ভারতীয় ও চিনা সেনাদের মধ্যে হাতাহাতির (India China face-off)এক পুরনো ভিডিও (old video) মিথ্যে দাবি (false claim) সমেত শেয়ার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, অরুণাচল প্রদেশের (Arunacahl Pradesh) তাওয়াংয়ে (Tawang), দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের (Clashes) দৃশ্য।
বুম দেখে, ভিডিওটি অন্তত দু'বছরের পুরনো—সিকিম সীমান্তে দু'দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ সংসদে দেওয়া তাঁর ভাষণে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানান যে, ৯ ডিসেম্বরের ভোরে, চিনের লিবারেশন আর্মি, অরুণাচলে নিয়ন্ত্রণ রেখার স্থিতাবস্থা বদলে দেওয়ার চেষ্টা করলে, ভারতীয় সেনারা তাদের প্রতিহত করে।
২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ানের সংঘর্ষের পর এই প্রথম আবারও সংঘর্ষ ঘটনা ঘটলো যা ১২ ডিসেম্বর জানা যায়।
ওই সংঘর্ষের ছবি বলে সোশাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও শেয়ার করা হচ্ছে। সেগুলির মধ্যে একটিতে, অনেক উচ্চতায়, দুই শিবিরের সেনাদের হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি এই দাবি সমেত শেয়ার করা হচ্ছে যে, সংখ্যায় অনেক বেশি হলেও, ভারতীয় সেনারা চিনের গণমুক্তি ফৌজের ৩০০ সেনাকে সহজেই সরিয়ে দেন।
ফেসবুকে দেওয়া ক্যাপশনে বলা হয়, "তিনশোরও বেশি চিনা মুর্গি, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে, ১৭,০০০ ফিট উচ্চতায় অরুণাচলের তাওয়াং-এ অবস্থিত ভারতীয় পোস্ট দখল করতে আসে। তবে মনে হয়, চিনারা গালওয়ানের কথা ভুলে গিয়েছিল। তাই ভারতীয় সেনারা, অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াই তাদের প্রত্যেকের হাত পা ভেঙ্গে দেয়। কিন্তু যাতে কোনও প্রাণহানি না ঘটে, সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়। এখন ওই মুর্গিগুলি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাদের হাত পায়ের হাড় জোড়া লাগছে। হ্যাঁ, ভারতীয় সেনা বাহিনী এই বিবৃতি দিয়েছে। ঘটনাটি ৯ ডিসেম্বর ঘটে। জয় হিন্দ।"
(হিন্দিতে মূল ক্যাপশন: 300 से अधिक चीनी चूजे पूरी प्लानिंग के साथ 17000 फिट की ऊंचाई पर अरुणाचल के तवांग में भारतीय पोस्ट कब्जा करने आए थे बॉर्डर पर , पर लगता ह की चिंके गलवान को भूल गए थे , इसलिए भारतीय जाबांजो ने एक बार फिर से बिना हथियारों के एक एक कि हड्डियां तोड़ी , बाकायदा इस बात का खास ध्यान रखा गया कि कोई चिंका मर न जाए ।अब वो सारे चिंके होस्पिटलाइज ह , हड्डियां जुड़वा रहे ह , ओर हा ये भारतीय सेना का आधिकारिक बयान ह । व घटना 9 दिसम्बर की ह । जय हिंद)
ফেসবুক পোস্টটি দেখুন এখানে।
তাওয়াং সম্পর্কে তাদের সাম্প্রতিক লেখায়, দৈনিক ভাস্করও ওই পুরনো ছবি শেয়ার করে।
প্রতিবেদনটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম দেখে, ভিডিওটি অন্তত দু'বছরের পুরনো। কারণ, একাধিক সংবাদ মাধ্যম ২০২০-তে ওই একই ক্লিপ দেখিয়ে ছিল।
বুম ইয়ানডেক্স রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখে একই দৃশ্য সংবলিত সবচেয়ে পুরনো ভিডিওটি ২২ জুন, ২০২০, "@bhariyadefence" নামের হ্যান্ডেল থেকে ইনস্টাগ্রামে আপলোড করা হয়।
এই সূত্র ধরে, আমরা প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করি। দেখা যায়, এনডিটিভি-তে প্রকাশিত রিপোর্টে ভিডিওটি ব্যবহার করা হয়।
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চিনা সেনাদের সংঘর্ষের পর ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় ২০ ভারতীয়সেনা প্রাণ হারান।
এনডিটিভির রিপোর্টে অবশ্য বলা হয়, ভিডিওটি পুরনো। ফলে, ভিডিওটি "কবে ও কোথায় তোলা হয়েছিল, তা স্পষ্ট নয়"।
ঘটনাটি কোথায় ঘটেছিল, বুম স্বাধীনভাবে তা যাচাই করতে পারেনি। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, ভিডিওটি ২০২০ সাল থেকে ইন্টারনেটে রয়েছে।