Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

ইউপিএ জমানার তুলনায় ২০১৪ এনডিএ পরবর্তী সময়ে এলপিজির দাম কম কেন?

এলপিজি সিলিন্ডার পিছু দামের ব্যাপারে ভাইরাল হওয়া পোস্টে আন্তর্জাতিক দর হিসেব করা হয়নি যা অন্তর্দেশীয় মূল্য প্রভাবিত করে।

By - Mohammed Kudrati | 25 Feb 2021 7:38 PM IST

একটি ভাইরাল হওয়া সোশাল মিডিয়া পোস্টে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) (LPG) বাৎসরিক দামের তুলনা করা হয়েছে, এবং দাবি করা হয়েছে যে, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) এনডিএ (NDA) সরকার ক্ষমতায় আসার পর এলপিজির দাম ইউপিএ (UPA) জমানার তুলনায় কমে গিয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীকে (রাহুল Gandhi) কটাক্ষ করে এই ভাইরাল হওয়া মেসেজে ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের (যখন কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট ক্ষমতায় ছিল) এলপিজির দাম দেখানো হয়েছে, তারপর দেখানো হয়েছে ২০১৫ সালের (যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ ক্ষমতায় আসে) পর থেকে কী ভাবে এলপিজির দাম কমতে শুরু করে।

পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের পেট্রোলিয়াম প্ল্যানিং এবং অ্যানালিসিস সেলের দেওয়া তথ্য বিশদে বিশ্লেষণ করে বুম দেখতে পায় যে, এলপিজির যে দাম দেখানো হয়েছে তা আসলে আন্তর্জাতিক দামের সঙ্গে সম্পর্কিত।২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এলপিজির আন্তর্জাতিক দাম চড়া ছিল। তারপর থেকে দাম দ্রুত কমতে থাকে। ভাইরাল মেসেজে 'ফ্রি অন বোর্ড' দাম দেখানো হয়নি,যার উপর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গ্যাসের দামের বাড়া-কমা নির্ভর করে এবং এটাই এলপিজির মূল্যের সবচেয়েবড় নির্ধারক। গ্রাহকরা যে দামে এলপিজি সিলিন্ডার কেনেন, তা এই ফ্রি অন বোর্ড বা এফওবি-র দ্বারা প্রভাবিত হয়।

এছাড়া, এই ভাইরাল মেসেজে মূলত ইন্ডিয়ান অয়েল-এর থেকে নেওয়া যেসব পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে, সেগুলি বেছে বেছে দেওয়া হয়েছে।

এইসব দাবির বিষয়ে বিস্তারিত জানুন, এবং জেনে নিন,এলপিজি-র গ্রাহক মূল্য কী ভাবে নির্ধারিত হয়।

কী দাবি করা হচ্ছে?

ভাইরাল হওয়া মেসেজে ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল অবধি প্রতি বছরের জন্য এলপিজি সিলিন্ডারের একটিই দাম দেখানো হয়েছে।

নীচে ওই মেসেজের দাবি দেখতে পাবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুবার তা শেয়ার করা হয়েছে।


কোথা থেকে এই দাম সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে?

মেস্রেজে যে দাম দেখানো হয়েছে তা ইন্ডিয়ান অয়েলের ১৪ কেজির ভর্তুকিহীন ইন্ডেন গ্যাস সিলিন্ডারের দাম। এই দামগুলি দিল্লি শহরের গ্রাহকদের জন্য।

এই সংক্রান্ত তথ্য দেখতে পারেন এখানে। এখানে ২০১৩ সাল থেকে দাম দেওয়া রয়েছে এবং ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষতম মূল্যের তথ্য দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের এলপিজির যে দাম দেখানো হয়েছে তা এখান থেকেই নেওয়া হয়েছে।

যেকোনও একটি বছরে ১২ থেকে ১৫টি পৃথক দাম থাকতে পারে, অর্থাৎ বছরের একটি মাসেও এলপিজি সিলিন্ডারের একাধিক মূল্য হতে পারে।

এছাড়া ওই তালিকায় মুম্বই, চেন্নাই এবং কলকাতার এলপিজির দামও দেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ অন্য শহরে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম দিল্লির চেয়ে বেশি বা কম হতে পারে।

