২০১৭ সালে রোহিঙ্গা (Rohingya) শরণার্থীদের বাংলাদেশের কক্সবাজারের (Cox's Bazar) টেকনাফে মায়ানমার সীমান্তে নাফ নদী পারাপারের দৃশ্য ভুয়ো দাবি সহ বাংলাদেশের (Bangladesh) সিলেটে (Sylhet) বন্যার দৃশ্য বলে ছড়ানো হচ্ছে।
১৯ মে ২০২২ বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী সিলেট শহর ও জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্লাবিত হয় শহর সহ হাজার হাজার গ্রাম। সিলেটে ১০ থেকে ১২ লক্ষ মানুষ এখনও বন্যাকবলিত।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ১৩ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায় প্রায় মাথা ছুঁই-ছুঁই জলস্তর ভেঙে গৃহস্থালির সরঞ্জাম নিয়ে প্লাবিত এলাকা পেরচ্ছেন দুর্গত শিশু সহ মহিলা ও পুরুষেরা।
ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "সিলেটে ধনী-গরিব সবার ঘরেই এখন বন্যার পানি। পার্থক্য হলো গরিবরা বড় অসহায়।"
বুম দেখে একই দাবি সহ ভিডিওটি ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। দুটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে ও এখানে।
আরও পড়ুন: আজতক ও ওড়িশা টিভি ইন্দোনেশিয়ায় সেতু ভাঙার দৃশ্যকে দেখাল অসমের বলে
তথ্য যাচাই
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল ভিডিওটি বাংলাদেশের সিলেটে বন্যার দৃশ্য নয়। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফে মায়ানমার সীমান্তে নাফ নদী পারাপার।
বুম ভিডিওটির মূল ফ্রম রিভার্স সার্চ করে ভয়েস অফ আমেরিকারইউটিউব চ্যানেলে একটি ৫৩ সেকেন্ডের দীর্ঘকার ভিডিও খুঁজে পায়। 6 সেপ্টেম্বর ২০১৭ আপলোড করা ওই ভিডিওর শিরোনাম, "রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নদী পারাপার করছেন বাংলাদেশে পৌছাতে"। (মূল ইংরেজিতে শিরোনাম: Rohingya refugees cross river to reach Bangladesh)
বুম কিওয়ার্ড সার্চ করে বিষয়টি নিয়ে ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ প্রকাশিত করে ভয়েস অফ আমেরিকার সংবাদ প্রতিবেদনেও একই ব্যক্তিদের ছবি খুঁজে পায়। ছবিটির ক্যাপশন, "৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ কক্স বাজারের টেকনাফ অঞ্চলে একটি রোহিঙ্গা পরিবার বাংলাদেশে সীমান্তে পৌঁছাল মায়ানমার সীমান্তের নাফ নদীর একটি খাড়ি পেরিয়ে।" এই ছবির সূত্র হিসেবে সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের নামকরণ করা হয়েছে।
বুম কিওয়ার্ড সার্চ করে ওই রহিঙ্গা শরণার্থী পরিবারের একাধিক ছবি দেখতে পায় এ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ওয়েসবসাইটে। বুম কিওয়ার্ড সার্চ করে ওই রহিঙ্গা শরণার্থী পরিবারের একাধিক ছবি দেখতে পায় এ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ওয়েসবসাইটে। এ্যাসোসিয়েটেড প্রেসে প্রকাশিত একটি ছবি দেখুন এখানে।
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ভয়েস অফ আমেরিকা তুর্কিও একই ভিডিও প্রকাশ করেছিল তাদের প্রতিবেদনে।