নীতি আয়োগের (Niti Aayog) "উদ্ভাবন ক্রম ২০২১" (innovation index) রিপোর্ট অনুযায়ী "বাণিজ্য পরিবেশ" (business environment) বিভাগে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) ৩৪.৩৫ নম্বর পেয়ে সারা দেশের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করেছে বিভ্রান্তিকর দাবি করে একটি গ্রাফিক ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া সেই গ্রাফিকটিতে লেখা হয়, "'ডবল ইঞ্জিন' রাজ্যগুলিকে পেছনে ফেলে ফের সারা দেশে এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। নীতি আয়োগের বিজনেস এনভায়রনমেন্ট বিভাগে বাংলা স্কোর করেছে ৩৪.৩৫ যা সবচেয়ে বেশি। ২১শে জুলাই নীতি আয়ােগের ইনোভেশন ইনডেক্সে ডবল ইঞ্জিন রাজ্য গুজরাত, বিহার, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশকে পিছনে ফেলের দেশের ১৭টি মেজর স্টেটের মধ্যে একাদশে উঠে এসেছে বাংলা। জয় বাংলা।"
কর্মী ও প্রশাসনিক সংস্কার ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা তাঁর নিজস্ব যাচাই করা ফেসবুক পেজ থেকে ছবিটি পোস্ট করেন।
পোস্টটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
ফেসবুকে একই দাবি সহ আরও অনেকে এই গ্রাফিকটি শেয়ার করেছেন।
এমনই এক পোস্ট দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন: ২০২১ সালে শুভেন্দু অধিকারী ও সুজন চক্রবর্তীর সাক্ষাতের ছবি ভুয়ো দাবিতে ছড়াল
তথ্য যাচাই
বুম ভাইরাল দাবির সত্যতা যাচাই করতে ২১ জুলাই ২০২২ প্রকাশিত নীতি আয়ােগের ইনোভেশন ইনডেক্স ২০২১ রিপোর্টটি পড়ে দেখে। ইনোভেশন ইনডেক্স হল, উদ্ভাবন ক্রম।
রিপোর্টটির ১১৩ নম্বর পাতায় থাকা তথ্য অনুযায়ী "বাণিজ্য পরিবেশ" বিভাগে প্রধান রাজ্যগুলির মধ্যে ৪০.৮০ নম্বর পেয়ে শীর্ষস্থান দখল করে উত্তরপ্রদেশ।
অন্যদিকে, ২৭৯ নম্বর পাতায় থাকা তথ্য থেকে জানা যায় ওই একই বিভাগে পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্ত নম্বর হল ৩৪.৩৫।
এরপর আমরা নীতি আয়োগের ২০২১ সালের রিপোর্টটির ৯৭ নম্বর পাতায় থাকা সামগ্রিকভাবে ইনোভেশন ইনডেক্সে (উদ্ভাবন ক্রম) থাকা রাজ্যগুলির ক্রম-অনুযায়ী তালিকাটি যাচাই করি।
সেখান থেকে জানা যায় ইনোভেশন ইনডেক্স ২০২১, অনুযায়ী সারা দেশের মধ্যে ১১ নম্বর স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ওই তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে বিজেপি শাসিত কর্নাটক রাজ্য।
ভাইরাল গ্রাফিকের দাবি মত ওই তালিকায় গুজরাত, বিহার, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশের আগে অবিজেপি শাসিত পশ্চিমবঙ্গের স্থান দেখা গেলেও অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যের তুলনায় নীচে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
আরও পড়ুন: সৌগত রায়ের সঙ্গে রবিনা ট্যান্ডনের নাচ ছড়াল অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বলে