বেশ কয়েকটি মূলধারার সংবাদ মাধ্যম মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের ভুল উদ্ধৃতি দেয়। তারা বলে তৃণমূল কংগ্রেস পার্টিকে (টিএমসি) “তোলাবাজ” বলার জন্য পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে চড় মারার হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু তা সঠিক নয়। এদের মধ্যে আছে ‘এবিপি নিউজ’, নিউজ১৮’ ও ‘আজ তক’।
এই লোকসভা নির্বাচনে, মোদী আর মমতার বাকযুদ্ধ এক অত্যন্ত নিচু স্তরে নেমেছে। সেখানে তাঁরা একে অপরকে অতি উগ্র ভাষায় আক্রমণ করে চলেছেন ক্রমাগত।
ফেব্রুয়ারি মাসে, প্রধানমন্ত্রী মোদী টিএমসিকে খোঁচা দিয়ে বলেন যে, সেটিকে “তিনটি ‘টি’ দিয়ে বর্ণনা করা যায়—তৃণমূল, তোলাবাজ, ট্যাক্স” (ইংরেজিতে তিনটি শব্দই ইংরেজি অক্ষর ‘টি’ দিয়ে শুরু হয়)। এ সপ্তাহেও উনি একই উক্তি করেন।
প্রতিক্রিয়া হিসেবে, পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে, মে ৭, ২০১৯ তারিখে এক প্রচার সভায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে ঝাঁজালো ভাষায় আক্রমণ করেন।
“টাকা-পয়সা আমার কাছে নো-ম্যাটার। তাই নরেন্দ্র মোদী যখন বাংলায় এসে বলে যে, মমতা ব্যানার্জির পার্টি তোলাবাজ, তখন শুনলে আমার মনে হয়. দিই ঠাসিয়ে এক গণতন্ত্রের থাপ্পড়।” এ কথা বলার সময়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাপ্পড় মারার ভঙ্গিতে হাত তোলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোটা ভাষণটাই তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেখে বুম। সেখানেও তাঁকে একই কথা বলতে শোনা যায়। ভিডিওটি ১৩ মিনিট থেকে ৩১ মিনিট পর্যন্ত দেখুন।
কিন্তু তাঁর ভাষণের পরেপরেই প্রকাশিত বেশ কিছু রিপোর্টে, ওই ‘গণতন্ত্র’ শব্দটি বাদ পড়ে যায়।
লক্ষ করার বিষয় হল যে, ওই একই উক্তিটি অন্যরকম ভাবে, ‘গণতন্ত্র’ শব্দটি সমেত, প্রকাশিত হয়েছে ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’, ‘ইন্ডিয়া টুডে’, ‘এনডিটিভি’, এবং ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ সহ অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে।
টিএমসির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে, তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনের বক্তব্য পোস্ট করা হয়। উনি বলেন, দিল্লির সংবাদ মাধ্যম “আবার ভুল করেছে।”