রাতে যে সব মহিলারা একা অটোরিক্সা বা ট্যাক্সিতে চলাফেরা করেন, তাঁদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ফেসবুক পোস্টে একটি হেল্পলাইনের নম্বর উল্লেখ করা হচ্ছে। অথচ, ওই হেল্পলাইনটি কয়েক বছর ধরে অচল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি সহ গ্র্যাফকটিতে হেল্পলাইনের নম্বর দেওয়া আছে। রাতে অটোরিক্সা বা ট্যাক্সিতে একা চলাফেরা করা মহিলাদের উদ্দেশে বলা হয়েছে তারা ৯৯৬৯৭৭৭৮৮৮ নম্বরে এসএমএস করলে জিপিআরএস-এর সাহায্যে গাড়িটির গতিবিধির ওপর নজর রাখা হবে।
পোস্টটিতে একটি আসল হেল্পলাইনের কথায় বলা হয়েছে। সেটি মুম্বাই পুলিশ ২০১৪ সালে চালু করেছিল। কিন্তু বিশেষ সাড়া না পাওয়ার ফলে, ২০১৭ সালে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে, যে মেসেজটি ছড়ানো হচ্ছে সেটি বিভ্রান্তিকর। আসলে, ওই নম্বরটির এখন আর কোনও অস্তিত্বই নেই।
ওই একই মেসেজ দিল্লি পুলিশের টুইটার হ্যান্ডল খারিজ করে দেয় ২০১৬ সালে এবং ব্যাঙ্গালুরুর পুলিশ দু বছর পরে তা নস্যাত করে।
সেটি ২০১৮ সালে এসএমহোয়াক্সস্লেয়ার ঘন্ডন করেছিল।
ফেসবুক পেজ ‘যোগী আদিত্যনাথ— ট্রু ইন্ডিয়ান’ থেকেও মেসেজটি পোস্ট করে ২০১৮ সালে। এবং সেটি ৩,৫০০ বার শেয়ার করা হয়।
মেসেজটির উৎস
এমএনটিএল-এর সহযোগিতায়, মুম্বাই পুলিশ ২০১৪ সালে ওই ফ্রি হেল্পলাইটি চালু করে ‘ট্র্যাভেল সেফ হোয়েন অ্যালোন’ (নিরাপদে একা চলাফেরা কর) নামক উদ্যোগ হিসেবে।
যে কোনও মহিলা, অটোরিক্সা বা ট্যাক্সিতে উঠে সেটির নম্বর ওই হেল্পলাইনে এসএমএস করে দিতে পারতেন। তাহলেই জিপিএস পরিসেবার সাহায্যে পুলিশ ওই গাড়িটির গতিবিধির ওপর নজর রাখত।
মুম্বাইতে এস্থার অনুহয়া নামক টিসিএস-এর মত বৃহৎ কম্পানির কর্মীকে যৌন নিগ্রহের পর হত্যা করা হলে মুম্বাই পুলিশ ওই হেল্পলাইনটি চালু করে। এস্থার ছিলেন অন্ধ্রবাসী। চাকরি করতেন মুম্বাইতে।
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, যথেষ্ঠ সাড়া না পাওয়ায়, ২০১৭ সালে হেল্পলাইটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সেই সময়, ‘মিড-ডে’ তার রিপোর্টে বলে: “চালু হওয়ার পর থেকে মহিলাদের মধ্যে তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি নম্বরটি। ন’ মাসে মাত্র ১,২৬৬ জন মহিলা টেক্সট করেন। পরে সেটা আরও কমে ৩৮৯’এ গিয়ে ঠেকে। দেখা যায় তার টুইটার হ্যান্ডল অনেক বেশি সাড়া জাগাচ্ছে। তাই হেল্পলাইনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।”