হেলিকপ্টারের সাহায্যে পাখি উদ্ধারের এই দুঃসাহসিক ভিডিওটি সুরাতের নয়
মূল ভিডিওটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া বিচে তোলা। তারে আটকে থাকা একটি গাঙচিলকে উদ্ধার করা হয়েছিল তখন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি গাঙচিল (সিগাল) উদ্ধার করার মর্মস্পর্শী ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় এই দাবি সমেত ভাইরাল হয়েছে যে, ওই উদ্ধার কাজ করেছে সুরাটের জৈন সমাজ করেছে।
একটি আহত পাখির নাগাল পাওয়ার জন্য একজন উদ্ধারকারীর দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা ধরা পড়েছে ওই ভিডিওতে। হেলিকপ্টার থেকে নামানো সিঁড়িতে তৈরি একটা প্ল্যাটফর্মের ওপর বসে তিনি তারে জড়িয়ে-যাওয়া পাখির ডানা ছাড়াতে সক্ষম হন। পাখিটি ওভারহেড তারে আটকে গিয়েছিল। একটি ভক্তিমূলক গান — 'রহে ভাবনা অ্যাইসি মেরি' — ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়।
হিন্দিতে লেখা ক্যাপশনে বলা হয়, "তারে আটকে যাওয়া পাখিটিকে বাঁচাতে, সুরাটের জৈন সমাজ হেলিকপ্টার আনায়। বাঁচো আর বাঁচতে দাও — মহাবীর"। (হিন্দিতে মূল পোস্ট: "जैन समाज सूरत द्वारा तार में उलझे घायल पंछी को सहायता देने के लिये हेलीकॉप्टर मँगाया गया। "जीओ और जीने दो"—महावीर")
👇👇जैन समाज सूरत द्वारा तार में उलझे घायल पंछी को सहायता देने के लिये हेलीकॉप्टर मँगाया गया ।
— Ratan Kumar Agrawal (@RatanKAgrawal) February 13, 2020
"जीओ और जीने दो"—महावीर pic.twitter.com/kJ9A8a7bx0
ফেসবুকে ভাইরাল
আর আবহসংগীত ছাড়া ক্লিপটির একটা বড় সংস্করণ কয়েক বছর আগে ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছিল। তাতে দাবি করা হয় যে, ভারতীয় বায়ুসেনা ওই উদ্ধার কাজ চালায়।
তথ্য যাচাই
প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড (বার্ড রেসকিইউড বাই হেলিক্টার) দিয়ে বুম ইউটিউবে সার্চ করে। দেখা যায় ওই একই ভিডিও ২০১৩ সালে ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছিল।
এরপর ২০১৩'র মধ্যে সময়সীমা রেখে ভিডিওটির কয়েকটি প্রধান ফ্রেম দিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে বুম।
তার ফলে, কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন সামনে আসে। সেগুলি থেকে জানা যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া বিচে লেসনার ব্রিজের কাছে ঘটনাটি ঘটে। সেখানে ওভারহেড তারে আটকে থাকা একটি সিগালকে হেলিকপ্টারের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়। হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ভার্জিনিয়া ডমিনিয়ন পাওয়ার উদ্ধারের কাজটি করে । অনুমান করা হয়, গাঙচিলটি ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় তারে আটকে ছিল। উদ্ধার করার পর চিকিৎসার জন্য সেটিকে 'ভার্জিনিয়া বিচ সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যনিমালস'-এ নিয়ে যাওয়া হয়।প্রাণী উদ্ধার দলের সদস্য শ্যারন অ্যাডামস 'দ্য মিরার'-কে বলেন, "ওর গা গরম। জলাভাবে ভুগছে। জেগে উঠলে ও স্প্যাগাটিঅস আর হটডগ খাবে, যা সিগলরা (গাঙচিল জাতীয় পাখি) খেতে খুব ভালবাসে। আমাদের ক্লিনিকে কি করা সম্ভব তাও আমরা খতিয়ে দেখব।
দ্য টেলিগ্রাফ ও মেট্রোতেও খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল।