Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

"পরিণতি নিয়ে চিন্তিত নই"—মন্ত্রী নীতিন গডকড়ীর ভিডিও প্রসঙ্গ বহির্ভূত

বুম দেখে ১৯৯৬ সালে মহারাষ্ট্রে পূর্তমন্ত্রী থাকাকালীন এক ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি ওই উক্তি করেন।

By - Anmol Alphonso | 29 Aug 2022 9:58 AM GMT

কেন্দ্রীয় সড়ক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ( Minister of Road Transport and Highways) নীতিন গডকড়ীর (Nitin Gadkari) ভাষণের একটি ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, মন্ত্রীত্ব খোয়া গেলেও তাঁর কিছু এসে যায় না। ভিডিওটি এখন এই মিথ্যে দাবি সমেত শেয়ার করা হচ্ছে যে, বিজেপির (BJP) সংসদীয় বোর্ড থেকে বাদ পড়ার পরিপ্রেক্ষিতেই ওই মন্তব্য করেন গডকড়ী।

বুম দেখে, ভিডিওটি গডকড়ীর একটি সাম্প্রতিক ভাষণ থেকে নেওয়া। সেখানে তিনি ১৯৯৬ সালে শিবসেনা-বিজেপি (ShivSena-BJP) সরকারের পূর্তমন্ত্রী ( Public Works Department Minister) থাকা কালীন একটি ঘটনার উল্লেখ করেন। ১৯৯৬-য়, বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে এক কথপোকথনের সময়, উনি মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মেলঘাটের (Melghat) সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের অভাবের প্রসঙ্গ তোলেন। বন সংরক্ষণ আইনে ( Forest Protection Laws) নিষেধ থাকার কারণে সেখানে রাস্তা তৈরি করা যাচ্ছিল না। এই প্রসঙ্গে উনি বলেন, ওই এলাকার গরিব মানুষের স্বার্থে কাজ করার জন্য উনি তাঁর মন্ত্রিত্ব খোয়ানরও তোয়ক্কা করেন না।

সম্প্রতি বিজেপির সংসদীয় বোর্ড থেকে গডকড়ী বাদ পড়ায়, রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেক অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ভাষ্যকারের মতে, ওই বর্ষীয়ান নেতাকে পার্টিতে এক ঘরে করার এটা হল একটা লক্ষণ

আম আদমি পার্টির (AAP) সদস্য সঞ্জয় সিংহ ৩৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি টুইট করেন। তার সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশনে লেখা হয়, "আসলে, নীতিন গডকড়ী এ কথা কেন বললেন? বিজেপি এক বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে চলেছে। ভিডিওটিতে লেখা ক্যাপশনে বলা হয়, 'আমার মন্ত্রিত্ব গেলে যাবে। আমি তোয়াক্কা করি না।' গডকড়ী বিজেপি ছাড়ছেন।"

দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন। আর্কাইভের জন্য এখানে

সেই দিনই, তার কিছু আগে, মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের মুখপাত্র অতুল লোন্ধে ভিডিওটি টুইট করে ছিলেন। তাঁর লেখা ক্যাপশনে বলা হয়, "গডকড়ী কী করছেন?"

দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

আরও পড়ুন: দিল্লির সরকারি স্কুল নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন কি বিজ্ঞাপণ?

তথ্য যাচাই

বুম দেখে, ভাইরাল ভিডিওটিতে গডকড়ীর ভাষণের কিছু অংশ পরিপ্রেক্ষিত ছাড়াই শেয়ার করা হচ্ছে।

ভিডিওটির একটি বড় সংস্করণে, দেখা যাছে যে, ১৯৯৬-তে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর যোশীর নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-বিজেপি সরকারের পূর্তমন্ত্রী থাকা কালে, তিনি ওই মন্তব্য করেছিলেন। বন দফতরের এক আধিকারিককে তিনি বলেছিলেন, অমরাবতীর মেলঘাটে ৪৫০টি গ্রামে রাস্তা তৈরির ব্যাপারটা উনি সামলে নেবেন। এবং গরিবের স্বার্থে কাজ করার জন্য তিনি মন্ত্রিত্ব হারানোরও তোয়াক্কা করেন না।

আমরা আসল ভাষণটি দেখি। সেটি প্রায় ২৭ মিনিট দীর্ঘ। ২৩ অগস্ট ২০২২-এ, ড. দানেশ্বর এম মুলের লেখা বই 'নৌকরশাহী কে রঙ' বইটি প্রকাশ করার অনুষ্ঠানে ভাষণটি দেন। গডকড়ীর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও টুইটার অ্যাকাউন্ট ভাষণটি সরাসরি দেখানো হয়। 

