সাংবাদিক, সম্পাদিকা ও এডিটরস গিল্ডের কোষাধ্যক্ষ শিলা ভট্ট টুইট করে দাবি করেছেন বারাসাতের সাংসদ নুসরত জাহান রুহি এবং যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ক্যমেরাম্যানদের বিরুদ্ধে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে।
ওই টুইটে শিলা ভট্ট লেখেন, ''নুসরত জাহান এবং মিমি চক্রবর্তী লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে ক্যমেরাম্যানদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে। সংসদে উঠতে তাদের ঘেরাও করার জন্য। ফটোগ্রাফার ও ভিডিওগ্রাফাররা অনেক কঠিন কাজ করেন। আমি মনে করি নবীন হৃদয় মুক্তমনা হওয়া উচিৎ।''
২৭ জুন বিকেল ৫:৫০-এ এই টুইটকরেন তিনি। টুইটটি এখানে আর্কাইভ করা আছে এখানে।
টুইটারের বায়ো অনুযায়ী শিলা ভট্ট নিউজ এক্স চ্যানেলে কর্মরত। রয়েছেন চ্যানেলটির সম্পাদনা বিভাগে। তিনি এডিটরস গিল্ড-এর কোষাধ্যাক্ষ। চামেলি দেবী জৈন সাংবাদিকাতা পুরস্কারে সম্মানীত তিনি। তাঁকে টুইটারে ৩৬,৭০০০ জনের বেশি ফলো করেন।
এদিন ৬:০৬ মিনিটে অভিনেত্রী ও যাদবপুর কেন্দ্রের লোকসভা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী শিলা ভট্টের টুইট কোট করে লেখেন, ''ম্যাম এটা অবগতের জন্য যে, কোনওরকম মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ কোনও সাংবাদিক বা ফটোগ্রাফারের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের কাছে এখনও পর্যন্ত দায়ের করা হয়নি। আমাদের গণমাধ্যমের সুহৃদদের প্রতি পরম শ্রদ্ধা আছে, যারা আমাদের সমস্ত যাত্রা পথকে সমর্থন করে এসেছেন। ধন্যবাদ।''
মঙ্গলবার ২৫ জুন সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসের এই দুই সাংসদ শপথ গ্রহন করেন। ওই দিন দিল্লীর গণমাধ্যম কর্মীদের দ্বারা হেনস্থার শিকার হন তারা দুজনে। সংসদে যাবার পথে ধাক্কাও দেওয়া হয় তাদের। বিস্তারিত পড়া যাবে এখানে।
ইতিমধ্যে শিলা ভট্ট নিজের টুইটটি সংশোধন করে উল্লেখ করেন যে তাঁকে একজন মহিলা চিত্রসাংবাদিক জানান যে ওই দুই সাংসদ অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি আরেকটি টুইটে ব্যাখ্যা দিয়ে উল্লেখ করেন যে তিনি চিত্রসাংবাদিকদের পক্ষে, যারা ঝড়-জল উপেক্ষা করে তাদের কাজ করে যান।