ভিডিওতে কি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী বিক্ষোভকারীদের টাকা নিতে দেখা যাচ্ছে? একটি তথ্য যাচাই
বুম ওই একই ভিডিও ২০১৭ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগেও খণ্ডন করেছিল।
কংগ্রেসের দলের এক জনসভায় এক ব্যক্তিকে লোকজনকে টাকা বিলি করার পুরনো ভিডিও আবার নতুন করে শেয়ার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, কংগ্রেস নাকি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধীদের বিক্ষোভ প্রদর্শন করার জন্য টাকা দিচ্ছে। তাছাড়া ২০১৭'র তৎকালীন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীর দেওয়া একটি ভাষণের রেকর্ডিং ওই ভিডিওর ওপর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুম ডিসেম্বর ২০১৭ সালে গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনের ওই কারিকুরি-করা ভিডিওর সত্যতা খণ্ডন করেছিল।
পোস্টটির সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশনে বলা হয়েছে, "সব মহিলাদের হাতে 'আজাদির' জন্য টাকা তুলে দিচ্ছে কংগ্রেস কর্মীরা।"
(ক্যাপশনের হিন্দি বয়ান: सभी महिलाओं को कांग्रेस के कार्यकर्ताओं द्वारा हाथों हाथ आजादी की रकम दी जा रही है।)
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের যেসব স্লোগান উঠছে, তাতে 'আজাদি' শব্দটি জনপ্রিয় হয়েছে।
অলোক শুক্লা নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ক্লিপটি শেয়ার করেন। তার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই সেটি ২৪,০০০ বার শেয়ার করা হয় এবং ২,৯৬,০০০ বার দেখা হয় সেটি। ভিডিওটি টুইটারেও শেয়ার করা হচ্ছে।
আর্কাইভ সংস্করণটি এখানে দেখতে পারেন।
তথ্য যাচাই
আমরা ওই একই ভিডিও মার্চ ২০১৭'য় ইউটিউবে দেখতে পাই। আসল ভিডিওটিতে গুজরাটির বদলে মেইতেই ভাষা শোনা যায়। ইউটিউবের ওই ক্লিপটিতে রাহুল গান্ধীরও কোনও রেকর্ডিং নেই।
ওপরের ভিডিওটি ২ মার্চ ২০১৭'য় আপডেট করা হয়। সেটির শিরোনামে বলা হয়, 'মণিপুরের ইমফলে, ভোটারদের ঘুষ দিচ্ছে কংগ্রেস? ভাইরাল হয়েছে ভিডিও।'
ভাইরাল ভিডিওতে একটি প্ল্যাকার্ড চোখে পড়ে। তাতে লেখা 'কেএমসি ওয়ার্ড ৫'। আমরা দেখি, কেএমসি-র মানে হল 'কাকচিং মিউনিসিপাল কাউন্সিল'। ৪ থেকে ৮ মার্চ ২০১৭'য় মনিপুরে বিধানসভা নির্বাচন হয়।
গুজরাটে রাহুল গান্ধীর ভাষণের রেকর্ডিংটি নেওয়া হয় ওই বছরেই তাঁর দেওয়া অন্য একটি বক্তৃতা থেকে। নবসরজন জনাদেশ সমাবেশের ভিডিও নীচে দেখা যাবে।
ভাইরাল ভিডিওতে যে অডিও বা রেকর্ডিং আছে, এই ভিডিওর ২.২৮ সেকেন্ডের মাথায়, ঠিক সেটিই শোনা যায়।
আরও পড়ুন: একশো ডলারের নোটে ছত্রপতি শিবজি মহারাজের ছবি?