কোভিড অতিমারির আগে থেকে অনলাইনে থাকা গণ দাহ-কাজের একটি ছবিকে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ পরিস্থিতিতে জিইয়ে তুলে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে কোভিড সংক্রমণে মৃতদের গুজরাতে গণ দাহ-কাজের ছবি।
বুম দেখে ভাইরাল ছবিটি ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে অনলাইনে রয়েছে। বারাণসীর মণিকর্ণিকা শ্মশান ঘাট বলে দাবি করা হয়েছে কিছু ওয়েবাসাইটে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী গুজরাতে করোনা সংক্রমণে এপর্যন্ত ৫,৩৭৭ মৃত্যু (Death) হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ১১০ জনের। (সর্বশেষ তথ্য ১৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে গুজরাতে করোনায় (Coronavirus) মৃতের সংখ্যা সরকারি তথ্যের থেকে বেশি দাবি করে সম্প্রতি রিপোর্টও প্রকাশিত হয়। ১৬ এপ্রিল গুজরাত হাইকোর্ট এক রায়ে রাজ্য সরকার (Government) করোনায় আক্রান্ত ও পরীক্ষার গতিবিধি নিয়ে আসল পরিসংখ্যান প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই ছবিটি শেয়ার করা হচ্ছে।
ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে দেখা যায় নদী তীরবর্তী পাড়ে গণ মৃত দেহ সৎকার করা হচ্ছে।
ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিন সরকার গুজরাটে ' কোভিডে মৃতদের গণচিতা জ্বলছে। এদিকে মোদী-অমিত শাহ বাংলায় এসে বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন।" (বানান অপরিবর্তিত)
আপনারা এখানে পোস্টটিকে দেখতে পাবেন। পোস্টটির আর্কাইভ দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
টুইটারে ভাইরাল
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
আরও পড়ুন: ভোপালে করোনাতে মৃত সৎকারের সংবাদপত্রের ছাঁটাই ছবি বারাণসীর বলে ভাইরাল
তথ্য যাচাই
ভারতে প্রথম কোভিড সংক্রমণের খবর প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের জানুযারি মাসে। কেরলে চিনের উহান থেকে আগত এক পড়ুয়ার দেহে করেনা ধরা পড়ে সে সময়। এটিই প্রথম ভারতে কোরনা সংক্রমণ।
বুম নিশ্চিত হয়েছে ভাইরাল ছবিটি গুজরাতে কোভিড-১৯ আবহে মৃতদেহ সৎকারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
বুম রিভার্স সার্চ করে ভাইরাল এই দাহকাজের ছবিটিকে ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই ও ১৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত অমর উজালা ও পত্রিকা-তে প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদনে খুঁজে পায়।
২০১৯ সালে জুন মাসে প্রকাশিত জনসত্তার এক প্রতিবেদনেও ছবিটিকে খুঁজে পায়। ওই প্রতিবেদনে ছবিটিকে উত্তরপ্রদেশের বারাণসী তথা কাশীর মণিকর্ণিকা শ্মশান ঘাটের দৃশ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুমের তরফে স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি কোথায় ও কবে ভাইরাল ছবিটি তোলা হয়।
আরও পড়ুন: কোভিড রুখতে এগিয়ে উত্তরপ্রদেশ? মিডিয়ায় প্রকাশ গরমিল জনস হপকিন্স জরিপ