ইন্ডিয়া টুডে সম্প্রতি একটি বুথ-ফেরত সমীক্ষার প্রোমোশনাল ভিডিও প্রকাশ করেছে, যাতে পরীক্ষামূলকভাবে নকল কিছু পরিসংখ্যান ব্যবহার করা হয়েছে, যা আদৌ বর্তমান সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলের প্রত্যাশাকে প্রতিফলিত করে না।
ভিডিওটি অবশ্য প্রায় সঙ্গে-সঙ্গে এই বলে ভাইরাল হয়েছে যেন, সংবাদ-চ্যানেলটির সম্পাদক রাহুল কানওয়াল ১৯ মে ২০১৯ প্রকাশিতব্য বুথ-ফেরত সমীক্ষাটিই গ্রাহকদের জন্য পেশ করছেন।
ভিডিওটিতে কানওয়াল সমীক্ষার প্রস্তুতির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে একটি কম্পিউটারের দিকে কয়েক পা হেঁটে যাচ্ছেন, যাতে ভারতের একটি মানচিত্র ফুটে রয়েছে। এর পর ক্যামেরা যেই জুম করে কম্পিউটার স্ক্রিনে পড়ছে, অমনি সেখানে নির্বাচনে প্রাপ্য এনডিএ ও ইউপিএ-র সম্ভাব্য আসনসংখ্যার পরিসংখ্যান ফুটে উঠছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এনডিএ ১৭৭টি আসন পেতে পারে, যা আগের নির্বাচনের তুলনায় ১৭৭টি কম, ইউপিএ পেতে পারে ১৪১টি আসন (যা আগের তুলনায় ৭৬টি বেশি) আর অন্যান্য দল মিলে পেতে পারে ২২৪টি (যা আগের তুলনায় ১০১টি বেশি)।
এটা কি সত্যি?
নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট করে দিয়েছে, ভোটগ্রহণ সমাপ্ত হওয়ার আগে কোনও বুথ-ফেরত সমীক্ষা প্রকাশ করা যাবে না, এ ক্ষেত্রে যে সময়সীমা তা ১৯ মে-র অন্তিম দফা ভোট দান পর্ব মেটার পর।
ইন্ডিয়া টুডের প্রকাশিত ভিডিওটি কিন্তু অনেকেই সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন এবং অনেকেই জানতে চাইছেন ভিডিওতে দেওয়া পরিসংখ্যানগুলি সঠিক কিনা।
এই মর্মেই একটি ট্যুইটের জবাবে কানওয়ালের সহকর্মী এবং ইন্ডিয়া টুডে-র সাংবাদিক রাজদীপ সরদেশাই জানিয়েছেন, ভিডিওটি ভুয়ো খবরের পর্যায়ভুক্ত এবং এ ধরনের কোনও সমীক্ষা চালানো হয়নি।
সরদেশাই-এর এই মন্তব্য সত্ত্বেও অনেকেই ভিডিওটি ট্যুইট করেছেন এমনকি কংগ্রেসের মধ্যপ্রদেশ শাখার সরকারি ট্যুইটার হ্যান্ডেলও এটি শেয়ার করেছে।
টাইমস নাউ চ্যানেলের মুখ্য সম্পাদক রাহুল শিবশংকর পর্যন্ত সকলের মনের কথার প্রতিধ্বনি করে জানতে চেয়েছেন—এটা কি সত্যি?
না, এই পরিসংখ্যানটি মহড়ার
বুম ইন্ডিয়া টুডে-র সম্পাদক রাহুল কানওয়ালকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন—এগুলি সত্যিকারের পরিসংখ্যান নয়, বুথ-ফেরত সমীক্ষার প্রস্তুতি হিসাবে এগুলি সাজানো হয়েছে মাত্র, যা ১৯ তারিখের সমীক্ষার প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি মহড়ার জন্য।
ইন্ডিয়া টুডে-র ট্যুইটার হ্যান্ডেলও দ্রুত একটি ট্যুইটে গোটা বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলা হয়, আমরা আপনাদের উত্তেজনা সম্যক বুঝতে পারছি। তবে আপনাদের হতাশ করার জন্য দুঃখিত। আমরা নিজেরাও অধীর আগ্রহে প্রকৃত পরিসংখ্যানের জন্য অপেক্ষা করছি।