বাংলাদেশ ও সিরিয়ার পুরনো ছবিকে সাম্প্রতিক দিল্লি দাঙ্গার ছবি বলা হল
বুম তথ্য যাচাই করে দেখতে পায় ছবিগুলি সিরিয়া ও বাংলাদেশের। একটিতে বোমার আঘাত থেকে বেঁচে ফেরা মানুষদের ছবি দেখা যাচ্ছে এবং অন্যটিতে পুলিশের মারধরের ছবি দেখানো হয়েছে।
দুটি অস্বস্তিকর ছবি নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে যার একটিতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের পুলিশি অত্যাচারের ছবি অন্যটিতে যুদ্ধ আক্রান্ত সিরিয়ায় শিশুদের কান্নার ছবি। এই ছবি দুটিতে দাবি করা হয়েছে যে গত সপ্তাহে উত্তর পূর্ব দিল্লিতে যে সাম্প্রদায়িক হিংসা এবং দাঙ্গা ছড়ায় এই দুটি সেই ঘটনার ছবি।
ছবি দুটির একটিতে দেখা যাচ্ছে একজন পুলিশ একটি আতঙ্কিত শিশুকে মারার জন্য লাঠি উঁচিয়েছে। বুম অনুসন্ধান করে দেখতে পায় ছবিটি আসলে বাংলাদেশের। অপর অস্বস্তিকর ছবিটি আসলে সিরিয়ার, এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে বোমা বিস্ফোরণে বেঁচে যাওয়া তিন শিশুকে একজন সান্তনা দিচ্ছেন।
দুটি ছবিকেই দিল্লির দাঙ্গার ছবি বলে মিথ্যে দাবি করা হচ্ছে। দিল্লির এই হিংসার ঘটনার ফলে এখনো পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২০০-র মানুষ আহত হয়েছেন।
ছবিগুলি ফেসবুকের নীতি লঙ্ঘন করায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উপরন্তু অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমটির জাতীয় মূখপাত্র এবং প্রাক্তন সাংসদ উদিত রাজ এই ছবি দুটি টুইট করেছেন। যখন উত্তর পূর্ব দিল্লিতে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে তখন তিনি এই ছবিগুলি শেয়ার করেন।
এরকম অপ্রাসঙ্গিক ছবি শেয়ার করার জন্য অনেকেই রাজকে সজাগ করেন। টুইটগুলি আর্কাইভ করা আছে এখানে ও এখানে।
याद रखो
— Dr. Udit Raj (@Dr_Uditraj) February 29, 2020
एक बच्चे की हत्या
एक औरत की मौत
एक आदमी का
गोलियों से चिथड़ा तन
किसी शासन का ही नहीं
सम्पूर्ण राष्ट्र का है पतन। pic.twitter.com/jV0PjR32FL
मुझे बचाना उन इंसानों को बचाना है ,
— Dr. Udit Raj (@Dr_Uditraj) March 1, 2020
जिनकी हड्डियां तलाब में बिखरी पङी हैं।
मुझको बचाना अपने पुरखों को बचाना है,
मुझको बचाना अपने बच्चों को बचाना है,
तुम मुझे बचाओ !
मैं तुम्हारा कवि हूं ।
-विद्रोही pic.twitter.com/nIBoeYFQdt
তথ্য যাচাই
বুম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে এবং দেখতে পায় দুটি ছবিই পুরানো এবং অপ্রাসঙ্গিক।
প্রথম ছবি
এই ছবিটিতে একজন পুলিশকে একটি আতঙ্কিত শিশুকে মারার জন্য লাঠি নিয়ে উদ্ধত হতে দেখা গেছে সেটি আসলে ২০১০ সালের এবং বাংলাদেশের ছবি। এই ছবিটি তুলেছিলেন বৈদ্যুতিন সংবাদ সংস্থা এ এফ পির চিত্রসাংবাদিক মুনির উজ্জামান। ছবিটি গেটি ইমেজেসের স্টক ইমেজে দেখতে পাওয়া যাবে। একটি ব্রিটিশ দৈনিক দ্যগার্ডিয়ানে ছবিটি ২০১০ সালের ৩০শে জুন প্রকাশিত হয়েছিল। ছবির ক্যপশন অনুসারে বাংলাদেশ পুলিশ এবং জামাকাপড়ের কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় তাতে ঐ ছবির পুলিশকর্মীকে ছবিতে দেখা যাওয়া ছেলেটিকে ভয় দেখাতে দেখা যায়। ২০১০ সালে ঐ শ্রমিকরা কম বেতন এবং নিম্নমানের কাজের পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন।
দ্বিতীয় ছবি
দ্বিতীয় ছবিটি সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে ২০১৪ সালে বমা আক্রমনের ফলে যারা বেঁচে যায় তাদের ছবি। রিভার্স ইমেজ সার্চ করে আমরা সিবিএস নিউজে প্রকাশিত একটি ফোটো গ্যালারিতে সিরিয়ার যুদ্ধের একটি ছবি দেখতে পাই। ছবির ক্যাপশন অনুসারে ছবিটি তুলেছেন এএফপির চিত্রসাংবাদিক জেন আল-রিফাই।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে স্ত্রী ও শিশুর মাটি খুঁড়ে দেহ বের করার ভিডিও সাম্প্রদায়িক রঙ সহ ছড়ানো হল