Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

শুভেন্দু-আব্বাস সিদ্দিকির গোপন আঁতাত? ভাইরাল হল ভুয়ো ছবি

বুম দেখে মূল ছবিতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রয়েছেন আইমা সংগঠন ও পূর্ব মেদিনীপুরের প্রতাপপুর দরবার প্রধান সৈয়দ রুহুল আমিন।

By - Suhash Bhattacharjee | 28 Jan 2021 6:12 AM GMT

বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট দলের প্রতিষ্ঠাতা ফুরফুরা শরীফের (Furfura Sharif) পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddiqui)-এর একটি ফটোশপ করা ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে মিথ্যে দাবি করা হচ্ছে, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে গোপন আঁতাত।

বুম দেখে আসল ছবিতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রয়েছেন অল ইন্ডিয়া মাইনেরিটি অ্যাসোশিয়েশন (আইমা) এর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ রুহুল আমিন। সৈয়দ রুহুল আমিন ওরফে 'ভাইজান' পূর্ব মেদিনীপুরের প্রতাপপুর দরবার শরীফের পীরজাদা।

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ বঙ্গের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপি দলে যোগ দেন। তার আগে পরিবহণ দপ্তরের মন্ত্রীত্ব, বিধায়ক পদ সহ অন্যান্য সরকারি সংগঠন থেকে ইস্তফা দেন। অন্যদিকে ফুরফুরা শরিফ তীর্থ খ্যাত পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি ২১ জানুয়ারি ২০২০ তাঁর নতুন দল 'ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট' (Indian Secular Front) প্রতিষ্ঠা করে বিধানসভা ভোটে লড়়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। দক্ষিণবঙ্গে বিশেষত দলিত ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর প্রভাব রয়েছে। এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি জানুয়ারি মাসে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করলে রাজনৈতিক মহলে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। রাজনৈতিক নয়া জোট সমীকরণে শুভেন্দু অধিকারী ও আব্বাস সিদ্দিকি বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে এই প্রেক্ষিতেই শেয়ার করা হচ্ছে ছবিটি।

ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারী মেঝেই বসে রয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে। 

ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "আব্বাস সিদ্দিকী ভাইজান ও বিজেপি নেতা শুভেন্দুর মতো মীরজাফরের গোপনে আঁতাত ভাইজান আপনি গোপনে গোপনে বিজেপির সঙ্গে আঁতাত রেখে কোটি কোটি টাকার চুক্তি করে ,, ইন্ডিয়ান সেক্যুলারের ফ্রেন্ড এর নাম করে ,সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে ,,ভোট কাটাকাটি করে ,,,সম্প্রীতির বাংলা টাকে ,এই সনার বাংলা টাকে ,বিজেপির হাতে তুলে দেবেন না ,,,প্লিজ ,,দরকার পড়ে নলেজ সিটির নাম করে বা দাদা হুজুরের নাম করে আবারো একটার জায়গায় দুটো করে ইট নিন 100 টাকার জায়গায় 1000 করে টাকা নিন কোন অসুবিধা নেই আমরা আবার দেবো ,,,কিন্তু দয়া করে সম্প্রদায়িক দল বিজেপির হাতে বিক্রি করে দেবেন না আমাদের কে ," (বানান অপরিবর্তিত)

পোস্টটি দেখা যাবে এখানে। আর্কাইভ করা আছে এখানে
বুম ছবিটির নিচে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের রিপ্লাই দেখে, তাঁরা অনেকেই জানান ছবিটি ফোটোশপ করা। এক ফেসবুক ব্যবহরকারী সেখ হাসমত আলির ওই পোস্টের রিপ্লাইয়ে একটি ছবি পোস্ট করেন। ওই ছবিতে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে।
বুম সেখ হাসমত আলির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদের জানান ওই ব্যক্তির নাম সৈয়দ রুহুল আমিন যিনি অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি অ্যাসোশিয়েশন (আইমা) সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। 

বুম কিওয়ার্ড সার্চ করে ২০১৬ সালের ৯ জুলাই-এর একটি ফেসবুক পোস্টে ওই ছবি দেখতে পায়। পোস্টটিতে ক্যাপশন লেখা হয়, "রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য, আইমার সম্পাদক পীরজাদা সৈয়দ রুহুল আমিন সাহেবকে, #প্রতাপপুর_দরবার_শরিফ এসেছিলেন।"

Full View

অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি অ্যাসোশিয়েশন (আইমা)-এর ওয়েবসাইট অনুযায়ী অরাজনৌতিক এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। সৈয়দ রুহুল আমিন ওরফে 'ভাইজান' পূর্ব মেদিনীপুরের প্রতাপপুর দরবার শরীফের পীরজাদা।

বুম ফেসবুকে সৈয়দ রুহুল আমিন-এর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর কেলাকুলির ২০১৪ সালের আরও একটি পুরনো ছবি খুঁজে পায়

Full View

নিচে আসল ছবি (বাম দিকে) ও সম্পাদনা করা ভুয়ো ছবির (ডান দিকে) তুলনা করা হল।

বুমের তরফে ছবিটির তোলার সময়কাল জানতে শুভেন্দু অধিকারীর ব্যক্তিগত সচিব ও আইমা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির এক সদস্য মারফত সৈয়দ রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলে প্রতিবেদনটি সংস্করণ করা হবে।

Related Stories