২৬/১১ মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত মহম্মদ আজমল আমির কাসভকে ক্ষমা করার আবেদনে যাঁরা সই করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) নাম আছে বলে একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে। পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে।
২০১২ সালে যে আইনজীবী কাসভের জন্য মার্সি পিটিশন ফাইল করেছিলেন, বুম তাঁর সঙ্গে কথা বলে, এবং এই বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনগুলি যাচাই করে নিশ্চিত হয় যে, দাবিটি আসলে মিথ্যে। সমাজবাদী পার্টির এক মুখপাত্রও এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন। সামনের বছর উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন এবং সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে নিশানা করে বিভিন্ন ভুয়ো খবরে সোশাল মিডিয়া ছেয়ে গিয়েছে।
যাদব ওই আবেদনে সই করেছেন বলে ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থকরা বিভিন্ন ফেসবুক পোস্ট এবং টুইটে মিথ্যে দাবি করেছে।
হিন্দু যুব বাহিনীর গুজরাতের ভারপ্রাপ্ত নেতা যোগী দেবনাথ একই দাবি হিন্দিতে টুইট করেছেন। টুইটটির অনুবাদ, "যে ৩০২ জন লোক কাসভের মার্সি পিটিশনে সই করেছিল, অখিলেশ যাদব তাদের মধ্যে এক জন... ভাবলাম আপনারা হয়তো ভুলে গিয়েছেন, তাই মনে করিয়ে দিই।"
(হিন্দি: कसाब की फांसी को रुकवाने के लिए जिन 302 लोगो ने याचिका पर साईन किए थे उनमें से एक ये अखिलेश यादव भी एक थे...... सोचा आप भूल गए होंगे याद दिला देते है)
পোস্টটি অনেক টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করা হয়েছে।
ফেসবুকেও পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে। এখানে, এখানে, এখানে পোস্টগুলি দেখতে পারেন।
আরও পড়ুন: গুজরাতের ছবিকে মুলায়ম সিংহ জামানায় উত্তরপ্রদেশের ঘটনা বলে চালনো হল
তথ্য যাচাই
যুগ মোহিত চৌধুরী নামে যে আইনজীবী রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কাছে কাসভের মৃত্যুদণ্ড রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আবেদন করেন, বুম তাঁর সঙ্গে কথা বলে। চৌধুরী বুমকে বলেন, "অখিলেশ যাদব ওই আবেদনে সই করেননি।"
তিনি আরও জানান যে, যাঁরা ওই তালিকায় সই করেছিলেন, তাঁদের বিভিন্ন ভাবে হয়রান করা হয়েছে, তাই তিনি এই বিষয়টি আর তুলতে চান না।
আজমল কাসবের ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ে যে সব সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, আমরা সেগুলি ভাল করে দেখি। কোনও প্রতিবেদনেই অখিলেশ যাদবের নাম দেখতে পাওয়া যায়নি।
২০১২ সালের ১২ নভেম্বর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কাসবকে ক্ষমা করার জন্য রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর উদ্দেশে যে আবেদন করা হয়, তাতে ২০৩ জন সই করেন। ২৬/১১ মুম্বই হামলার জন্য কাসভকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় যে, মুম্বইয়ের আইনজীবী যুগ চৌধুরী রাষ্ট্রপতির কাছে কাসভের মৃত্যুদণ্ড রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আবেদন করেন এবং সে জন্য জনসমর্থন জোগাড় করার চেষ্টা করেন।
রাষ্ট্রপতি ওই আবেদন খারিজ করে দেন। ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর কাসভকে ইয়েরেওয়াড়া জেলে ফাঁসি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাম মন্দিরের সমালোচনা জন্য ইমরান খানকে বাদ দিল ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা?