বিভ্রান্তিকরভাবে ছড়াল এপ্রিল মাসে ত্রিপুরায় এসমা আইন লাগু হওয়ার খবর
বুম যাচাই করে দেখে ত্রিপুরায় গত এপ্রিল মাসের ১০ তারিখে অত্যাবশ্যকীয় পরিসেবা ব্যবস্থাপনা আইন বা এসমা চালু করা হয়েছিল।
![বিভ্রান্তিকরভাবে ছড়াল এপ্রিল মাসে ত্রিপুরায় এসমা আইন লাগু হওয়ার খবর বিভ্রান্তিকরভাবে ছড়াল এপ্রিল মাসে ত্রিপুরায় এসমা আইন লাগু হওয়ার খবর](https://bangla.boomlive.in/h-upload/2020/09/16/929999-89ab4fd6-e3c7-463e-98d4-aff284b2ca20.webp)
ত্রিপুরা রাজ্যে গত এপ্রিল মাসে চিকিৎসাকর্মীদের বিক্ষোভ রুখতে বিপ্লব কুমার দেব পরিচালিত বিজেপি সরকারের চালু করা অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ব্যবস্থাপনা আইন বা এসমা চালু করার পুরনো খবর বিভ্রান্তিকরভাবে সোশাল মিডিয়ায় জিইয়ে উঠেছে। এই পোস্টকে সাম্প্রতিক ভেবে অনেক নেটিজেনই বিভ্রান্তির শিকার হয়েছেন ও শেয়ার করছেন।
এসমা আইনে কর্মবিরতি না ভাঙলে সরকারি চাকুরিরত আন্দোলনকারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত, গ্রেফতার এমনকি ছ'মাসের কারাদণ্ডেরও কথা বলা রয়েছে।
বুম যাচাই করে দেখে ত্রিপুরায় এসমা চালু করা হয় ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে, যখন সারা ভারতে প্রথম পর্যায়ের লকডাউন চলছিল।
ত্রিপুরার স্বাস্থ্য দপ্তর ১৮ জন বিক্ষোভরত নার্সকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায়। ওই দিনই লাগু করা হয় এসমা আইন। বিস্তারিত পড়ুন আজকালের প্রতিবেদনে।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব দক্ষিণ ত্রিপুরার সাবরুমে প্রথম স্পেশাল ইকোনমিক জোন প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের একাংশের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। ত্রিপুরার গণমাধ্যমের অধিকার রক্ষার সংগঠন ফোরাম ফর মিডিয়া ও জার্নালিস্ট-এর তরফে বিবৃতি প্রকাশ করা হয় সংবাদকর্মীরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী ত্রিপুরাতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন ২০৪১২, মারা গেছেন ২২২ জন। কোভিডে রাজ্যে সেরে উঠেছে ১২৯৩১ জন ও বর্তমানে ৭৪৩১ জন স্বক্রিয় কোভিড রোগী রয়েছেন।