সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ডিজিটাল উপায়ে সম্পাদিত ভিডিও শেয়ার করে ভুয়ো দাবি করা হয়েছে লাদাখ (Ladakh) পুলিশের মহাপরিদর্শক (DGP) এস.ডি. সিংহ জামওয়াল স্বীকার করেছেন সমাজকর্মী সোনাম ওয়াংচুককে (Sonam Wangchuk) "কোনও প্রমাণ ছাড়াই" প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নির্দেশে আটক (arrest) করা হয়েছে।
বুম দেখে ভাইরাল ভিডিওয় একটি ভয়েস ট্র্যাক বসিয়ে ভুয়ো দাবিটি করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনের মূল ভিডিওয় জামওয়ালকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা বা প্রমাণ ছাড়া ওয়াংচুককে আটক করার কথা বলতে শোনা যায়নি।
লাদাখের ডিজিপি জামওয়াল ২০২৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তদন্ত চলছে। পুলিশ প্রধান ওয়াংচুককে লেহতে সাম্প্রতিক সহিংস প্রতিবাদের পিছনে মূল ব্যক্তি হিসেবে অভিযুক্ত করেন। ২৬ সেপ্টেম্বর, ওয়াংচুককে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ)-এর অধীনে আটক করে সেখান থেকে জোধপুর জেলে স্থানান্তরিত করা হয়।
ভাইরাল দাবি: ভিডিওতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর নির্দেশে প্রমাণ ছাড়াই ওয়াংচুককে আটক করার কথা স্বীকার করেছেন লাদাখের ডিজিপি
১৩ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওয় লাদাখের ডিজিপিকে হিন্দিতে বলতে শোনা যায় তারা জানেন লাদাখের জনগণ তাদের অধিকার পায়নি এবং পুলিশ কোনও প্রমাণ না পেয়েই সোনাম ওয়াংচুককে গ্রেফতার করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর নির্দেশে। এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, "লাদাখ এডিজিপি ড. এস ডি সিং স্বীকার করেছেন যে তিনি কোনো প্রমাণ ছাড়াই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে সোনম ওয়াংচুককে গ্রেপ্তার করেছেন.. বিজেপি দেশ টাকে শেষ করে দিয়েছে..।"
পোস্টটি দেখুন এখানে, আর্কাইভ দেখুন এখানে।
অনুসন্ধানে আমরা কী পেলাম
১. এআই ডিপফেক ভয়েস শনাক্তকারী সরঞ্জামের ফলাফল: আমরা ভাইরাল ভিডিওটি হিয়া ডিপফেক ভয়েস ডিটেক্টরে পরীক্ষা করি। হিয়াতে অডিওটি আসল হওয়ার সম্ভাবনার পরীক্ষায় ২০/১০০ নম্বর দেখা গেছে যা ইঙ্গিত করে ভিডিওটি ডিপফেক।
২. সাংবাদিক সম্মেলনে লাদাখের ডিজিপির মূল বিবৃতি: আমরা গত ২৭ সেপ্টেম্বর লাদাখের ডিজিপি জামওয়ালের সাংবাদিক সম্মেলনের মূল ভিডিওয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ খুঁজে পাইনি। বরং, জামওয়াল প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের পদক্ষেপের সপক্ষে কথা বলেছেন ও ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনের সম্পূর্ণ ভিডিওটি নীচে দেখা যাবে।
ভাইরাল ভিডিওয় দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের লোগো দেখা যায় এবং ব্যবহৃত দৃশ্যগুলি ওই সংবাদমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করা একটি ভিডিও থেকে নেওয়া হয়েছে। নয় মিনিটের মূল ভিডিওর কথাগুলি ভাইরাল অডিওর সঙ্গে মেলে না।