সোশাল মিডিয়া ভবঘুরে এক ব্যক্তির (man) ছবি শেয়ার করে ভুয়ো দাবি করা হচ্ছে তিনি মারোয়াড়ি (Marwari) ও হিন্দি ভাষী মহিলাদের (women abduction) দুষ্কর্মের মতলবে অজানা জায়গায় নিয়ে গিয়ে সম্মোহিত (hypnotising) করছেন।
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল পোস্টের ছবি হাওড়ার (Howrah) বাসিন্দা সঞ্জীব অগ্রবালের (Sanjib Agarwal)। ফুলবাগান থানার পুলিশ সঞ্জীবকে শনিবার ৩ ডিসেম্বর ২০২২ জনতার জটলা থেকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দিয়েছেন।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া বার্তাটিতে একই ব্যক্তির দুটি ছবি শেয়ার করে ইংরেজিতে লেখা হয়েছে—"হাওড়া ও ডনবস্কো এলাকায় এক ব্যক্তি রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন ওই ব্যক্তি থেকে সাবধান। বিশেষত মারোয়াড়ি ও হিন্দিভাষী মেয়েদের থেকে ওই ব্যক্তি এক ঠিকানায় এগিয়ে দেওয়ার জন্য বলছেন। তারপর তাদের সম্মোহিত করে নিজের ইচ্ছে চরিতার্থ করছেন। পাশের ছবির নিচে ইংরেজিতে লেখা হয়েছে, কাঁকুড়গাছিতে ২৯ অক্টোবর ওই ব্যক্তি একই ভাবে রাস্তা জিঞ্জাসা করেছিলেন। আমার কাছে হাওড়ার ফরোয়ার্ড মেসেজটি ছিল তাই সতর্ক ছিলাম। ব্যক্তিটি হাতের উপর হাত রাখতে বলে। আমি লক্ষ্য করি তিনি শুধু একলা মহিলাদের সঙ্গেই কথা বলছেন। দয়া করে সতর্ক থাকুন। আমরা কিছু ভেবে ওঠার আগেই সম্মোহন করতে পারে। যদি আপনি দেখেন চোখের দিকে তাকাবেন না।"
(মূল ইংরেজিতে ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশন: "Be careful wid this man he is roaming..in the street of howrah nd donbosco approaches... People specially girls nd Ask them if they know Marwari or Hindi nd to lead him to some address nd then he hypnotises .to get what he want...After that he does bad things with women everyone be careful and if anyone asks for his address don't look him in the eye.Avoid it"
তথ্য যাচাই
বুম কিওয়ার্ড সার্চ করে ইন্ডিয়া টুডে গণমাধ্যমে ৩ ডিসেম্বর ২০২২ বিষয়টি নিয়ে সবিস্তার প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে দেখে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সঞ্জয় অগ্রবাল নামের ওই ব্যক্তিকে ফুলবাগান থানার পুলিশ আটক করেছে। তিনি হাওড়ার বাসিন্দা।
এক পথচারী সঞ্জয় অগ্রবালকে অপহরণকারী বলে দাবি করলে জটলা তৈরি হয়। খবর যায় কলকাতা পুলিশে। মারমুখী জনতার কবল থেকে কলকাতা পুলিশ উদ্ধার করে। বুমের তরফে ফুলবাগান থানার তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বুমকে বলেন, সঞ্জয় অগ্রবালকে তাঁর বাড়ির লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সন্মোহন বা অপরহণের সঙ্গে ওই ব্যক্তির যোগ থাকার বিষয়ে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে কোনও তথ্য প্রমাণ পায়নি।
ইন্ডিয়া টুডে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাওড়ায় ছোট ব্যবসা চালাতেন সঞ্জীব। লকডাউনের সময় তা বন্ধ হয়ে যায়। কলকাতা পুলিশের ডিসিপি আইপিএস প্রিয়ব্রত রায় ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন, "থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন।"
আরও পড়ুন: পুরনো ছবি ছড়িয়ে দাবি সুরাপানের নিষেধ ভাঙল ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল দর্শকরা