Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

কেশ পতাকার পুরনো ছবি ইরানের প্রতিবাদের সঙ্গে জুড়ে ছড়াচ্ছে

বুম দেখে "কেশ পতাকা" বেলজিয়ামের শিল্পী এডিত ডেকিন্ডের ২০১৪ সালে তৈরি একটি শিল্পকর্মের ছবি।

By - Srijanee Chakraborty | 27 Oct 2022 4:48 AM GMT

লঠির সঙ্গে চুল বেঁধে তৈরি করা পতাকা (flag made of hair tied to a stick)  শিল্পকর্মের (artwork) একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হচ্ছে যে, ইরানে (Iran) ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির (Mahsa Amini) মৃত্যুর প্রতিবাদে যে হিজাব-বিরোধী আন্দোলন (anti-hijab protests) চলছে সেখানে ওই পতাকাটি উত্তোলন করা হয়।

"ঠিক ভাবে হিজাব না পরার" অপরাধে, ইরানের বাধ্যতামূলক হিজাব আইন লঙ্ঘন করার দায়ে, সেখানকার 'গাইডেন্স পেট্রল' বা 'নীতি পুলিশ' মাহসা আমিনিকে গ্রেফতার করে। মাহসা অভিযুক্ত পুলিশি অত্যাচারে জ্ঞান হারিয়ে কোমায় চলে যান এবং ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মাহসার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই ইরান জুড়ে ও বিশ্বের নানা জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়।

বুম যাচাই দেখে চুলের পতাকাটি আসলে বেলজিয়াম-এর (Belgium) শিল্পী এডিত ডেকিন্ড-এর (Edith Dekyndt) একটি শিল্পকর্মের ছবি। ছবিটি ২০১৪ সালে তোলা হয়। ক্যাপশনে ইরানের হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যোগ করে ছবিটির একাধিক টুইট সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে।


একই দাবি সহ টুইটগুলি  দেখুন এখানে ও এখানে

একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, "এই পতাকাটি হিজাব না পরার জন্য ইরানের নীতি পুলিশের দ্বারা অভিযুক্ত ও নির্যাতনে মৃত ২২ বছরের মাহসা আমিনির মৃত্যুর  বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মহিলাদের চুল দিয়ে তৈরি করা। দশকের পর দশক যে শাসন ব্যবস্থা মহিলাদের নিপীড়ন করে এসেছে তার বিরুদ্ধে এই ঐতিহাসিক আন্দোলনে যুক্ত মহিলাদের প্রতি আমার সমর্থন জানাই। ন্যুনতম মানবাধিকার দাবি করে ইরানের মহিলারা অসম্ভব সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। এই ঘটনা বিশ্বের সব নারীবাদী নেতৃত্বের সক্রিয়তা দাবি করে। এই দুষ্কর্ম অনেক দিন ধরে চলেছে এবং তা মহিলাদের সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে। আমি প্রর্থনা করি সৌদি আরব সহ চারপাশের আরও মুসলমান-প্রধান দেশগুলির মহিলারা যেন নারীবাদের এই প্রকৃত উদাহরণকে অনুসরণ দেন।" পোস্টটি দেখুন এখানে


একই রকম দাবি সমেত আরেকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে

ছবিটিকে ইরানের হিজাব-বিরোধী প্রতিবাদের সঙ্গে যুক্ত করে সংবাদমাধ্যমের দ্বারা বিভ্রান্তি  

বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম চুলের তৈরি পতাকাটির ছবি ইরানের হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করে শেয়ার করেছে। ফার্স্টপোস্ট-এর একটি প্রতিবেদনের শিরোনামে লেখা হয়, "সম্মানের পতাকা: বিরোধিতার সবচেয়ে শক্তিশালি প্রতীক রূপে ইরানের মহিলারা চুল কেটে, লাঠিতে বেঁধে উত্তোলন করেছেন (Flag of Honour: Iranian women hoist chopped hair on stick as most powerful symbol of dissent)।"  দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন। লেখাটির আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে

ইরানের হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ছবিটি সমেত করা চিত্রপরিচালক লীনা মণিমেকালাই টু্‌ইট নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় হিন্দুস্থান টাইমস-এ। লাইভমিন্টও তাদের প্রতিবেদনে ওই একই টুইট ব্যবহার করে। তবে চিত্রপরিচালক পরে জানান যে, ছবিটি এডিত ডেকিন্ড-এর একটি শিল্পকর্মের ফটো। প্রতিবেদন দুটি পড়ুন এখানে ও এখানে


ইন্ডিয়া টুডে-র "আগুন, রক্ত এবং "বেলা চাও": ইরানে চলমান হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের কিছু বিশেষ মুহূর্ত" ("Fire, blood and Bella Ciao: Key moments from raging anti-hijab protests in Iran") শিরোনাম সহ প্রতিবেদনে ডেকিন্ড-এর শিল্পকর্মের ছবির বিবরণে লেখা হয়, "মহিলাদের চুল দিয়ে তৈরি পতাকা, আন্দোলনের এক প্রধান দৃশ্য হয়ে থাকবে।" দেখুন এখানে


আরও পড়ুন: ভারত জোড়া যাত্রা: ২০২১ সালে তেলঙ্গনায় কংগ্রেসের পুরনো জনসভার ছবি সাম্প্রতিক বলে ছড়াল

তথ্য যাচাই

বুম ভাইরাল ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখে ছবিটি বেলজিয়াম-এর শিল্পী এডিত ডেকিন্ড-এর তৈরী একটি শিল্পকর্ম। ছবিটি "ওম্ব্রে ইন্ডিজিন" নামক সংগ্রহের অংশ। আমরা সেখানে একই চুলের তৈরি পতাকার তিনটি ছবি দেখতে পাই।

ছবিগুলির বিবরণে বলা হয়, " মার্টিনিক-এর ডিয়মান্ট উপকূলেচুলের তৈরি পতাকাটিকে মাটিতে গেঁথে শিলাখণ্ডের ওপর থেকে ক্যামেরাবন্দি করা হয়। সেখানে ১৮৩০ সালে ৮ এপ্রিলের রাতে, শতাধিক আফ্রিকান কৃতদাস নিয়ে একটি বেআইনি জাহাজ ওই পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ধ্বংস হয়ে যায়।" মার্টিনিক হল ফ্রান্সের একটি দ্বীপ যেখানে ২০১৪ সালে ছবিগুলি তোলা হয়। ছবিগুলি দেখুন এখানে

আমরা এডিত ডেকিন্ড-এর ওয়েবসাইটও "ওম্ব্রে ইন্ডিজিন, ২০১৬" নামক একটি ভিডিও দেখতে পাই। ভিডিওতে ব্রাসেলস-এর উইলস-এ অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীতে দেখানো তাঁর শিল্পেকর্ম দেখতে পাই। ১ মিনিট ২৫ সেকেন্ডের ভিডিওটির ৮ সেকেন্ডের মাথায় ভাইরাল পতাকাটিকে হাওয়ায় উড়তে দেখা যায়। ভিডিওটি দেখুন এখানে


আরও পড়ুন: ভুয়ো দাবিতে ছড়াল অস্ট্রেলিয়ার কার্ডিনিয়া পার্কে কৃত্রিম পিচ বসানোর ছবি

Related Stories