কাদা মাটিতে শায়িত মৃত বাঘের পুরনো ছবি বিভ্রান্তিকর দাবি সহ সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের পুরনো এই ছবিটি শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে আমপানের জেরে মারা গেছে এই বাঘ।
ফেসবুক পোস্টের ছবির কোলাজে মৃত পাখির ছবি ও একটি মৃত বাঘের ছবি শেয়ার করা হয়েছে। ছবিটিতে দেখা যায় ভেজা মাটিতে পড়ে রয়েছে একটি বাঘ। পাশে কতগুলো ভাঙ্গা ডালপলাও দেখা যাচ্ছে।
ছবিগুলি ফেসবুকে শেয়ার করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, ''শুধু মানুষ নয় ধ্বংস লীলার প্রভাব জন্তু জানোয়ারের মধ্যেও, মর্মান্তিক"
অভিনেত্রী করিনা কপূর খানও তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বেশ কিছু ছবির সঙ্গে মৃত বাঘের এই ছবিটি শেয়ার করেন।
তথ্য যাচাই
বুম যাচাই করে দেখে মৃত বাঘের ছবিটির সঙ্গে সাম্প্রতিক আমপানের তাণ্ডবের কোনও যোগ নেই যেমনটি ওই ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়েছে।
আসল ছবিটি ২০১৫ সালের ২৫ অগস্ট দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছিল। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নাগারাহোল জাতীয় পার্কের ক্ষেত্রে ডিবি কুপ্পির বালেতে এক দূর্ঘটনায় মারা যায় বাঘটি।
ন্যাশনাল টাইগার কনর্জাভেশন অথোরিটির তরফে ডি রাজকুমার দ্য হিন্দুকে বলেন সম্ভবত চিতাবাঘকে ধাওয়া করতে গিয়ে বেশ উঁচু কোনও জায়গা থেকে পরে গিয়ে মারা যায় বাঘটি। কালভার্টের নীচে বাঘটির দেহ মেলে।
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পে ক্ষতির প্রাথমিক রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি। সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের আশেপাশের এলাকা থেকে এখনও বড় কোনও প্রাণহানির খবর আসেনি। আমপানের তাণ্ডবে সুন্দরবন এলাকায় জেটি ভেঙ্গেছে। বেশ কিছু সংলগ্ন গ্রামে জল ঢুকেছে। তা আসতে আসতে নামতে শুরু করেছে। সুন্দরবন ব্যঘ্রপ্রকল্প পরিচালনার বনদপ্তরের বিট অফিস ও ক্যাম্পগুলির চালা উড়েছে ঝড়ের দাপটে।
ব্যঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর দীপক এম ২৩ মে ২০২০ প্রকাশিত এই সময় সংবাদপত্রকে বলেন, 'বণ্যপাণী মত্যুর খবর বা মতদেহ দেখেননি তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত অংশে নাইনল ফেন্সিং মেরামতির কাজ চলছে। '
আরও পড়ুন: জলে ডুবে সুন্দরবনে ত্রাণ নিচ্ছে শিশু? ছবিটি আমপানের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়