামিল। এগুলি যে আরও মারাত্মক, তেমন কোনও প্রমাণ না থাকায়, তাদের আলাদা প্রজাতি না বলে 'ক্লেড' (একই বংশোদ্ভূত) বলা হয়।
    জামিল আরও বলেন যে, এই পরিবর্তনটি ঘটার ফলে ভাইরাসটির কোষের মধ্যে প্রবেশ করার ক্ষমতা বেড়ে গেছে। "যে জায়গায় বদলটি ঘটেছে, ঠিক সেখানেই এনজাইম বা উৎসেচকগুলি প্রোটিন কেটে কোষের মধ্যে প্রবেশ করে। জি'র তুলনায় ডি একটি ভারি অ্যামিনো অ্যাসিড। তাই জি অ্যামিনো অ্যাসিডকে কেটে ভাইরাসটি আরও সহজে ও আরও দক্ষতার সঙ্গে কোষের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে," জানান জামিল।
    অ্যামিনো অ্যাসিডে পরিবর্তনের ফলে, ভাইরাসটি আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা অর্জন করেছে। তবে সেটি আরও কঠিন ধরনের সংক্রমণ ঘটাচ্ছে কিনা তা এখনও পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। বর্তমানে ডি ও জি, দুই ধরনের ক্লেডই ভারতে রয়েছে। তার মধ্যে জি'র অনুপাতটাই বেশি।
    জামিল মনে করেন, "এই পরিবর্তন, ভাইরাসটিকে ছড়িয়ে পড়তে ও সংক্রমণ ঘটানর ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধে দিচ্ছে।"
    বিশ্বব্যাপী ভাইরাসটি ডি৬১৪ থেকে জি৬১৪'য় বদলে যাচ্ছে। জার্নাল 'সেল'-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এবং জিন সংক্রান্ত হু বুলেটিন-এর এক লেখা থেকে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। "জি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে, ডি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের তুলনায় ভাইরাসের সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু সেই কারণে তাঁদের অসুখটা যে আরও জটিল, তা বলা যাচ্ছে না," বলেন এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত প্রফেসর এরিকা ওলমান স্যাফায়ার, পিএইচডি। উনি ক্যালিফরনিয়ার লা জোল্লা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যুক্ত।
    ভাইরাসটিতে এই পরিবর্তনের ফলে ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে সেটি বাধা সৃষ্টি করবে কি না এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে সেল-এ প্রকাশিত অন্য একটি গবেষণাপত্রে। "ডি৬১৪ স্পাইকটি সেই জায়গাটিতে অবস্থিত নয় যেখান দিয়ে সেটি কোষের রিসেপ্টারের সঙ্গে জুড়ে যায়। ফলে, শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নিস্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে সেটি আরবিডি এপিটোপ-এর প্রতিরোধ ক্ষমতাকে খুব উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করতে পারবে না," বলেছেন ইয়েল স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ-এর এপিডেমিওলজি ও পাবলিক হেল্থ ডিপার্টমেন্টের ন্যাথান ডি গ্রুবাহ।
    আরও পড়ুন: ২০১৭ সালে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে সংঘর্ষের ভিডিও জিইয়ে উঠল

    Tags

    CoronavirusCOVID-19n-SARS-COV-2Severe and Acute Respiratory SyndromeMalaysiaPandemic
    Read Full Article
    Claim :   মালয়েশিয়াতে করোনাভাইরাসের নুতন স্ট্রেইন পাওয়া গেছে
    Claimed By :  News Media Outlets
    Fact Check :  False
    Next Story
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors.
    Please consider supporting us by disabling your ad blocker. Please reload after ad blocker is disabled.
    X
    Or, Subscribe to receive latest news via email
    Subscribed Successfully...
    Copy HTMLHTML is copied!
    There's no data to copy!