পাকিস্তানে এক উত্তেজিত জনতাকে একটি হিন্দু মন্দির ভাঙ্গচুর করতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেটি এই মিথ্যে দাবি সমেত শেয়ার করা হচ্ছে যে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে, রোহিঙ্গা মুসলমানরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, "ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এক রোহিঙ্গা মুসলমান সম্প্রদায়ের বসতির কাছে একটি হিন্দু মন্দির।"
দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
(হিন্দিতে লেখা ক্যাপশন: रोहिंग्या मुस्लिम समुदाय की बस्ती के नजदीक का हिंदू मंदिर ,पश्चिम बंगाल, भारत)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হল ভারতীয় মুসলিমদের গঙ্গা জবরদখল
ফেসবুকে ভাইরাল
ওই ক্যাপশন দিয়ে ফেসবুকে সার্চ করলে দেখা যায়, ভিডিওটি ওই একই মিথ্যে দাবি সমেত শেয়ার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নীরজ চোপড়ার স্তুতি, পাক খিলাড়ির ভুয়ো টুইটে ভরসা আনন্দবাজার, এই সময়ের
তথ্য যাচাই
দেখা যায়, ভিডিওটি পাকিস্তানে ৪ অগস্ট ২০২১ তোলা হয়। সেদিন, পাকিস্তানের রহিম ইয়ার খানে, একটি বাচ্চা মুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে অপবিত্র করার প্রতিশোধ হিসেবে, একটি হিন্দু মন্দির ভাঙ্গচুর করা হয়।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে, ওই ঘটনার ওপর কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন সামনে আসে। দেখা যায়, ওই ভারইরাল ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট তাতে ব্যবহার করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয় যে, ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে। পশ্চিমবঙ্গে নয়, যেমনটি দাবি করা হয়েছে।
৫ অগস্ট, ২০২১, দ্য ডন তাদের প্রতিবেদনে বলে, ঘটনাটি ঘটে লাহোর থেকে ৫০০ কিমি দূরে, ভোঙ্গ শহরে। একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাঠাগারে পেচ্ছাপ করার অভিযোগে অভিযুক্ত এক ৯ বছরের হিন্দু বাচ্চাকে আদালত জামিন দিলে, কয়েক শ'মানুষ ওই মন্দিরটির ওপর চড়াও হয়।
ক্ষিপ্ত জনতার মন্দির ভাঙ্গচুর করার যে দৃশ্য ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সেই একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে সংবাদ প্রতিবেদনেও।
আমরা এও দেখি যে, পাকিস্তানি সাংসদ, তেহরিক-এ-ইনসাফ পার্টির রমেশ কুমার ভাঙ্কওয়ানি, ওই একই ভিডিও ৪ অগস্ট, ২০২১, টুইটারে পোস্ট করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও ৫ অগস্ট, ২০২১ ঘটনাটি সম্পর্কে টুইট করে মন্দির আক্রমণের নিন্দা করেন।
ওই ঘটনায় জড়িত থাকায় অভিযুক্ত ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দু'টি ভিডিও মিলিয়ে দেখলে বোঝা যায়, একই ঘটনা দেখানো হয়েছে সেগুলিতে।
আরও পড়ুন: গুজরাতের আমদাবাদে রাস্তায় ধসের ছবি ছড়াল উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর বলে