মহারাষ্ট্রের পূর্তমন্ত্রী থাকা কালে কিছু ঘটনার কথা সেখানে শেয়ার করেন গডকড়ী। মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলার মেলঘাটে অপুষ্টির কারণে শিশুমৃত্যুর সময়ের একটি ঘটনার কথা শোনান উনি। মেলঘাট টাইগার রিজার্ভ ১৫০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এবং ১৯৭৩-৭৪-এ ভারতের নয়টি ঘোষিত টাইগার রিজার্ভের মধ্যে মেলঘাট ছিল একটি

৭.৩০ সময় চিহ্ন থেকে গডকড়ীকে বলতে শোনা যায়, "১৯৯৬ সালে আমি মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী ছিলাম। সেই সময় একটি ঘটনা ঘটে। মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলায়, ২,৫০০ শিশু অপুষ্টির কারণে মারা যায়। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর যেশী বলতেন নীতিন, এ কেমন পরিস্থিতি। মেলঘাটে ৪৫০টি গ্রাম রয়েছে। কিন্তু একটিও গ্রামে কোনও রাস্তা নেই। আমি তখন পূর্তমন্ত্রী ছিলাম। মিটিংয়ে বন দফতরের মুখ্য সংরক্ষক উপস্থিত থাকতেন। চার-পাঁচ বার তাঁর উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শুনেছি। একবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা কিছু অনুভব করেন না? ২,৫০০ শিশু অপুষ্টিতে মারা গেছে...সেখানে বিদ্যুতের লাইন নেই...বন সংরক্ষণের সব কাজ বন্ধ রাখবেন। আপনাদের কিছু মনে হয় না?' এবং ওই আধিকারিক তাঁকে (যোশীকে) বলেন, 'আমি দুঃখিত। আমার কিছুই করার নেই'।"

এরপর, ৯.১৭ সময় চিহ্নে গডকড়ী বলেন, "আমার তখন খারাপ লাগে। আমি তাঁকে বলি, স্যার, এই কাজ আপনি সামলাতে পারবেন না। এই কাজ আমি খুব ভালো করতে পারব। এক কাজ করুন, এটা ছেড়ে দিন। পরিণাম সম্পর্কে আমার কোনও চিন্তা নেই। এবং আমি কাজটা করব। যদি সম্ভব হয়, আমার পাশে থাকবেন। তা নয় তো, ছেড়ে দিন। আমার মন্ত্রীপদ যায় যাবে।"

কেটে নেওয়া ভাইরাল ভিডিওটির শুরুতে এই মন্তব্যটি শোনা যায়। এবং সেটি এখন মিথ্যে দাবি সমেত শেয়ার করা হচ্ছে। গডকড়ী পরে আরও বলেন, পূর্তমন্ত্রী হিসেবে তিনি লিখিত নির্দেশ দেন যে, মেলঘাটের ৪৫০টি গ্রামে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করতে হবে। তিনি এও লেখেন যে, এর জন্য আইন (বন আইন) অনুসারে যদি কারও ওপর দায় বর্তায়, তাহলে মন্ত্রী হিসেবে তিনি সব দায় স্বীকার করবেন।

ভাইরাল ভিডিওটি থেকে এই অংশটিও বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও তাই থেকেই বোঝা যায় যে, গডকড়ী মেলঘাটে রাস্তা তৈরির পরিপ্রেক্ষিতে ওই মন্তব্য করেছিলেন। তিনি তাঁর মন্ত্রীপদের তোয়াক্কা করেন না, ওটা কোনও স্বাধারণ উক্তি ছিল না।

গডকড়ীর পুরো ভাষণটি নীচে শোনা যাবে।

Full View

তাছাড়া, ভাইরাল ভিডিওটি সম্পর্কে গডকড়ী টুইটের একটি থ্রেডও টুইট করেন। তাতে ভিডিওটির সত্যতা নাকচ করে গডকড়ী বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে একটি 'মিথ্যে প্রচার' চালানো হচ্ছে।

গডকড়ীর আরও একটি সাম্প্রতিক ভাষণ আলোড়ন ফেলে দেয়। মুম্বইয়ে, অ্যাসোসিয়েশন অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারস-দের আয়োজিত "নেশন ২০২২" অনুষ্ঠানে, গডকড়ী তাঁর ভাষণে বলেন, "সরকার সময় মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না"। তাঁর ওই মন্তব্য শিরোনামে উঠে আসে এবং তা ব্যাপক ভাবে রিপোর্ট করা হয়। কিন্তু এনডিটিভি তাদের ২৫ অগস্ট, ২০২২-এর প্রতিবেদনে বলে যে, বিজেপি নেতাদের মতে, গডকড়ী ওই মন্তব্য কোনও নির্দিষ্ট সরকার সম্পর্কে করেননি। তা ছিল সাধারণভারে সব সরকার সম্পর্কে।

আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড নয়, ''মনমোহন সিংহ বৃত্তি'' দেয় কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়

Related Stories