একটি বাঘের (tiger) বাড়ির সামনে থেকে একজন লোককে টেনে নিয়ে যাওয়ার এআই (artificial intelligence) দিয়ে তৈরি একটি ভিডিও মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) চন্দ্রপুর (Chandrapur) জেলার ব্রহ্মপুরীর আসল ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV footage) ভুয়ো দাবি করে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বুম দেখে ভিডিওটি কোনও বাস্তব ঘটনার নয় এবং এটি সম্পূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মারফত নির্মাণ করা হয়েছে। চন্দ্রপুরের জেলা তথ্য কার্যালয়র তরফ থেকে একটি স্পষ্টীকরণে নিশ্চিত করা হয় ভিডিওর অনুরূপ কোনও ঘটনা ঘটেনি।
দাবি
ভাইরাল ভিডিওয় বাড়ির সামনে চেয়ার-টেবিলে বসে থাকা একজন ব্যক্তিকে আক্রমণ করে তাকে জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে যেতে দেখা যায় একটি বাঘকে। মহারাষ্ট্রের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দাবিতে ছড়ানোর ভিডিওয় দৃশ্যমান তারিখ অনুসারে, ঘটনাটি ৩১ অক্টোবর, ২০২৫-এ সন্ধ্যে ৬: ৪২-এ ঘটে। '
একটি ফেসবুক পেজ ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশনে দাবি করে, "দেখেন কিভাবে বাঘ মানুষের উপর আক্রমণ করে ব্রহ্মপুরী ফরেস্ট গেস্ট হাউসের সিসিটিভি রেকর্ডিং। (চন্দ্রপুর জেলা)।"
দেখুন এখানে এবং আর্কাইভ দেখুন এখানে।
অনুসন্ধানে আমরা কী পেলাম
১. চন্দ্রপুর জেলা তথ্য কার্যালয়ের স্পষ্টীকরণ: আমরা সম্পর্কিত কিওয়ার্ড সার্চ করে এমন কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন পাইনি যা ভাইরাল দাবিকে সমর্থন করে। অনুসন্ধানে আমরা ৭ নভেম্বর, ২০২৫-এ চন্দ্রপুর জেলা তথ্য কার্যালয়ের প্রকাশিত একটি স্পষ্টীকরণ পাই যেখানে ভিডিওটিকে ভুয়ো এবং এআই দিয়ে তৈরি বলে চিহ্নিত করা হয়। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো থেকে বিরত থাকার বার্তা দিয়ে স্পষ্টীকরণে জানানো হয়েছে মুখ্য বনরক্ষক আর.এম রামানুজাম বলেছেন, "ভিডিওটির নির্মাণকারী ও প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিভাগের তরফ থেকে আইনি ব্যবস্থা করা হবে।"
চন্দ্রপুর জেলা তথ্য কার্যালয় একটি এক্স পোস্টের মাধ্যমেও ভাইরাল দাবিটি খণ্ডন করেছে।
২. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যাচাইকারী টুলে পরীক্ষা: ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে একাধিক দৃশ্যমান অস্বাভাবিকতা লক্ষণীয় যেমন মানুষটির মুখ ও হাতে অসঙ্গতি এবং দৌড়ানোর সময় বাঘের পেছনের পায়ের অদ্ভুত ভাবে নড়াচড়া। এর থেকে ইঙ্গিত নিয়ে আমরা ভিডিওটিকে হাইভ মডারেশনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যাচাইকারী টুলে পরীক্ষা করি। পরীক্ষায় দেখা যায় ভিডিওটি এআই দিয়ে তৈরি।
নিশ্চিত হতে আমরা ভাইরাল ভিডিওর একটি স্ক্রিনশটকে undetectable AI-এ পরীক্ষা করি এবং ফলাফল অনুসারে, ভিডিওয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যায়।






