সংসদে (parliament) বক্তব্য পেশ করতে থাকা এক সাংসদের উপর আচমকা চড়াও হয়ে প্রহার করার একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে ঘটনাটি ইজরায়েলের (Israel)।
বুম দেখে ভিডিওটি আসলে জর্জিয়ার সংসদ ভবনের। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে জর্জিয়ার শাসক দলের নেতা মিনারাদজেকে বিরোধী দলের সাংসদ এলিসাশভিলির হঠাৎ মারধর করার ভিডিও এটি।
ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক আঘাত-প্রত্যাঘাতের লড়াইয়ের মাঝে, ইজরায়েলের পার্লামেন্টে অশান্তির দাবিতে ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি।
ভাইরাল দাবি
৬ সেকেন্ডের ক্লিপটি শেয়ার করে সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা দাবি করেছেন ইজরায়েলের বর্তমান জায়োনিস্ট সরকার তাদের নিজস্ব সাংসদদের সমর্থন হারিয়েছে যার উদাহরণ ভিডিওয় দেখা যায়। এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, “জায়োনিস্ট সরকারকে ইজরায়েলের নিজস্ব সংসদ সদস্যরাই সমর্থন করছেন না আর ভারতের অন্ধ গোবর ভক্তরা “ইজরায়েল তুমি সংগ্রাম করো, আমরা তোমার সঙ্গে আছি।”
অনুসন্ধানে আমরা কী পেলাম
বুম দেখে ভাইরাল ক্লিপটি পুরনো ও ইজরায়েলের নয়। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে জর্জিয়ার সংসদে শাসক দলের নেতা মিনারাদজেকে বিরোধী দলের সাংসদ এলিসাশভিলির হঠাৎ মারধর করার ভিডিও এটি।
১. ভাইরাল ভিডিও জর্জিয়ার, ইজরায়েলের নয়
আমরা ভাইরাল ভিডিওর কিফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চ করে জর্জিয়ার সংবাদমাধ্যম রেসোন্যান্স ডেইলির ১৫ এপ্রিল, ২০২৪-এর প্রতিবেদনে ভাইরাল দৃশ্যগুলি দেখতে পাই। রিপোর্ট অনুসারে ভিডিওয় মামুকা মিনারাদজের উপর চড়াও হয়ে মারতে দেখা যায় আলেকো এলিসাশভিলিকে।
ভাইরাল ক্লিপের একটি দীর্ঘতর সংস্করণসহ ১৫ এপ্রিল, ২০২৪-এ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রকাশিত ভিডিও রিপোর্ট অনুসারে, জর্জিয়ার সংসদে একটি বিতর্কিত আইন নিয়ে আলোচনার সময় ঘটনাটি ঘটে।
২. জর্জিয়ার পার্লামেন্টে সাংসদদের মধ্যে মারপিটের বিস্তারিত
সিএনএন-এর ১৫ এপ্রিল, ২০২৪-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘ফরেন এজেন্ট’ সংক্রান্ত একটি বিতর্কিত বিল পাশ নিয়ে যখন শাসক দল জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির নেতা মামুকা মিনারাদজে নিজের বক্তব্য পেশ করছিলেন, সেসময় বিরোধী সাংসদ এলিসাশভিলি তাকে ঘুষি মারে। এর রেশ ধরে ঘটনাটি সাংসদদের মধ্যে মারামারিতে পরিণত হয়।
পশ্চিমা দেশগুলিসহ জর্জিয়ায়ও এই বিতর্কিত বিলটি সমালোচনা ও প্রতিবাদের সম্মুখীন হয়েছে।
জর্জিয়ার সংবাদমাধ্যম বিজনেস মিডিয়া তাদের প্রতিবেদনে জানায়, লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির বৈঠকে বৈদেশিক প্রভাবের স্বচ্ছতা আইন সম্পর্কিত খসড়া নিয়ে প্রথম আলোচনাতেই এই ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তা রক্ষীদের হস্তক্ষেপে জর্জিয়ার সংসদে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।