BOOM
  • ফ্যাক্ট চেক
  • বিশ্লেষণ
  • ফাস্ট চেক
  • আইন
  • Home-icon
    Home
  • Authors-icon
    Authors
  • Contact Us-icon
    Contact Us
  • Methodology-icon
    Methodology
  • Correction Policy-icon
    Correction Policy
  • ফ্যাক্ট চেক-icon
    ফ্যাক্ট চেক
  • বিশ্লেষণ-icon
    বিশ্লেষণ
  • ফাস্ট চেক-icon
    ফাস্ট চেক
  • আইন-icon
    আইন
  • Home
  • ফ্যাক্ট চেক
  • বিভ্রান্তিকরভাবে ছড়াল এপ্রিল মাসে...
ফ্যাক্ট চেক

বিভ্রান্তিকরভাবে ছড়াল এপ্রিল মাসে ত্রিপুরায় এসমা আইন লাগু হওয়ার খবর

বুম যাচাই করে দেখে ত্রিপুরায় গত এপ্রিল মাসের ১০ তারিখে অত্যাবশ্যকীয় পরিসেবা ব্যবস্থাপনা আইন বা এসমা চালু করা হয়েছিল।

By - Suhash Bhattacharjee |
Published -  17 Sept 2020 7:29 PM IST
  • বিভ্রান্তিকরভাবে ছড়াল এপ্রিল মাসে ত্রিপুরায় এসমা আইন লাগু হওয়ার খবর

    ত্রিপুরা রাজ্যে গত এপ্রিল মাসে চিকিৎসাকর্মীদের বিক্ষোভ রুখতে বিপ্লব কুমার দেব পরিচালিত বিজেপি সরকারের চালু করা অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ব্যবস্থাপনা আইন বা এসমা চালু করার পুরনো খবর বিভ্রান্তিকরভাবে সোশাল মিডিয়ায় জিইয়ে উঠেছে। এই পোস্টকে সাম্প্রতিক ভেবে অনেক নেটিজেনই বিভ্রান্তির শিকার হয়েছেন ও শেয়ার করছেন।

    এসমা আইনে কর্মবিরতি না ভাঙলে সরকারি চাকুরিরত আন্দোলনকারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত, গ্রেফতার এমনকি ছ'মাসের কারাদণ্ডেরও কথা বলা রয়েছে।

    বুম যাচাই করে দেখে ত্রিপুরায় এসমা চালু করা হয় ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে, যখন সারা ভারতে প্রথম পর্যায়ের লকডাউন চলছিল।

    ফেসবুকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের ছবি সহ একটি গ্রাফিক পোস্টে লেখা হয়েছে, "অঘোষিত জরুরি অবস্থা চালু হয়ে গেল ত্রিপুরায়। পিপিই নেই, এন ৯৫ মাস্ক নেই, বিক্ষোভের জবাবে জারী এসমা! চিকিৎসাকর্মী বিক্ষোভের জেরে জারি করা হল অত্যাবশ্যকীয় পরিসেবা ব্যবস্থাপনা আইন এসমা। বন্ধ করা হল সরকারী কর্মচারীদের মুখ। সরকারের কোনও কাজের সমালোচনা করা যাবে না। কত দিনের জন্য কেউ জানে না।
    পোস্টটি দেখা যাবে এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।

    আরও পড়ুন: কঙ্গনা-বিএমসি বিরোধে অমিতাভ বচ্চন-এর বিএমসিকে সমর্থন করা টুইটটি ভুয়ো
    তথ্য যাচাই
    বুম দেখে ত্রিপুরায় এসমা চালু করা ও চিকিৎসাকর্মীদের বিক্ষোভের ঘটনাটি এপ্রিল মাসের। সাম্প্রতিক বিক্ষোভের ঘটনা নয়।
    বুম 'ত্রিপুরা এসমা' এই কিওয়ার্ড গুগল সার্চ করে দেখে এবছরের এপ্রিল মাসে ত্রিপুরাতে এসমা আইন চালু করা হয়। মধ্যপ্রদেশের পর ত্রিপুরা দ্বিতীয় রাজ্য যেখানে কোভিড পরিস্থিতি সমাল দিতে সরকারি কর্মচারীদের বিক্ষোভ রুখতে এই আইনটি লাগু করা হয়।
    টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে গত ১০ এপ্রিল ২০২০ প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী সনাক্ত হওয়ার পর, রাজ্যের প্রধান সরকারি হাসপাতাল গোবিন্দ বল্লভ পন্থ (জিবি) হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসা পরিসেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা অপর্যাপ্ত মাস্ক এবং পিপিই অভিযোগ
    তুলে বিক্ষোভে নামে
    ।

