অসমে একটি লোক তার ১৫ বছরের মেয়েকে নৃশংসভাবে মারছে-এই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ লোকটিকে গ্রেপ্তার করেছে। সেই সঙ্গে লোকটির স্ত্রী তার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। ওই মহিলা অত্যাচারিত মেয়েটির মা।
গ্রাফিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে
২০ অগস্ট ২০১৯ আর ২৭ অগস্ট ২০১৯'র মধ্যে বুম লক্ষ করে যে, বেশ কিছু টুইটে একটি ভিডিও জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। তাতে দেখা যাচ্ছে একটি লোক এক অল্পবয়সী মেয়েকে নির্মমভাবে মারছে।
ভিডিওর দৃশ্যগুলি খুবই মর্মান্তিক। এক অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে নৃশংসভাবে মারার ছবি সেগুলি। তাই সেটির লিঙ্ক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বুম।
ভয়ঙ্কর ভিডিওটির মর্মান্তিক নেপথ্য কাহিনী
২৭ অগস্ট ২০১৯-এ, দ্য নিউজ মিনিট-এর প্রধান সম্পাদক নর্থ ইস্ট নিউজে-এ প্রকাশিত একটি খবর টুইট করে বলেন যে, ঘটনাটি অসমের নগাঁও জেলায় ঘটে।
It happened in Nagaon in Assam. @Karma_Paljor asked and was told that
— Dhanya Rajendran (@dhanyarajendran) August 27, 2019
'the people around can be heard speaking in East Bengal's bengali dialect commonly spoken in rural Assam, especially Muslim community. The man has been attested.
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সমাগুরি খানার অন্তর্গত মোয়ামারি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
বুম সমাগুরি থানার অধীনে মোয়ামারি ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর উপেন শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করে। উনি ওই ঘটনাটির তদন্তকারী অফিসার। শর্মা বুমকে বলেন ঘটনাটি জুলাই মাসে অসমের মোয়ামারি গ্রামে ঘটেছিল।
শর্মা জানান যে, ১৫ বছরের মেয়েটিকে তার বাবা আর ঠাকুমা যৌনব্যবসায়ে ঠেলে দিতে চাইলে ওই ঘটনা ঘটে।
শর্মা বলেন, "হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও, মেয়েটি তার বাবা আর ঠাকুমার চাপের কাছে নতি স্বীকার করেনি। তখনই তার বাবা তাকে নৃশংসভাবে মারে। ২০১৯'র অগস্টের গোড়ায় লোকটিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনও সে হাজতেই আছে। মেয়েটির মা হলেন ওই লোকটির স্ত্রী। তিনি তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে এফআইআর করেন।"
ঘটনাটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শরীরে তার ঘোরতর আঘাত ছিল। চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের জন্য তাকে বেশ কিছুদিন রাখা হয় সেখানে। "সে এখন অনেকটাই ভাল আছে। সে তার মায়ের সঙ্গে তার মামার বাড়িতে থাকে। সেখানে সবাই তার দেখাশোনা করছে," বলেন শর্মা।
মেয়েটির বাবার নাম জামালউদ্দিন বলেই জানা গেছে। পেশাতে হকার সে। তাছাড়া যৌন ব্যবসার সঙ্গেও তার যোগাযোগ আছে। পুলিশ জানায় যে, সে তার আগের তিন স্ত্রীকে যৌনব্যবসায় যোগ দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করলে, তারা তাকে ডিভোর্স করে চলে যায়।
বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আদালতে তোলা হবে তাকে। আপাতত এখন সমাগুরি থানার লকাপে বন্দি।