ওই মেসেজে ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বরের মূল্য দেখানো হয়েছে। ২০১৮ সালের এলপিজির মূল্য ভুল করে ৬০৯ টাকাদেওয়া হয়েছে কিন্তু আসলে তা ছিল ৮০৯ টাকা ৫০ পয়সা।

দ্বিতীয়ত, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে এলপিজির দাম দেওয়া হয়েছে ১,২৪১ টাকা এবং ওই বছরেরই ডিসেম্বরের দাম দেওয়া হয়েছে ৭৫২ টাকা।

এলপিজির দাম কী ভাবে ভেঙে দেখানো হয়েছে?

অনেকগুলি বিষয়ের উপর এলপিজির দাম নির্ভর করে। পিপিএসি-র কাছে এলপিজি সিলিন্ডারের দামের বিভিন্ন অংশ সম্বন্ধে তথ্য আছে। তা নীচে দেখা যেতে পারে। এই অংশগুলির মধ্যে ফ্রি অন বোর্ড বাবদ খরচ, সরবরাহ, পরিবহণ, গ্যাস ভরার খরচ, কর এবং ভর্তুকি আছে। গ্রাহক যখন এলপিজি সিলিন্ডারের দাম দেন, তখন এই অংশগুলো জুড়েই সেই দাম নির্ধারিত হয়।

'ফ্রি অন বোর্ড'(এফওবি) এলপিজির মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আন্তর্জাতিক মূল্যের সঙ্গে এটি সম্পর্কিত। পেট্রোলিয়াম বিপণন সংস্থাগুলি পেট্রোলিয়াম সংশোধনাগারগুলিকে যে দাম দেয়, তার মধ্যে পরিবহণ ও আমদানি বাবদ খরচের সঙ্গে এই এফওবি মূল্যও ধরা থাকে। দামের এই অংশটি নির্ধারিত হয় ইমপোর্ট প্রাইস প্যারিটি অনুসারে, অর্থাৎ পণ্যটি দেশে প্রবেশ করার সময় তার দাম অনুসারে। কাজেই, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি থাকলে দেশের বাজারেও এলপিজির দাম বেশি হয়। আবার, উল্টোটাও সত্যি— অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশের বাজারেও দাম কমে।

পিপিএসি তাদের ২০১৮ সালের রেডি রেকনারে এফওবি মূল্যের যে সংজ্ঞা দিয়েছে।

এলপিজি-র এফওবি (ফ্রি অন বোর্ড) হল সৌদি আরামকো-র নির্ধারিত বিউটেন (৬০ শতাংশ) এহং প্রোপেন (৪০ শতাংশ)-এর কনট্র্যাক্ট প্রাইস-এর ওয়েটেট অ্যাভারেজ বা ভরযুক্ত গড়, এবং এর মধ্যে প্ল্যাটস গ্যাসওয়্যারের প্রকাশিত প্রিমিয়াম/ডিসকাউন্টের দৈনিক কোটও ধরা থাকে, যা গত এক মাসের গড় হিসেবে ব্যবহৃত হয়।


একটি পিপিএসি নথিতে বিভিন্নপেট্রোপণ্যের দামের বিশ্লেষণ দেখা যেতে পারে এখানে

এলপিজির ঐতিহাসিক এফওবি মূ্ল্য কত ছিল?

পিপিএসি-র তথ্য একজোট করলে দেখা যাচ্ছে যে, ২০১১-২০১২ সাল থেকে এলপিজির এফওবি প্রাইস ক্রমেই কমছে।

Full View

২০১৭ সালের নভেম্বর মাস থেকে পিপিএসি এলপিজির মাসিক এফওবি মূল্যও প্রকাশ করছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত তথ্য ওখানে দেওয়া হয়েছে এবং তাতে দেখা যাচ্ছে যে, ওইসময় এফওবি মূল্য ছিল প্রতি মেট্রিক টনে ৫২৭.৮০ ডলার। ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে এফওবি মূল্য যে স্তরে ছিল, বর্তমানের দাম তার ধারেকাছেও নয়।

Full View

Tags:

Related Stories