    ত্রিপুরার স্বাস্থ্য দপ্তর ১৮ জন বিক্ষোভরত নার্সকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায়। ওই দিনই লাগু করা হয় এসমা আইন। বিস্তারিত পড়ুন আজকালের প্রতিবেদনে।

    সংবাদ সংস্থা পিটিআই ও এএনআই ১০ এপ্রিল ২০২০ বিষয়টি টুইট করে।

    Tripura government invokes Essential Services Management Act (ESMA) after a few nurses at a state-run hospital in Agartala complain about shortage of masks and other protective equipment in the wake of the coronavirus outbreak.

    — Press Trust of India (@PTI_News) April 10, 2020


    এসমা কি?
    জরুরি পরিষেবার যেমন রেল, ডাক, টেলিফোন, দেশের সুরক্ষা, বিমান, জল-স্থল-আকাশ পথে যাত্রী ও পন্য পরিবহন এবং পণ্য খালাস প্রভৃতি বা কোনও জরুরি সরকারী (রাজ্য ও কেন্দ্র) পরিষেবা যেখানে তাৎক্ষণিক মেরামতির বা পরিষেবার প্রয়োজন সেসব ক্ষেত্রে ধর্মঘট, বিক্ষোভ বা কাজে না যোগ দেওয়া বা তা থেকে বিরত হওয়ার প্রচেষ্টা চালালে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ব্যবস্থাপনা আইন বা এসমা (১৯৬৮) আইন বলবত করা হয়।
    এই আইন অনুযায়ী এই ধরণের কোনও পরিষেবাতে বিঘ্ন ঘটালে ধর্মঘটকারী ব্যক্তির ৬ মাস কারাবাস বা ২০০ টাকা জরিমানা অথবা অনাদায়ে উভয়ই হতে পারে। এই ধরণের বিক্ষোভে প্ররোচনা বা অংশ নিলে এক বছর হাজতবাস বা ১০০০ টাকা জরিমানা অথবা অনাদায়ে উভয় শাস্তি হতে পারে।
    এসমা প্রয়োগে ওয়ারেন্ট ছাড়া যে কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা যায়। প্রথমিকভাবে এসমার মেয়াদ ৬ মাস। পরিস্থিতি অনুযায়ী ১ বছরও বলবত করা যায় এসমা। এসমা আইন নিয়ে বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
    ত্রিপুরায় জিবি হাসপাতার রাজ্যের একমাত্র কোভিড হাসপাতাল। এই হাসপাতাল গত কয়েকমাসে বেশ করেকবার চিকিৎসা পরিসেবার অব্যবস্থার কারণে সংবাদ শিরোনামে এসেছে। ত্রিপুরা রাজ্যে কোভিডে মৃত্যুর হার উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বাধিক, রাজ্যের কোভিড রোগীদের সুস্থতার হারও জাতীয় গড় থেকে অনেকটাই কম।

    শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব দক্ষিণ ত্রিপুরার সাবরুমে প্রথম স্পেশাল ইকোনমিক জোন প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের একাংশের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। ত্রিপুরার গণমাধ্যমের অধিকার রক্ষার সংগঠন ফোরাম ফর মিডিয়া ও জার্নালিস্ট-এর তরফে বিবৃতি প্রকাশ করা হয় সংবাদকর্মীরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।

    সরকারি তথ্য অনুযায়ী ত্রিপুরাতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন ২০৪১২, মারা গেছেন ২২২ জন। কোভিডে রাজ্যে সেরে উঠেছে ১২৯৩১ জন ও বর্তমানে ৭৪৩১ জন স্বক্রিয় কোভিড রোগী রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: না, এটি কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে আবু সালেমের ছবি নয়

    Tags

    Viral ImageFact CheckFake NewsViral GraphicBiplab Kumar DebTripuraTripura CMESMA ActGBP HospitalAgartalaNorth EastCOVID-19CoronavirusTripura COVID-19
    Read Full Article
    Claim :   মাস্ক, পিপিইর অভাবে বিক্ষোভ করায় ত্রিপুরায় এসমা আইন চালু
    Claimed By :  Facebook Posts
    Fact Check :  Misleading
    Next Story
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors.
    Please consider supporting us by disabling your ad blocker. Please reload after ad blocker is disabled.
    X
    Or, Subscribe to receive latest news via email
    Subscribed Successfully...
    Copy HTMLHTML is copied!
    There's no data to copy!