সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তিকে পুলিশের গ্রেফতার (arrest) করে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও ভুয়ো দাবিসহ ভাইরাল হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে ভিডিওয় অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Himanta Biswa Sarma) গ্রেফতারির দৃশ্য দেখা যায়।
বুম দেখে ভাইরাল ভিডিও বিহারের যেখানে দ্বারভাঙ্গা আদালত থেকে খুনের দায়ে এক আইনজীবীকেই পুলিশ গ্রেফতার করে।
অসমের ছয়গাঁওয়ে কংগ্রেসের একটি কর্মী সভায় দেশের বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী বলেন দুর্নীতির জন্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জেলে যাবেন ২০২৬ সালের নির্বাচনে হারের পর। গান্ধীর মন্তব্যের জবাবে বিশ্ব শর্মা বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাল্টা অভিযোগ করেন, বেআইনিভাবে সরকারের জমি দখলকারীদের উৎসাহ দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। পাইকান সংরক্ষিত বনে জমি দখলকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের জন্যও গান্ধীকেই দায়ী করেন তিনি।
ভাইরাল দাবি
একটি ভবন থেকে সকলের মাঝ দিয়ে একজন কালো কোট পরা ব্যক্তিকে অনেকজন পুলিশ মিলে ধরে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায় ভাইরাল ভিডিওয় যা শেয়ার করে ব্যবহারকারীরা দাবি করেছেন সেটি হিমন্ত বিশ্ব শর্মার গ্রেফতারির। এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, "হেমন্ত বিশ্বাস শর্মা গ্রেফতার হয়েছে কে কে খুশি আছেন সবাই ভিডিওটা শেয়ার করেন গরু চোর আসাম"
অনুসন্ধানে আমরা কী পেলাম
বুম ভাইরাল দাবিটি যাচাই করতে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার গ্রেফতারি সংক্রান্ত কিওয়ার্ড সার্চ করে কোন বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন পায়না। আমরা যাচাই করে দেখি ভিডিওটি বিহারের এক আইনজীবীকে গ্রেফতারির।
১. ভাইরাল ভিডিও বিহারের: আমরা ভাইরাল ভিডিওর কিফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চ করে বিহারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম News4Nation-এর ২০২৫ সালের ২০ জুনের এক্স পোস্টে ভাইরাল ভিডিওটি দেখতে পায়। পোস্টের ক্যাপশনে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ভিডিওটি বিহারের দ্বারভাঙ্গার যেখানে ৩২ বছর আগের একটি খুনের মামলায় আদালত থেকেই অভিযুক্ত এক আইনজীবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২. ৩২ বছর পর খুনের দায়ে গ্রেফতার আইনজীবী: আমরা কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ইটিভি ভারতের প্রকাশিত ২০ জুন, ২০২৫-এর একটি প্রতিবেদন পাই এই ঘটনা সম্বন্ধে। প্রতিবেদন অনুসারে, ক্রিমিনাল আইনজীবী অম্বর ইমাম হাশমিকে অতিরিক্ত জেলা বিচারক সুমন কুমার দিবাকরের নির্দেশে দ্বারভাঙ্গা আদালত থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিহারে ৩২ বছর আগে হওয়া তিনটি খুনের মামলায় হাশমি ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় হাশমি আদালতে একটি অন্য মামলার আইনজীবী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।