উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আলিগড় কোর্টে একজন কর্মচারীর বিচারকের জলের পাত্রে থুতু মিশিয়ে দেওয়ার পুরনো ঘটনা সাম্প্রদায়িক রং চড়িয়ে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে ওই কর্মচারী মুসলিম সম্প্রদায়ের।
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল ভিডিওতে দেখতে পাওয়া অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বিকাশ গুপ্ত যিনি একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী এবং এই ঘটনাটির সাথে কোনও সাম্প্রদায়িকতার সম্পর্ক নেই।
ভাইরাল ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে হিন্দিতে ক্যাপশন হিসেবে লেখা হয়, “আলিগড় কোর্ট থেকে থুক জিহাদের সম্পূর্ণ নতুন ভিডিও (জুলাই ২০২৪)। ওই কোর্টের বিচারকও থুক জিহাদের শিকার।”
(হিন্দিতে মূল ক্যাপশন, “थूक जिहाद का बिल्कुल नया वीडियो (July 2024 का) अलीगढ़ कोर्ट से. न्यायालय के जज भी हुए थूक जिहाद का शिका)
ভিডিওটি আর্কাইভ দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
ওই ভিডিও ফেসবুকেও একই দাবি সহ শেয়ার করা হচ্ছে।
ভিডিওটি দেখুন এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম দেখে সোশ্যাল মিডিয়াতে করা এমনই এক পোস্টের কমেন্ট অংশে কিছু ব্যবহারকারী দাবি করেন ভিডিওটি ২০১৮ সালের। এইটিকে সূত্র ধরে আমরা গুগলে কীওয়ার্ড সার্চ করলে দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার ২৯ মে ২০১৮ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পায় যেখানে ওই ভাইরাল ভিডিওটিও দেখতে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিডিওতে দেখতে পাওয়া ব্যক্তির নাম বিকাশ গুপ্ত, যিনি একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। তিনি উত্তরপ্রদেশের আলিগড় কোর্টের একজন মহিলা বিচারকের জলে থুতু মিশিয়ে দেওয়ার সময় ধরা পড়ে। এই ভিডিওটি সবার সামনে আসতে বিকাশ গুপ্তকে তারপর থেকে সাসপেন্ড করে দেয়া হয় এবং জেলা কোর্টের বিচারক পিকে সিংহ এই ঘটনাটি তদন্তের আদেশ দেন।
অমর উজালাতে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলা হয়, ওই মহিলা বিচারক অনেকদিন ধরে ওই পিয়নকে তার জলে কিছু মেশানোর জন্য সন্দেহ করছিলেন। তার সন্দেহটি ঠিক কিনা তা যাচাই করতে তিনি একটি ক্যামেরা ফাইল এর মধ্যে লুকিয়ে রাখেন এবং পরে ক্যামেরার ফুটেজ চেক করলে তিনি দেখতে পান ওই পিয়ন তার জলে ধুতু মিশিয়ে দিচ্ছে।
এছাড়াও আমরা এবিপি নিউজের একটি ভিডিও রিপোর্ট খুঁজে পাই। অন্যান্য খবরের প্রতিবেদনেও ওই ব্যক্তিকে বিকাশ গুপ্ত বলে চিহ্নিত করা হয়।